মার্চ ফর ইউনিটি: শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছে ছাত্র-জনতা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেছেন। আয়োজন সফল করতে অনুষ্ঠান এলাকায় প্রস্তুতিও প্রায় শেষ করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
সোমবার রাতে সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটির দফায় দফায় বৈঠক ও নানা নাটকীয়তার পর গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার শহীদ মিনারে পূর্ব-ঘোষিত ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ দেয়া না হবে বলেও জানানো হয়। তবে, মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি যোগ দিতে সারাদেশের ছাত্র জনতা ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভোর থেকেই সারা দেশের ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ঢাবি ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা ঢাকা’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ,’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এর আগে শনিবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল। ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বা জনআকাঙ্খাকে দালিলিক রূপ দেওয়া হবে বলে জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শহীদ মিনারে সব দলমতের মানুষকে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ জন সমন্বয়ক-সহসমন্বয়ক শপথ নেবেন। এ ছাড়া সেখানে ‘সেকেন্ড রিপাবলিকের’ দাবি আসবে।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই ঘোষণাকে প্রাইভেট প্রোপার্টি আখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায় এর সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই। কিন্তু পরদিনই আবার ঠিক রাত ৯টার কিছু পরে সরকার ঘোষণা দেয়, অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে, তবে কিছুদিন পরে।