ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত দিপু হত্যা মামলায় ৬ জন গ্রেপ্তার Logo শায়েস্তাগঞ্জে ইউএনও’র নম্বর হ্যাক করে টাকা দাবি Logo সুনামগঞ্জে ৪০টি ভারতীয় গরুসহ আটক ৪ Logo বৈষম্যহীন সুখী সমৃদ্ধিশালী দারিদ্রমুক্ত বাংলদেশ গঠনে যাকাতের বিকল্প নেই -ধর্ম উপদেষ্টা Logo ফারুক ও সাজিদের নেতৃত্বে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবে কমিটি গঠন Logo হবিগঞ্জে হাত-পা বেঁধে সড়কে ডাকাতি, জনতার হাতে আটক ৩ Logo লন্ডন ক্লিনিক থেকে ১৭ দিন পর বাসায় গেলেন বেগম খালেদা জিয়া Logo সুইজারল্যান্ড থেকে ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা Logo এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় চুক্তি Logo হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান শরফ উদ্দিন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত

হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আবু জাহির ও পরিবারের সদস্যদের সম্পদ ক্রোকের আদেশ

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে সাড়ে ১০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত সম্পদ ক্রোক ও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সিনিয়র স্পেশাল জজ জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন।

আদালতে দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- সাবেক এমপি ও তার পরিবারের সদস্যরা নামে বেনামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। আবু জাহিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় অনুসন্ধান করেছে বলে আবেদনে বলা হয়। সাবেক এই সাংসদের নামে ঢাকার গুলশানে এপার্টমেন্ট ও হবিগঞ্জ শহরে টাউন হল এলাকায় বাসাসহ ৯টি স্থাবর সম্পত্তির অর্জন মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৮শ টাকা। স্ত্রী আলেয়া আক্তারের নামে ৯৯ লাখ ১০ হাজার ১শ টাকা, ছেলে ইফাত জামিলের নামে ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩শ ও মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তির ৬লাখ ৫০ হাজার ১শ টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়া ভাই বদরুল আলমের নামে রয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ২শ ২১ টাকার সম্পদ।

এছাড়া আবু জাহিরের ১ কোটি ৩৯ লাখ ২ হাজার ৭০৬ টাকা মূল্যের একটি জীপ ও একটি প্রাইভেট কার রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে মেয়ে মুক্তির নামে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৬২ টাকা, আবু জাহির ও ভাই আল আমিনের যৌথ নামে ২৬লাখ ১১ হাজার ১১৪ টাকা ও আল আমিনের নামে ২৫ লাখ টাকা জমা রয়েছে। শেয়ার বাজারে ছেলে ইফাত জামিলের ৫লাখ ৯৯ হাজার ৩৩ টাকা, মেয়ে মুক্তির ১লাখ ৫৮ হাজার ৮২৩টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে (বর্তমান মেট লাইফ) আবু জাহিরের ১৯ লাখ ২০ হাজার, স্ত্রী আলেয়া আক্তারের ১৮লাখ ৯৩ হাজার ৮৮, ছেলে ইফাত জামিলের ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৪, ও ভাই বদরুলের নামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৮ টাকার বীমা রয়েছে।

দুদক আদালতকে আরো জানিয়েছে যে, আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১৯ স্থাবর ২টি যানবাহন ৪টি ব্যাংক হিসাব, ২টি শেয়ার একাউন্ট ৯টি বীমা পলিসি ১৭টি অস্থাবর সম্পত্তি। অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে। অভিযোগ নিস্পত্তির পূর্বে বর্নিত সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ করা জরুরী।

দুদকের হবিগঞ্জের পিপি এডভোকেট শামসুল হক আবু জাহিরের স্থাবর অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
৯ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আবু জাহির ও পরিবারের সদস্যদের সম্পদ ক্রোকের আদেশ

আপডেট সময় ১১:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে সাড়ে ১০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত সম্পদ ক্রোক ও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সিনিয়র স্পেশাল জজ জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন।

আদালতে দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- সাবেক এমপি ও তার পরিবারের সদস্যরা নামে বেনামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। আবু জাহিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় অনুসন্ধান করেছে বলে আবেদনে বলা হয়। সাবেক এই সাংসদের নামে ঢাকার গুলশানে এপার্টমেন্ট ও হবিগঞ্জ শহরে টাউন হল এলাকায় বাসাসহ ৯টি স্থাবর সম্পত্তির অর্জন মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৮শ টাকা। স্ত্রী আলেয়া আক্তারের নামে ৯৯ লাখ ১০ হাজার ১শ টাকা, ছেলে ইফাত জামিলের নামে ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩শ ও মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তির ৬লাখ ৫০ হাজার ১শ টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়া ভাই বদরুল আলমের নামে রয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ২শ ২১ টাকার সম্পদ।

এছাড়া আবু জাহিরের ১ কোটি ৩৯ লাখ ২ হাজার ৭০৬ টাকা মূল্যের একটি জীপ ও একটি প্রাইভেট কার রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে মেয়ে মুক্তির নামে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৬২ টাকা, আবু জাহির ও ভাই আল আমিনের যৌথ নামে ২৬লাখ ১১ হাজার ১১৪ টাকা ও আল আমিনের নামে ২৫ লাখ টাকা জমা রয়েছে। শেয়ার বাজারে ছেলে ইফাত জামিলের ৫লাখ ৯৯ হাজার ৩৩ টাকা, মেয়ে মুক্তির ১লাখ ৫৮ হাজার ৮২৩টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে (বর্তমান মেট লাইফ) আবু জাহিরের ১৯ লাখ ২০ হাজার, স্ত্রী আলেয়া আক্তারের ১৮লাখ ৯৩ হাজার ৮৮, ছেলে ইফাত জামিলের ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৪, ও ভাই বদরুলের নামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৮ টাকার বীমা রয়েছে।

দুদক আদালতকে আরো জানিয়েছে যে, আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১৯ স্থাবর ২টি যানবাহন ৪টি ব্যাংক হিসাব, ২টি শেয়ার একাউন্ট ৯টি বীমা পলিসি ১৭টি অস্থাবর সম্পত্তি। অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে। অভিযোগ নিস্পত্তির পূর্বে বর্নিত সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ করা জরুরী।

দুদকের হবিগঞ্জের পিপি এডভোকেট শামসুল হক আবু জাহিরের স্থাবর অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।