বৃষ্টির দিনে নিরাপদে থাকতে যা করবেন
চলছে বর্ষা মৌসু্ম। এই সময়ে প্রায়ই ঝড়-বৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। গ্রীষ্ম-বর্ষায় বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই এই বৃষ্টির দিনে ঘর থেকে বের হওয়ার পর শুরু হয় বৃষ্টি বিড়ম্বনা। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি। আসুন জেনে নিই সেগুলো কী-
ছাতা বা রেইনকোট ভুলবেন না
বাসা থেকে যখন বের হচ্ছেন, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখলেন বৃষ্টি নেই। তাই ছাতা আর রেইনকোট ছাড়াই বের হলেন। আর তখনই করলেন দিনের প্রথম ভুলটা। বাদলার দিনে এই ভুল করতে না চাইলে ব্যাগে রাখুন ছাতা আর রেইনকোট। রেইনকোট পরার অভ্যাস থাকলে যে কোনো পোশাকই পরতে পারবেন স্বচ্ছন্দে, পোশাকও নষ্ট হবার ভয়ও থাকবে না।
কাপড় বা চামড়ার ব্যাগ নয়
বৃষ্টির সময় প্লাস্টিকের বড় একটা ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। ছাতা বা রেইনকোট বহনের জন্য আপনার বড় ব্যাগ প্রয়োজন হবে। এ সময় বাচ্চাদের দিন ওয়াটার প্রুফ স্কুল ব্যাগ।
বাড়তি কাপড় সঙ্গে রাখুন
অফিস হোক, ক্লাস, অথবা ইন্টারভিউ। বৃষ্টির জন্য কিছুটা হলেও কাপড় ভিজতেই পারে। এক্ষেত্রে যথেষ্টই অস্বস্তি বোধ হতে পারে। তাই ব্যাগে রাখুন এক সেট বাড়তি পোষাক ও স্যান্ডেল। কাকভেজা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছে শুকনো পোষাকটি পরে নিতে পারেন।
পকেটে বা ব্যাগে পলিব্যাগ রাখুন
একটা বড় পলিব্যাগ ব্যাগে বা পেছনের পকেটে ভাঁজ করে রাখতে পারেন। ভেজাকাপড়টি প্রয়োজনে পলিব্যাগে রেখে দেওয়া যাবে। এছাড়া বাইরে যাওয়ার সময় ছোট প্লাস্টিকের জিপার ব্যাগে মোবাইল, হেডফোনসহ বিভিন্ন গ্যাজেট রাখুন।
ব্যাগে রাখুন তোয়ালে ও টিস্যু
বাদলার দিনে আপনার হ্যান্ডব্যাগে রুমাল, ছোট্ট একটি তোয়ালে আর এক বক্স টিস্যু রাখতেই পারেন। গন্তব্যে পৌঁছে ভালভাবে ভেজা মাথা ও শরীর মুছে নিতে এই জিনিস দুটো আপনার অনেক উপকারে আসবে। সম্ভব হলে এক বোতল পানিও সঙ্গে রাখতে পারেন।
জুতা ব্যবহারে সতর্কতা
ভেজা বর্ষায় জুতা ব্যবহারে যত্নবান হতেই হবে। তবে ফ্ল্যাট স্যান্ডেল এড়িয়ে চলাই ভাল। শিশুদের জন্য রাবারের জুতা খুবই মানানসই। তাদের বিভিন্ন রঙের রেইন বুট কিনে দেওয়া যায়। তবে পিছলে যায় এমন স্যান্ডেল বা জুতা পরা যাবে না একেবারেই।