শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে আসছে না ট্রেন নীরবতা
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে আসছে না ট্রেন। নেই যাত্রীদের পদচারণ। এ অবস্থায় জংশনের প্লাটফর্মে নীরবতা বিরাজ করছে।
এর কারণ, রেলওয়ে কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন রেলওয়ে কর্মচারীরা। ফলে সিলেট থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এখানে কিছু যাত্রী না জেনে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে আসলেও পরে তারা ফিরে যান। এরপর থেকেই জংশনটিতে নীরবতা বিরাজ করছে। জংশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও রেলওয়ে পুলিশকে জংশনে টহল দিতে দেখা গেছে। রাতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. সাজেদুল ইসলাম সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, কিছু যাত্রী না জেনে শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে আসেন। ট্রেন বন্ধ থাকায় তারা ফিরে যান। তারপর থেকেই জংশনটিতে নীরবতা বিরাজ করছে। তবে স্থানীয় লোকেরা জংশনে আসা যাওয়া করছেন।
ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে শায়েস্তাগঞ্জে আসেন শ্রমিক বাবুল মিয়া। তিনি বলেন, আমি আখাউড়া যাব কাজের জন্য। জংশনে এসে দেখি ট্রেন বন্ধ। এখন কিভাবে যাব এই চিন্তায় আছি। বাসে করে যেতে হবে।
সাজু মিয়া নামে অপর যাত্রী বলেন, সোমবার রাত থেকে যে ট্রেন বন্ধ, সেটি জানতাম না। জংশনে আসার পর জানতে পেরেছি। আমি ঢাকায় যাব। আমাকে যেতেই হবে। এখন যেতে বাসে করে।
রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. সাজেদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, রেলওয়ে কর্মচারীদের কর্মবিরতি ঘিরে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্টেশন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। যাত্রীর চাপ নেই।
রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার গৌর প্রসাদ দাস পলাশ বলেন- আমরা মাইকে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান করেছি, যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য। ট্রেন চলাচল কোন সময় চালু হবে, এ বিষয়ে তথ্য নেই। আগে থেকে এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় জংশনে যাত্রীদের চাপ নেই। যাত্রীরা বিপল্প পথে গন্তব্যে যাচ্ছেন।