শায়েস্তাগঞ্জ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অলিপুর রেলগেইট এখন মৃত্যুকূপ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে রেল গেইটের দুপাশের আধা কিলোমিটার রাস্তা যান চলাচলের জন্য মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই হাজার হাজার যানবাহানের চালক জীবনের ঝুকি নিয়ে এই স্থানটি অতিক্রম করনে।
মহাসড়কের অলিপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে অলিপুর রেল ক্রসিং পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কটির মাটি ধেবে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হ্েচ্ছ। সড়কটি নির্মাণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গর্ত সৃষ্টির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
নির্মাণের পর থেকে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মাঝে মেরামত করলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও মাটি ধেবে পূর্বের অবস্থার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে উক্ত স্থানটির অবস্থা খুবই নাজুক। গাড়ির চালকরা জীবনের ঝুকি নিয়ে অন্য গাড়িকে সাইড দিতে হয়।
বিশেষ করে অলিপুর রেল লাইনের দু পাশের মাটি সরে যাওয়াতে রেল লাইনের দু পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই রেল লাইনটি অতিক্রম করতে গিয়ে গাড়ি চালকদের চরম অসুবিধা হয়। এতে করে যাত্রীদেরও জীবনের ঝুকি থাকে।
মহাসড়কটি নির্মাণের পর থেকে প্রতিনিয়ত উক্ত স্থানে বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ পর্যন্ত এই স্থানটিতে প্রায় দু শতাধিক ছোট বড় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। এতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি। আহ হয়ে জীবনের মত পঙ্গু হয়েছে অনেকেই।
মহাসড়কটি নির্মাণে সময় অলিপুর রেল লাইনের উপর ওভারব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল বলে একটি সূত্র জানায়। কিন্তুু সড়কটি নির্মাণের সময় অজ্ঞাত কারণে ওভার ব্রীজটি বাদ দিয়ে সরকারী আইন অমাণ্য করে পাহাড় কেটে সড়কটি নির্মাণ করা হয়।
বর্তমানে উক্ত অর্ধ কিলোমিটার সড়কটি যান চলাচলের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ধেবে যাওয়া সড়কটি মেরামতের দায়িত্ব সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের থাকলেও তাদের খুব একটা মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয়না।
তবে রেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব না থাকা সত্ত্বেও রেল লাইনের দুপাশের ধেবে যাওয়া স্থানে রেলের লোকদেরকে মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করতে দেখা গেছে।