ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল Logo আজমিরীগঞ্জ কুশিয়ারা নদীতে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার Logo পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প Logo দায়িত্ব নিয়েই বাইডেনের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল করল ট্রাম্প Logo সাইবার নিরাপত্তা আইনের সব মামলা প্রত্যাহার হবে: আইন উপদেষ্টা Logo বেনজীরের রিসোর্টে এনবিআরের বিশেষ অভিযান Logo সুনামগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর আহসান এর জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ Logo এবার পাকিস্তানের নাম থাকায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি নিয়ে আপত্তি ভারতের Logo সুইজারল্যান্ড পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নাটোরে মোটরসাইকেল-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ তরুণের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বাংলাদেশে উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, আমরা একটি জাতি হিসেবে আপনাদের সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা চলমান সংস্কার উদ্যোগ, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐকমত্যের প্রত্যাশা করছেন।
জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমি কোনো ভিন্ন মত শুনিনি। তিনি জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ‘কঠিন’ উল্লেখ করে বলেন, প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হবে ‘ঐক্য’।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার শুধু একটি সুবিধাদাতা ভূমিকা পালন করবে। আমার কাজ হচ্ছে ঐকমত্য গড়ে তোলা। আমি কোনো ধারনা চাপিয়ে দিচ্ছি না।

তিনি বলেন, একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে একমত হলে, সরকার তাদের তা স্বাক্ষর করার অনুরোধ করবে, যেন একটি ‘জুলাই চার্টার’ গড়ে তোলা যায়।

‘আমরা জানি না বিষয়বস্তুতে অনেক কিছু থাকবে, নাকি কিছু বিষয় থাকবে’- মার্কিন কূটনীতিককে বলেন তিনি।

ড. ইউনূস আরও বলেন, এটি কঠিন কাজ, আমাদের রয়েছে বিভিন্নমুখী মতামত। তবে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। একবার স্বাক্ষরিত হলে আমাদের রাজনীতি জুলাই চার্টারের ওপর ভিত্তি করে চলবে।

এসময় রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন কয়েকজন সাংবাদিক গ্রেফতার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কিছু রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তখন প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতি এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। এই ধারণা থেকেই সার্ক সৃষ্টি হয়েছিল এবং আমরা এর উদ্ভাবক।

সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার সাম্প্রতিক উদ্যোগ এবং এটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

ড. ইউনূস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলা আমদানির শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং তিনি দেশটিকে আরও বেশি পোশাক এবং টেক্সটাইল পণ্য আমদানির আহ্বান জানান, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলার বৃহত্তর আমদানির অর্থ দেবে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
১ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল

আপডেট সময় ০৬:৪২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বাংলাদেশে উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, আমরা একটি জাতি হিসেবে আপনাদের সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা চলমান সংস্কার উদ্যোগ, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐকমত্যের প্রত্যাশা করছেন।
জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমি কোনো ভিন্ন মত শুনিনি। তিনি জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ‘কঠিন’ উল্লেখ করে বলেন, প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হবে ‘ঐক্য’।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার শুধু একটি সুবিধাদাতা ভূমিকা পালন করবে। আমার কাজ হচ্ছে ঐকমত্য গড়ে তোলা। আমি কোনো ধারনা চাপিয়ে দিচ্ছি না।

তিনি বলেন, একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে একমত হলে, সরকার তাদের তা স্বাক্ষর করার অনুরোধ করবে, যেন একটি ‘জুলাই চার্টার’ গড়ে তোলা যায়।

‘আমরা জানি না বিষয়বস্তুতে অনেক কিছু থাকবে, নাকি কিছু বিষয় থাকবে’- মার্কিন কূটনীতিককে বলেন তিনি।

ড. ইউনূস আরও বলেন, এটি কঠিন কাজ, আমাদের রয়েছে বিভিন্নমুখী মতামত। তবে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। একবার স্বাক্ষরিত হলে আমাদের রাজনীতি জুলাই চার্টারের ওপর ভিত্তি করে চলবে।

এসময় রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন কয়েকজন সাংবাদিক গ্রেফতার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কিছু রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তখন প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতি এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। এই ধারণা থেকেই সার্ক সৃষ্টি হয়েছিল এবং আমরা এর উদ্ভাবক।

সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার সাম্প্রতিক উদ্যোগ এবং এটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

ড. ইউনূস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলা আমদানির শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং তিনি দেশটিকে আরও বেশি পোশাক এবং টেক্সটাইল পণ্য আমদানির আহ্বান জানান, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলার বৃহত্তর আমদানির অর্থ দেবে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।