ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জে ভিপি নুরুল হক নুর আশাকরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে Logo হবিগঞ্জের রশিদপুরে আরো ২৯ বিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা Logo শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ Logo হবিগঞ্জ-১: রেজা কিবরিয়ার যোগদানে বিএনপিতে এখন ত্রিমুখী লড়াই Logo হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo ড. ফরিদুর রহমান বদলি, নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে খুন : অভিযুক্ত আটক Logo ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: শায়েস্তাগঞ্জে তরুণী গ্রেপ্তার Logo ৭ই নভেম্বর ও একজন দেশ প্রেমিক জিয়াউর রহমান Logo হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন নিয়ে তোড়জোর, বিএনপিতে যোগ দিলেন ড. রেজা কিবরিয়া, বদলে যাচ্ছে সমীকরণ!

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ১০ নভেম্বর, নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে তৎকালীন স্বৈরশাসকের পতন ঘটানো শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। তার আত্মত্যাগ তৎকালীন সামরিক শাসকের পতনকে ত্বরান্বিত করে।

স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের এক অবিস্মরণীয় দিন ১০ নভেম্বর। বুকে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এবং পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে নূর হোসেন মিছিলের অগ্রভাগে অবস্থান করেন। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় নূর হোসেনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী গুলি করে হত্যা করলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয়। ধারাবাহিক লড়াইয়ের পর ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তত্কালীন এরশাদ সরকারের পতন হয় এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি পালন করে।
নূর হোসেন ১৯৮৭ সালে তত্কালীন স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের নায়ক। তিনি জীবন্ত পোস্টারের মতো বুকে-পিঠে স্লোগান ধারণ করে গণতন্ত্রকামী মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর আত্মদানের তিন বছরের মধ্যে, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।

ঢাকার নারিন্দায় এক অটোরিকশাচালকের ঘরে জন্ম নেওয়া নূর হোসেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মিছিল পল্টন এলাকার জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করে। তখন নূর হোসেন ও যুবলীগ নেতা বাবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। তাঁর বুকে-পিঠের স্লোগান আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।

নূর হোসেন শহীদ হওয়ার মাস না পেরোতেই ৬ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন এরশাদ। ১৯৮৮ সালের মার্চে নির্বাচন হলেও বড় দলগুলো অংশ না নেওয়ায় তা বৈধতা পায়নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। যে জায়গায় নূর হোসেন গুলিবিদ্ধ হন, সেই জিরো পয়েন্ট এখন শহীদ নূর হোসেন চত্বর নামে পরিচিত।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
৩ বার পড়া হয়েছে

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

আপডেট সময় ০২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

আজ ১০ নভেম্বর, নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে তৎকালীন স্বৈরশাসকের পতন ঘটানো শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। তার আত্মত্যাগ তৎকালীন সামরিক শাসকের পতনকে ত্বরান্বিত করে।

স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের এক অবিস্মরণীয় দিন ১০ নভেম্বর। বুকে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এবং পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে নূর হোসেন মিছিলের অগ্রভাগে অবস্থান করেন। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় নূর হোসেনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী গুলি করে হত্যা করলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয়। ধারাবাহিক লড়াইয়ের পর ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তত্কালীন এরশাদ সরকারের পতন হয় এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি পালন করে।
নূর হোসেন ১৯৮৭ সালে তত্কালীন স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের নায়ক। তিনি জীবন্ত পোস্টারের মতো বুকে-পিঠে স্লোগান ধারণ করে গণতন্ত্রকামী মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর আত্মদানের তিন বছরের মধ্যে, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।

ঢাকার নারিন্দায় এক অটোরিকশাচালকের ঘরে জন্ম নেওয়া নূর হোসেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মিছিল পল্টন এলাকার জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করে। তখন নূর হোসেন ও যুবলীগ নেতা বাবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। তাঁর বুকে-পিঠের স্লোগান আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।

নূর হোসেন শহীদ হওয়ার মাস না পেরোতেই ৬ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন এরশাদ। ১৯৮৮ সালের মার্চে নির্বাচন হলেও বড় দলগুলো অংশ না নেওয়ায় তা বৈধতা পায়নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। যে জায়গায় নূর হোসেন গুলিবিদ্ধ হন, সেই জিরো পয়েন্ট এখন শহীদ নূর হোসেন চত্বর নামে পরিচিত।