ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহরে ভাবীকে মারপিট করার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার

হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকায় ভাবিকে মারপিট ও পুলিশকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মন্তব্য করার পৌর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আহমেদ হারুন (৪০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেবের নির্দেশে এসআই কৃষ্ণধন সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত হারুন মোহনপুর এলাকার মৃত রইছ উল্লা’র পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার নূর মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল হারুনের।

এ নিয়ে ওইদিন তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হারুন তার ভাবীর মাথায় আঘাত করলে ফাতেমা খাতুন মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ফাতেমা খাতুন সদর থানায় হারুনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই খোরশেদ আলমসহ একদল পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে হারুনের বাসায় যায়। এ সময় পুলিশ হারুনকে এ ধরণের বিষয় যেন আর ঘটে বলে শাসিয়ে চলে আসে।

পুলিশ চলে আসলে হারুন তার ফেইসবুক আইডিতে একটি লাইভ করে। লাইভ ভিডিওতে সে জানায় ‘আমার সন্তানের কিছু হলে পৌর কাউন্সিলর সহ দালাল চক্রের সদস্য সহ পুলিশ কর্মকর্তা সহ কাউকে ছাড় দিব না, প্রয়োজন আদালতে অভিযোগ করবো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা’।

এরপরই তার ফেইসবুকে ‘আমার সদাহাস্যজ্বল ছেলের কিছু হলে, পুলিশ অফিসার সহ যাঁরা যাঁরা সহযোগিতা করছেন কাউকে ছারবো না, হুশিয়ার করে দিলাম, ভাড়াটিয়া হিসেবে কত টাকার বিনিময়ে আসছো, সেটা ও বের করবো ইনশাআল্লাহ’ লিখে স্ট্যাটাস দেয়।

হারুন লাইভে আরো বলে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় দেবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ, কাউন্সিলরসহ ভাড়াটি লোকজন অন্যায়ভাবে তার বাসায় প্রবেশ করে তাদের উপর চড়াও হয়ে ভয়ভীতি দেখায়।

এতে তার ছেলে ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের বাজে মন্তব্য করে হারুন।

সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত হারুনকে নিয়মিত মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশকে নিয়ে মন্তব্যের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:২০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
৪৫ বার পড়া হয়েছে

শহরে ভাবীকে মারপিট করার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা গ্রেফতার

আপডেট সময় ০১:২০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকায় ভাবিকে মারপিট ও পুলিশকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মন্তব্য করার পৌর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আহমেদ হারুন (৪০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেবের নির্দেশে এসআই কৃষ্ণধন সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত হারুন মোহনপুর এলাকার মৃত রইছ উল্লা’র পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার নূর মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল হারুনের।

এ নিয়ে ওইদিন তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হারুন তার ভাবীর মাথায় আঘাত করলে ফাতেমা খাতুন মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ফাতেমা খাতুন সদর থানায় হারুনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই খোরশেদ আলমসহ একদল পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে হারুনের বাসায় যায়। এ সময় পুলিশ হারুনকে এ ধরণের বিষয় যেন আর ঘটে বলে শাসিয়ে চলে আসে।

পুলিশ চলে আসলে হারুন তার ফেইসবুক আইডিতে একটি লাইভ করে। লাইভ ভিডিওতে সে জানায় ‘আমার সন্তানের কিছু হলে পৌর কাউন্সিলর সহ দালাল চক্রের সদস্য সহ পুলিশ কর্মকর্তা সহ কাউকে ছাড় দিব না, প্রয়োজন আদালতে অভিযোগ করবো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা’।

এরপরই তার ফেইসবুকে ‘আমার সদাহাস্যজ্বল ছেলের কিছু হলে, পুলিশ অফিসার সহ যাঁরা যাঁরা সহযোগিতা করছেন কাউকে ছারবো না, হুশিয়ার করে দিলাম, ভাড়াটিয়া হিসেবে কত টাকার বিনিময়ে আসছো, সেটা ও বের করবো ইনশাআল্লাহ’ লিখে স্ট্যাটাস দেয়।

হারুন লাইভে আরো বলে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় দেবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ, কাউন্সিলরসহ ভাড়াটি লোকজন অন্যায়ভাবে তার বাসায় প্রবেশ করে তাদের উপর চড়াও হয়ে ভয়ভীতি দেখায়।

এতে তার ছেলে ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের বাজে মন্তব্য করে হারুন।

সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত হারুনকে নিয়মিত মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশকে নিয়ে মন্তব্যের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।