রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিন বিষয়ে মতামত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ জানিয়েছেন, দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে চলমান বৈঠকের বিরতির সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আলোচনা বিষয়সমূহ
ব্যারিস্টার ফুয়াদ উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস যে তিনটি বিষয়ে মতামত চেয়েছেন তা হলো:
বিশ্বব্যাপী প্রপাগান্ডার প্রতিক্রিয়া: ভারতসহ সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে ঘিরে যে প্রপাগান্ডা চলছে, তা মোকাবিলায় রাষ্ট্রের করণীয় কী হতে পারে।
আগরতলা অফিস ভাঙচুর ও পতাকা অবমাননা: আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলা এবং বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা নিয়ে করণীয় বিষয়ে মতামত।
সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে মিথ্যাচার: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক মিথ্যাচার প্রতিরোধে রাষ্ট্রের ভূমিকা কী হওয়া উচিত।
বৈঠকের প্রধান পয়েন্ট
সরকারের পক্ষ থেকে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বৈঠকের এজেন্ডা তুলে ধরেন। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা থেকে উঠে এসেছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
নির্বাচন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার: বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আলোচনা করেছে যে, বর্তমান বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে নির্বাচন না থাকলেও প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া উচিত।
প্রশাসনিক সেবার ঘাটতি: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সেবার ঘাটতি সারা দেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্বাধীনতা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা: দলগুলো সরকারকে আশ্বস্ত করেছে যে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে তারা সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ।
সংখ্যালঘুদের জন্য জাতীয় কমিশন প্রস্তাব
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন নেতা সংখ্যালঘু বিষয়ক একটি জাতীয় কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই কমিশনের মাধ্যমে গত ৫০ বছরের বঞ্চনা, বিশেষত গত ১৬ বছরের ঘটনা বিশ্লেষণ করে এর সত্যতা বের করা সম্ভব হবে বলে মতামত প্রকাশ করা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, “সবগুলো দল তাদের মতামত তুলে ধরছে রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের করণীয় কী।” তিনি আরও যোগ করেন, “দু-একজন পরামর্শ দিয়েছেন সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে একটি জাতীয় কমিশন করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।”
এ আলোচনা ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।