ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় মামলা করা বাদীকে কুপিয়ে জখম

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মামলার বাদী মোহাম্মদ মুশাহিদকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতকারী বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরতলির আলমপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ আহত মুশাহিদকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ওসি কবির হোসেন।

আহত কাজী মোশাহিদ মিয়া বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে হবিগঞ্জ শহরে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় আমার মামলার আসামি পক্ষের আব্দুস সালাম, জলিল মিয়া, কাউছার মিয়া, কাশেম মিয়া, রিয়াজ মিয়া, হৃদয় মিয়াসহ ১৫-২০ জন লোক আমাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। এরপর তারা আমাকে আব্দুস সালামের বাড়িতে আটকে রেখে দা, রড, ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ সময় মাথা, মুখ, দাঁত ও কপালে গুরুতর জখম হয় এবং দা দিয়ে কোপানোও হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসে।

তিনি আরো জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তিনি মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিপক্ষের লোকজন তাকে হুমকি দিয়ে আসছে।

আহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, মোশাহিদকে আটকে রেখে নির্যাতনের খবর পেয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আমরা এই বর্বর নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই।

বানিয়াচং থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, কাজী মোশাহিদ বৈষম্যবিরোধী মামলার বাদী ছাড়াও একটি পৃথক মামলার আসামি। প্রতিপক্ষের কয়েকজন তাকে আটকে রেখেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর আলমপুর গ্রামের কাজী মোশাহিদ মিয়া প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা শাহনেওয়াজসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে মামলা করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:০৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
৯ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় মামলা করা বাদীকে কুপিয়ে জখম

আপডেট সময় ০১:০৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মামলার বাদী মোহাম্মদ মুশাহিদকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতকারী বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরতলির আলমপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ আহত মুশাহিদকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ওসি কবির হোসেন।

আহত কাজী মোশাহিদ মিয়া বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে হবিগঞ্জ শহরে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় আমার মামলার আসামি পক্ষের আব্দুস সালাম, জলিল মিয়া, কাউছার মিয়া, কাশেম মিয়া, রিয়াজ মিয়া, হৃদয় মিয়াসহ ১৫-২০ জন লোক আমাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। এরপর তারা আমাকে আব্দুস সালামের বাড়িতে আটকে রেখে দা, রড, ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ সময় মাথা, মুখ, দাঁত ও কপালে গুরুতর জখম হয় এবং দা দিয়ে কোপানোও হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসে।

তিনি আরো জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তিনি মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিপক্ষের লোকজন তাকে হুমকি দিয়ে আসছে।

আহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, মোশাহিদকে আটকে রেখে নির্যাতনের খবর পেয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আমরা এই বর্বর নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই।

বানিয়াচং থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, কাজী মোশাহিদ বৈষম্যবিরোধী মামলার বাদী ছাড়াও একটি পৃথক মামলার আসামি। প্রতিপক্ষের কয়েকজন তাকে আটকে রেখেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর আলমপুর গ্রামের কাজী মোশাহিদ মিয়া প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা শাহনেওয়াজসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে মামলা করেন।