ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চুনারুঘাটে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাইকে কুপিয়ে হত্যা Logo হবিগঞ্জে ৯ জনকে গুলি করে হত্যার মামলায় ওসি দেলোয়ার গ্রেফতার Logo নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজাসহ দুই আসামী গ্রেফতার Logo শায়েস্তাগঞ্জে ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় ডাকাত আলী গ্রেফতার Logo মাধবপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ওসি সহ আহত শতাধিক Logo হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত সরকারের Logo সরিনা খাতুন যেন ‘আসমানী’রই প্রতিচ্ছবি Logo বানিয়াচংয়ে সড়ক বেহাল জনদুর্ভোগে নিত্যদিনের যাত্রী ও শিক্ষার্থীরা Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo হবিগঞ্জে বিজিবির অভিযানে মাদকসহ ১০ লাখ টাকা মূল্যের চোরাচালান জব্দ

হবিগঞ্জে ৯ জনকে গুলি করে হত্যার মামলায় ওসি দেলোয়ার গ্রেফতার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-

ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে ৯জনকে হত্যার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন। বুধবার পুলিশের রংপুর রেঞ্জ অফিসে পরিদর্শক পদে কর্মস্থল থেকে রংপুর জেলা ডিবি তাকে গ্রেফতার করে।

নাইন মার্ডার মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা, বানিয়াচং থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আবু হানিফ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গ্রেফতারের পরে সেখান থেকে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ওসি দেলোয়ার বানিয়াচং থানায় কর্মরত ছিলেন। সেদিন বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে একটি মিছিল বের করে।

গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী চার-পাঁচ হাজার লোক বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই চারজনসহ সাতজন নিহত হন।
তখন চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করে। মোট মৃতের সংখ্যা হয় আট। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপ-পরিদর্শক সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত নয়জনের পরিবারের পক্ষ থেকে ও এসআই সন্তোষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলা করা হয়। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের হয়। এ মামলায় ইতোমধ্যে ৩০ জনের বেশি লোক ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
৩ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে ৯ জনকে গুলি করে হত্যার মামলায় ওসি দেলোয়ার গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৭:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে ৯জনকে হত্যার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন। বুধবার পুলিশের রংপুর রেঞ্জ অফিসে পরিদর্শক পদে কর্মস্থল থেকে রংপুর জেলা ডিবি তাকে গ্রেফতার করে।

নাইন মার্ডার মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা, বানিয়াচং থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আবু হানিফ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গ্রেফতারের পরে সেখান থেকে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ওসি দেলোয়ার বানিয়াচং থানায় কর্মরত ছিলেন। সেদিন বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে একটি মিছিল বের করে।

গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী চার-পাঁচ হাজার লোক বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই চারজনসহ সাতজন নিহত হন।
তখন চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করে। মোট মৃতের সংখ্যা হয় আট। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপ-পরিদর্শক সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত নয়জনের পরিবারের পক্ষ থেকে ও এসআই সন্তোষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলা করা হয়। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের হয়। এ মামলায় ইতোমধ্যে ৩০ জনের বেশি লোক ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।