ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তারেক রহমানের অপেক্ষায় দেশবাসী Logo হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন বিএনপির অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী Logo শায়েস্তাগঞ্জে কৃষি জমির টপসয়েল বিক্রির হিড়িক, জড়িত প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র Logo হবিগঞ্জ বালিভর্তি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ Logo হাদিকে গুলি: হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি Logo শায়েস্তাগঞ্জ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল Logo চুনারুঘাট উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ Logo হবিগঞ্জের বাহুবলে ট্রাক-চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত Logo হবিগঞ্জ বেপরোয়া ট্রাক চাপায় নারী নিহত Logo বেইলিব্রিজ ভেঙে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

হবিগঞ্জ বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালালেন ডাকাতি মামলার আসামি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডাকাতির মামলার আসামি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পুলিশের কাছ থেকে কৌশলে পালিয়ে গেছেন।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জালাল মিয়া ওরফে জালাল (৩৯) হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান বলেন, “ঘটনার পরপরই দায়িত্বরত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শহীদুল হক মুন্সীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামি ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।”

পালাতক জালাল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের মৃত ডুগাই মিয়ার ছেলে।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কান্ত নাথ বলেন, “আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। পালাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।”
তিনি আরো বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় জালাল দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জানান, তিনি বাথরুমে যাবেন। পরে কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। আসামিকে আমরা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ পুলিশ সদস্যদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম, তারাই দায়িত্বে ছিল।”

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই কাউছার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের সুন্দরপুর এলাকায় জয়নাল মিয়ার বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে তারা চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জমির আলীর পুত্র ফয়সাল মিয়া (৩২), মানিকপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার পুত্র রুবেল আহমদ রনি (২৬) ও চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের ইদ্রিছ আলীর পুত্র রুহুল আমিন (২৪)।

গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের থানা এলাকায় দুই বিএনপি নেতা ডাকাতের কবলে পড়েন। একই সময় ডাকাতের হামলায় বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৯৫ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালালেন ডাকাতি মামলার আসামি

আপডেট সময় ০৯:২৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডাকাতির মামলার আসামি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পুলিশের কাছ থেকে কৌশলে পালিয়ে গেছেন।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জালাল মিয়া ওরফে জালাল (৩৯) হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান বলেন, “ঘটনার পরপরই দায়িত্বরত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শহীদুল হক মুন্সীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামি ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।”

পালাতক জালাল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের মৃত ডুগাই মিয়ার ছেলে।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কান্ত নাথ বলেন, “আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। পালাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।”
তিনি আরো বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় জালাল দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জানান, তিনি বাথরুমে যাবেন। পরে কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। আসামিকে আমরা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ পুলিশ সদস্যদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম, তারাই দায়িত্বে ছিল।”

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই কাউছার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের সুন্দরপুর এলাকায় জয়নাল মিয়ার বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে তারা চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জমির আলীর পুত্র ফয়সাল মিয়া (৩২), মানিকপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার পুত্র রুবেল আহমদ রনি (২৬) ও চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের ইদ্রিছ আলীর পুত্র রুহুল আমিন (২৪)।

গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের থানা এলাকায় দুই বিএনপি নেতা ডাকাতের কবলে পড়েন। একই সময় ডাকাতের হামলায় বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।