ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের আগমনে সবজির দাম কমলেও চড়া আলুর বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

শীতকালীন সবজি বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়া রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে আলুর দাম গত সপ্তাহে দুই দফা বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৭০ টাকা। আর গত মাসে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৬০ টাকা। একই সঙ্গে কিছু সবজির দামও কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দেখা গেছে। তবে স্থিতিশীল আছে ডিম ও মুরগির দাম।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিন সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি শিম ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আজ ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০-১৬০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, শালগম ১০০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০ টাকা ও লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। টমেটো-গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। অন্যান্য সবজি ও শাক আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে।

আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মৌসুম এখন একবারে শেষদিকে। প্রতি বছর এ সময় দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর এখন বেড়ে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে।

অন্যদিকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল। খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা ও খোলা পাম তেল ১৬২-১৬৩ টাকায় বিক্রি হয়। এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৬-১৭ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বেড়েছে।

বাজারে মসলা পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেশি। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা, রসুন ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।

তবে বাজারে স্থিতিশীল আছে মুরগি ও ডিমের দাম। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় বাজারগুলোতে এর চেয়ে ৫ টাকা কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে সব ধরনের মাছ বাড়তি দামেই আটকে আছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাঁতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, গলসা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া রুই প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, রুপচাঁদা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
১ বার পড়া হয়েছে

শীতের আগমনে সবজির দাম কমলেও চড়া আলুর বাজার

আপডেট সময় ০৮:৩২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শীতকালীন সবজি বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়া রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে আলুর দাম গত সপ্তাহে দুই দফা বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৭০ টাকা। আর গত মাসে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৬০ টাকা। একই সঙ্গে কিছু সবজির দামও কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দেখা গেছে। তবে স্থিতিশীল আছে ডিম ও মুরগির দাম।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিন সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি শিম ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আজ ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০-১৬০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, শালগম ১০০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০ টাকা ও লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। টমেটো-গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। অন্যান্য সবজি ও শাক আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে।

আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মৌসুম এখন একবারে শেষদিকে। প্রতি বছর এ সময় দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর এখন বেড়ে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে।

অন্যদিকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল। খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা ও খোলা পাম তেল ১৬২-১৬৩ টাকায় বিক্রি হয়। এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৬-১৭ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বেড়েছে।

বাজারে মসলা পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেশি। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা, রসুন ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।

তবে বাজারে স্থিতিশীল আছে মুরগি ও ডিমের দাম। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় বাজারগুলোতে এর চেয়ে ৫ টাকা কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে সব ধরনের মাছ বাড়তি দামেই আটকে আছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাঁতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, গলসা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া রুই প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, রুপচাঁদা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।