ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জে গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের মানববন্ধন Logo হবিগঞ্জে ‘চাঁদার’ ৯০ হাজার টাকাসহ ছাত্রদলের সদস্য সচিব আটক Logo চুনারুঘাটে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাইকে কুপিয়ে হত্যা Logo হবিগঞ্জে ৯ জনকে গুলি করে হত্যার মামলায় ওসি দেলোয়ার গ্রেফতার Logo নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজাসহ দুই আসামী গ্রেফতার Logo শায়েস্তাগঞ্জে ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় ডাকাত আলী গ্রেফতার Logo মাধবপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ওসি সহ আহত শতাধিক Logo হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত সরকারের Logo সরিনা খাতুন যেন ‘আসমানী’রই প্রতিচ্ছবি

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে বিবৃতি সাংবাদিকদের দমন নয়, সুরক্ষা দিন: তারেক রহমান

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (৩ মে) দিবসটি উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। পোস্টের সঙ্গে তিনি ২০০৯ সালের একটি কমিক চিত্র সংযুক্ত করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তিনি নিজেও চিত্রিত ছিলেন।

তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং সেই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, যারা নৈতিকতা বজায় রেখে সত্য প্রকাশে অটল।’

তিনি পোস্টে লেখেন, ‘সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাজকে সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি স্বাগত জানানো উচিত, কোনোভাবেই হামলা বা সেন্সরের মাধ্যমে দমন করা চলবে না।’

বিএপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও লেখেন, ‘বাংলাদেশে সদ্যবিদায়ী স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় মদদে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ধারাবাহিকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়েছিল। সেই অন্ধকার সময়ে, সাহস ও অটল নিষ্ঠার মাধ্যমে বহু বাংলাদেশি সাংবাদিক রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যর্থতার চিত্র উন্মোচন করেন।’

তিনি লেখেন, ‘মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, দেশ-বিদেশে সর্বত্র সাংবাদিকরা সত্য অনুসন্ধানে অবিচল ছিলেন। তারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্নে অবিচল ছিলেন এবং মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার রক্ষায় অবদান রাখেন।’

তারেক রহমান লেখেন, ‘বিএনপি এমন এক নতুন ধারার সাংবাদিকতা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়, যেখানে সর্বোচ্চ নৈতিকতা ও পেশাদারত্ব বজায় থাকে। আমরা এমন সাহসী ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতাকে সম্মান করি, যা আমাদের দলের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে নাও মিলতে পারে। আমাদের বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে। নিরপেক্ষ ও সৎ সাংবাদিকতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জনস্বার্থে কাজ করে।’

তিনি পোস্টের ইতি টানেন এভাবে, শক্তিশালী ও টেকসই গণতন্ত্র গঠনের জন্য সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও সততা রক্ষা করা অত্যাবশ্যক। আসুন, রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সরকার সংবাদমাধ্যমসহ সব নাগরিকের জন্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:২২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
৭৪ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে বিবৃতি সাংবাদিকদের দমন নয়, সুরক্ষা দিন: তারেক রহমান

আপডেট সময় ১২:২২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (৩ মে) দিবসটি উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। পোস্টের সঙ্গে তিনি ২০০৯ সালের একটি কমিক চিত্র সংযুক্ত করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তিনি নিজেও চিত্রিত ছিলেন।

তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং সেই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, যারা নৈতিকতা বজায় রেখে সত্য প্রকাশে অটল।’

তিনি পোস্টে লেখেন, ‘সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাজকে সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি স্বাগত জানানো উচিত, কোনোভাবেই হামলা বা সেন্সরের মাধ্যমে দমন করা চলবে না।’

বিএপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও লেখেন, ‘বাংলাদেশে সদ্যবিদায়ী স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় মদদে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ধারাবাহিকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়েছিল। সেই অন্ধকার সময়ে, সাহস ও অটল নিষ্ঠার মাধ্যমে বহু বাংলাদেশি সাংবাদিক রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যর্থতার চিত্র উন্মোচন করেন।’

তিনি লেখেন, ‘মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, দেশ-বিদেশে সর্বত্র সাংবাদিকরা সত্য অনুসন্ধানে অবিচল ছিলেন। তারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্নে অবিচল ছিলেন এবং মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার রক্ষায় অবদান রাখেন।’

তারেক রহমান লেখেন, ‘বিএনপি এমন এক নতুন ধারার সাংবাদিকতা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়, যেখানে সর্বোচ্চ নৈতিকতা ও পেশাদারত্ব বজায় থাকে। আমরা এমন সাহসী ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতাকে সম্মান করি, যা আমাদের দলের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে নাও মিলতে পারে। আমাদের বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে। নিরপেক্ষ ও সৎ সাংবাদিকতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জনস্বার্থে কাজ করে।’

তিনি পোস্টের ইতি টানেন এভাবে, শক্তিশালী ও টেকসই গণতন্ত্র গঠনের জন্য সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও সততা রক্ষা করা অত্যাবশ্যক। আসুন, রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সরকার সংবাদমাধ্যমসহ সব নাগরিকের জন্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।’