ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চুনারুঘাটের কৃতি সন্তান সালেহ উদ্দিন এনটিসি ও পিকেএসএফ’র পরিচালক নির্বাচিত Logo হবিগঞ্জে সবজির দাম আকাশছোঁয়া Logo শায়েস্তাগঞ্জে চাঁদা না দেয়ায় দোকান ভাংচুর ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে ছাত্রলীগ নেতা Logo শায়েস্তাগঞ্জে পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে জি কে গউছ – বিএনপি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে Logo মাধবপুরে বিষপানে মা-ছেলের আত্মহত্যা Logo শারদীয় দুর্গাপূজা সারাদেশে ২৮৫৭ পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি Logo হবিগঞ্জে রেকর্ডসংখ্যক ৬৬১ মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি Logo চুনারুঘাটে সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গাঘেরা পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা, অভাব পরিকল্পনার Logo হবিগঞ্জে সারজিস আলম এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিলে তার সমাধান রাজপথেই হবে Logo হবিগঞ্জে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি মুছে লেখা হলো ‘জয় বাংলা’

মাধবপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ওসি সহ আহত শতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সৌদি আরবে মারামারির জের ধরে হবিগঞ্জের মাধবপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ শতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর।

আহতদের মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে উপজেলার বুল্লা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সৌদি আরবে বুল্লা গ্রামের ধলাই মিয়ার ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের সৌদি বসবাসরত ভিসা জটিলতা নিয়ে মারামারি হয়। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বুল্লা ইউনিয়ন বুল্লা গ্রামের ধলাই মিয়া ও হেলাল মেম্বারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ ধলাই মিয়া ও হেলাল মিয়ার মধ্যে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

এ ঘটনার জের ধরে বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষের শতশত লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে কমপক্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ উল্লাহ নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ওসি শহীদ উল্লাহ পায়ে আঘাত লেগে আহত হন।

অপর আহতদের মধ্যে রাসেল মিয়া (১৮), রাশেদ মিয়া (১৮), বাবুল মিয়া (৬০), মন্নান মিয়া (২৭), ইছব মিয়া (৩৫), জালাল উদ্দিন (৩৫), শাহ আলম (৪০), ইউনুছ মিয়া (৬০), লিটন মিয়া (৩৫), রহমত উল্লাহ (২৪), জালাল মিয়া (২৬), সুন্দর আলী (৪২), নয়ন মিয়া (১৬), আদম খা (৩০), ফারুক মিয়া (৫০), শরীফ উদ্দিন (৫০), ছোয়াব মিয়া (৪০), ছায়েদুল (৪০), চুন্নু মিয়া (৫৫), জলফু মিয়া (৬১), শাকিল মিয়া (২০), শাহাব উদ্দিন (৫১), নুরুল হক (৫০), সাগর (১৬), পাবেল (২৪), দুলাল মিয়া (৪৫), রাশেদ মিয়া (১৫), মনটু মিয়া (৫০), মিরাজ মিয়া (২২), সোহরাব (৩৫) কে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মাধবপুর থানার ওসি শহীদ উল্লাহ জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:১৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
৩৬ বার পড়া হয়েছে

মাধবপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ওসি সহ আহত শতাধিক

আপডেট সময় ১০:১৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

সৌদি আরবে মারামারির জের ধরে হবিগঞ্জের মাধবপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ শতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর।

আহতদের মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে উপজেলার বুল্লা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সৌদি আরবে বুল্লা গ্রামের ধলাই মিয়ার ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের সৌদি বসবাসরত ভিসা জটিলতা নিয়ে মারামারি হয়। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বুল্লা ইউনিয়ন বুল্লা গ্রামের ধলাই মিয়া ও হেলাল মেম্বারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ ধলাই মিয়া ও হেলাল মিয়ার মধ্যে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

এ ঘটনার জের ধরে বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষের শতশত লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে কমপক্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ উল্লাহ নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ওসি শহীদ উল্লাহ পায়ে আঘাত লেগে আহত হন।

অপর আহতদের মধ্যে রাসেল মিয়া (১৮), রাশেদ মিয়া (১৮), বাবুল মিয়া (৬০), মন্নান মিয়া (২৭), ইছব মিয়া (৩৫), জালাল উদ্দিন (৩৫), শাহ আলম (৪০), ইউনুছ মিয়া (৬০), লিটন মিয়া (৩৫), রহমত উল্লাহ (২৪), জালাল মিয়া (২৬), সুন্দর আলী (৪২), নয়ন মিয়া (১৬), আদম খা (৩০), ফারুক মিয়া (৫০), শরীফ উদ্দিন (৫০), ছোয়াব মিয়া (৪০), ছায়েদুল (৪০), চুন্নু মিয়া (৫৫), জলফু মিয়া (৬১), শাকিল মিয়া (২০), শাহাব উদ্দিন (৫১), নুরুল হক (৫০), সাগর (১৬), পাবেল (২৪), দুলাল মিয়া (৪৫), রাশেদ মিয়া (১৫), মনটু মিয়া (৫০), মিরাজ মিয়া (২২), সোহরাব (৩৫) কে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মাধবপুর থানার ওসি শহীদ উল্লাহ জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।