ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর আমড়া দূর করবে রক্তস্বল্পতা
সবুজ রঙের গোলাকার টক-মিষ্টি ফল আমড়া। ভেতরের অংশটি আবার শক্ত কাঁটাযুক্ত। বিশেষ ভাবে কাটা হলে, দেখতে লাগে একদম ফুলের মতো। টক-মিষ্টি স্বাদের এ অদ্ভুত ফলের গুণের কিন্তু কমতি নেই। শুধু দাঁতেরই ৪ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে এ ফল। আমড়া দিয়ে কেউ আবার জ্যাম কিংবা আচার বানায়, কেউ মিশিয়ে দেয় ডালে। অনেকের পছন্দের এ টক ফলের পুষ্টি গুণ সম্পর্কে আমরা খুব কমই খোঁজ রাখি।
ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এই দেশি ফলটি খেলে দূরে থাকতে পারেন অনেক ধরনের রোগ থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মৌসুমি ফল খেলে শরীর সুস্থ থাকে। দামি ফল আপেলের চেয়ে আমড়ায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণ বেশি।
তাই বেছে নিতে পারেন আমড়া। আমড়া খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের। এটি কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি সুস্বাদু আচার, চাটনি ও জেলি তৈরি করা যায়। অনেকে তরকারি হিসেবে রান্না করে খান।
পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ৯০% পানি, ৪-৫% কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। এছাড়াও আমড়ায় থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং লৌহ থাকে।
আমড়ায় জলীয় অংশ রয়েছে ৮৩ দশমিক ২, খনিজ শূন্য দশমিক ৬, লৌহ শূন্য দশমিক ৩৯, আঁশ শূন্য দশমিক ১, চর্বি শূন্য দশমিক ১, আমিষ ১ দশমিক ১, শর্করা ১৫, ক্যালসিয়াম শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, লোহা, ক্যালসিয়াম আর আঁশ রয়েছে। যা হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। অসুস্থ ব্যক্তিরা আমড়া খেলে মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আসে। এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। শিশুদের দৈহিক গঠনে এটি খুব দরকারি। রক্তস্বল্পতাও দূর করে।
যেসব কারণে আমড়া খাওয়া উচিত-
১) আমড়াতে প্রচুর আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে বেশ প্রয়োজনীয়।
২) আমড়া পিত্তনাশক ও কফনাশক।
৩) আমড়া খেলে অরুচিভাব দূর হয়।
৪) মুখে রুচি ফিরে আসে, ক্ষুধা বৃদ্ধি করে।
৫) বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে আমড়া উপকারী।
৬) রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৭) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।