ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে ৩ শহীদের পরিবারকে জি কে গউছের অর্থ সহায়তা প্রদান

নজরুল ইসলাম কাউসার হবিগঞ্জ প্র্রতিনিধিঃ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লাখাই উপজেলায় ৩ জন শহীদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেড় লাখ টাকা প্রদান করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। গতকাল শনিবার দুপুরে প্রত্যেক শহীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি এই টাকা তুলে দেন।

এ সময় জি কে গউছ বলেন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা নিজের জীবন দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে আওয়ামীলীগের দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে দিয়ে গেছেন। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রার জন্য শহীদ হয়েছেন। তাদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। তিনি বলেন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যে কোনো প্রয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পাশে থাকবে বিএনপি।

জি কে গউছ বলেন- ১৭টি বছর আওয়ামীলীগের লোকজন বাংলাদেশের মানুষের প্রতি জুলুম করেছে, নির্যাতন নিপীড়ন করেছে, মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাদের নেত্রী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামীলীগের লোকজন আমাদের সমাজেই ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তারা সুযোগ পেলেই আবারও ছোঁবল দেয়ার চেষ্টা করবে। দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। তাই জনগণের জানমাল রায় বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ আলম গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, লাখাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান, সদস্য সচিব মাহবুব আলম মালু, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আহমেদ আজম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী প্রমুখ। উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত হন লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের বাসিন্দা মরহুম মাওলানা আব্দুল আজিজের ছেলে নাহিদ বিন আব্দুল আজিজ, একই উপজেলা সদর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা ছোয়াব মিয়ার ছেলে মোনায়েল আহমেদ ইমরান ও তেঘরিয়া গ্রামের মৃত ছালেক মিয়ার পুত্র মামুন আহমেদ রাফসান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
১২ বার পড়া হয়েছে

লাখাইয়ে ৩ শহীদের পরিবারকে জি কে গউছের অর্থ সহায়তা প্রদান

আপডেট সময় ০৩:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লাখাই উপজেলায় ৩ জন শহীদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেড় লাখ টাকা প্রদান করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। গতকাল শনিবার দুপুরে প্রত্যেক শহীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি এই টাকা তুলে দেন।

এ সময় জি কে গউছ বলেন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা নিজের জীবন দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে আওয়ামীলীগের দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে দিয়ে গেছেন। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রার জন্য শহীদ হয়েছেন। তাদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। তিনি বলেন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যে কোনো প্রয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পাশে থাকবে বিএনপি।

জি কে গউছ বলেন- ১৭টি বছর আওয়ামীলীগের লোকজন বাংলাদেশের মানুষের প্রতি জুলুম করেছে, নির্যাতন নিপীড়ন করেছে, মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাদের নেত্রী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামীলীগের লোকজন আমাদের সমাজেই ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তারা সুযোগ পেলেই আবারও ছোঁবল দেয়ার চেষ্টা করবে। দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। তাই জনগণের জানমাল রায় বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ আলম গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, লাখাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান, সদস্য সচিব মাহবুব আলম মালু, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আহমেদ আজম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী প্রমুখ। উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত হন লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের বাসিন্দা মরহুম মাওলানা আব্দুল আজিজের ছেলে নাহিদ বিন আব্দুল আজিজ, একই উপজেলা সদর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা ছোয়াব মিয়ার ছেলে মোনায়েল আহমেদ ইমরান ও তেঘরিয়া গ্রামের মৃত ছালেক মিয়ার পুত্র মামুন আহমেদ রাফসান।