ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চুনারুঘাটে অবৈধ সিলিকা বালু উত্তোলনের সময় ১৪ জন আটক Logo মৃত্যুর পর ভিক্ষুকের ঘরে মিলল বস্তা ভর্তি টাকা! Logo রেমা-কালেঙ্গা বনে কমছে শকুন ‘বিশেষ রেস্তোরাঁতেও’ নেই খাবার Logo শায়েস্তাগঞ্জ রেলের টিকেট যেন সোনার হরিণ, জেলার ২৩ লাখ মানুষের জন্য টিকেট বরাদ্দ মাত্র ২৬০টি Logo শায়েস্তাগঞ্জে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে সাদা বক, অভয়ারণ্য ঘোষণার দাবি Logo নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ।। Logo মাধবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo শায়েস্তাগঞ্জে ভুয়া লিজ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপি সভাপতির সংবাদ সম্মেলন Logo শায়েস্তাগঞ্জে ৬ লাখ টাকার ভারতীয় জিরা জব্দ কাভার্ড ভ্যানসহ তিনজন আটক Logo অনার্স পড়–য়া সাহুলের চিকিৎসার জন্য শায়েস্তাগঞ্জ সমিতি ইউকে পক্ষ থেকে নগদ অর্থ প্রদান

শায়েস্তাগঞ্জ রেলের টিকেট যেন সোনার হরিণ, জেলার ২৩ লাখ মানুষের জন্য টিকেট বরাদ্দ মাত্র ২৬০টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন। যেখানে প্রতিদিন ভীড় করেন জেলার শত শত যাত্রী। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের যাত্রীরাই বেশি। নিরাপদ আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী ভ্রমণের সাধারণ মানুষের প্রথম পছন্দ রেল। তবে নিয়মিত ট্রেনের যাতায়াত থাকলেও যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না টিকেট। বর্তমান রেলের টিকিট যেন সোনার হরিণ। যে কয়েকটি টিকিট বরাদ্দ রয়েছে এর বেশিরভাগই চলে যায় কালোবাজারিদের হাতে। এই জংশনে পর্যাপ্ত পরিমানে টিকিট না থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জে শিল্পাঞ্চলের প্রতিদিন কাজ করেন দেশের বিভিন্ন জেলার কয়েক লাখ শ্রমিক। তাদের যাতায়াত এর অন্যতম ভরসা এই জংশন। অথচ টিকিটের সংখ্যা এক দশকেও বাড়েনি একটিও। নানা অজুহাতে কমিয়ে দেয়া হয়েছে আসন সংখ্যা।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, জেলার সাড়ে ২৩ লাখ মানুষের জন্য এই জংশনে সাধারণ টিকিটের সংখ্যা মাত্র ২৬০ টি। বর্তমানে সিলেট-ঢাকা লাইনে চলাচলকারী কালনী এক্সপ্রেসে রেজিস্ট্রেশনে টিকিট রয়েছে শোভন ৩৫টি, এসি চেয়ার ১৫টি, এসি কেবিন ৩। জয়ন্ত্রিকা এক্সেেপ্রসে চেয়ার ৭, এসি চেয়ার ৪টি, পারাবত এক্সপ্রেসে চেয়ার ৩০, উপবনে ৪৫ চেয়ার ও ৫টি এসি চেয়ার। অন্যদিকে, সিলেট-চট্টগ্রাম লাইনের পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ৩৫টি শোভন, ৪টি এসি চেয়ার ও ৩টি কেবিন। আর উদয়ন এক্সপ্রেসে শুধু ৪০টি চেয়ার রয়েছে। সিলেট-আখাউড়া, সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ৬টি লোকাল ট্রেনের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে পাঁচটি। সবশেষ বন্ধ হয়েছে সুরমা মেইলের একটি ট্রেন । বর্তমানে চালু থাকা আরেকটি সুরমা মেইল চলছে এক সপ্তাহ পর পর। আর ডেমু ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে বহু বছর আগে।
অভিযোগ রয়েছে, শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে ২৬০টি টিকিট থাকলেও যার বেশিরভাগই চলে যায় কালোবাজারির হাতে। রাত ১২টার পরই নামে-বেনামে টিকিট সংগ্রহ করে সিন্ডিকেট চক্র। সকাল থেকেই দাম বাড়িয়ে সাধারণ যাত্রীদের কাছে এসব টিকিট বিক্রি করে চক্রটি।
সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, ‘‘কোনভাবে টিকিটের সিন্ডিকেট থামানো যাচ্ছে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতে টিকিটের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যারা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত, তারা খুব সহজেই টিকিট পেয়ে যায়। বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ঢাকাগামী যাত্রীদের। বেশির ভাগ মানুষ ঢাকায় যাতায়াত করেন। সময় মত টিকিট না পেয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে’। টিকিটের বরাদ্দ বাড়ানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান সাধারণ যাত্রীরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:০১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
৬ বার পড়া হয়েছে

শায়েস্তাগঞ্জ রেলের টিকেট যেন সোনার হরিণ, জেলার ২৩ লাখ মানুষের জন্য টিকেট বরাদ্দ মাত্র ২৬০টি

আপডেট সময় ০৫:০১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন। যেখানে প্রতিদিন ভীড় করেন জেলার শত শত যাত্রী। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের যাত্রীরাই বেশি। নিরাপদ আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী ভ্রমণের সাধারণ মানুষের প্রথম পছন্দ রেল। তবে নিয়মিত ট্রেনের যাতায়াত থাকলেও যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না টিকেট। বর্তমান রেলের টিকিট যেন সোনার হরিণ। যে কয়েকটি টিকিট বরাদ্দ রয়েছে এর বেশিরভাগই চলে যায় কালোবাজারিদের হাতে। এই জংশনে পর্যাপ্ত পরিমানে টিকিট না থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জে শিল্পাঞ্চলের প্রতিদিন কাজ করেন দেশের বিভিন্ন জেলার কয়েক লাখ শ্রমিক। তাদের যাতায়াত এর অন্যতম ভরসা এই জংশন। অথচ টিকিটের সংখ্যা এক দশকেও বাড়েনি একটিও। নানা অজুহাতে কমিয়ে দেয়া হয়েছে আসন সংখ্যা।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, জেলার সাড়ে ২৩ লাখ মানুষের জন্য এই জংশনে সাধারণ টিকিটের সংখ্যা মাত্র ২৬০ টি। বর্তমানে সিলেট-ঢাকা লাইনে চলাচলকারী কালনী এক্সপ্রেসে রেজিস্ট্রেশনে টিকিট রয়েছে শোভন ৩৫টি, এসি চেয়ার ১৫টি, এসি কেবিন ৩। জয়ন্ত্রিকা এক্সেেপ্রসে চেয়ার ৭, এসি চেয়ার ৪টি, পারাবত এক্সপ্রেসে চেয়ার ৩০, উপবনে ৪৫ চেয়ার ও ৫টি এসি চেয়ার। অন্যদিকে, সিলেট-চট্টগ্রাম লাইনের পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ৩৫টি শোভন, ৪টি এসি চেয়ার ও ৩টি কেবিন। আর উদয়ন এক্সপ্রেসে শুধু ৪০টি চেয়ার রয়েছে। সিলেট-আখাউড়া, সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ৬টি লোকাল ট্রেনের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে পাঁচটি। সবশেষ বন্ধ হয়েছে সুরমা মেইলের একটি ট্রেন । বর্তমানে চালু থাকা আরেকটি সুরমা মেইল চলছে এক সপ্তাহ পর পর। আর ডেমু ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে বহু বছর আগে।
অভিযোগ রয়েছে, শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে ২৬০টি টিকিট থাকলেও যার বেশিরভাগই চলে যায় কালোবাজারির হাতে। রাত ১২টার পরই নামে-বেনামে টিকিট সংগ্রহ করে সিন্ডিকেট চক্র। সকাল থেকেই দাম বাড়িয়ে সাধারণ যাত্রীদের কাছে এসব টিকিট বিক্রি করে চক্রটি।
সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, ‘‘কোনভাবে টিকিটের সিন্ডিকেট থামানো যাচ্ছে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতে টিকিটের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যারা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত, তারা খুব সহজেই টিকিট পেয়ে যায়। বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ঢাকাগামী যাত্রীদের। বেশির ভাগ মানুষ ঢাকায় যাতায়াত করেন। সময় মত টিকিট না পেয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে’। টিকিটের বরাদ্দ বাড়ানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান সাধারণ যাত্রীরা।