ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

৩৪ চা বাগানে উৎপাদন কমেছে ২৭ লাখ কেজি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-

চুনারুঘাটে লস্করপুর ভ্যালির ২৫টি বাগানে চা পাতার উৎপাদন কমে গেছে ৭ লাখ কেজি। শ্রমিক অসন্তোষ, তাঁদের ধর্মঘট এবং গ্যাস সংযোগ বন্ধসহ নানা বৈরী প্রভাবের ফলে এমনটি হয়েছে।

এদিকে, বকেয়া মজুরীর দাবিতে ন্যাশনাল টি কোম্পানীর (এনটিসি) ৫টি চা বাগান টানা আড়াই মাস এবং দেউন্দি টি কোম্পানীর আরও ৪টি বাগান গ্যাস বিদ্যুতের অভাবে ৩ মাস বন্ধ থাকায় এগুলোতে বিগত বছরের তুলনায় উৎপাদন কমেছে ২০ লাখ কেজি।
২০২৪ সালে লস্করপুর ভ্যালির ২৫টি বাগানে ১ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ৫৭২ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়। ২০২৩ সালে এসব বাগানে উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৪২ কেজি। সে হিসেবে ২০২৪ সালে প্রায় ৭ লাখ কেজি বা ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ উৎপাদন কমেছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে বাগানগুলো খড়ার কবলে পড়ে। এরই মধ্যে আগস্ট মাসে এনটিসির বাগানগুলো আড়াই মাস বন্ধ এবং শুরুর দিকে দেউন্দি টি কোম্পানীর চা বাগানগুলো শ্রমিক আন্দোলনের কবলে পড়ে। এছাড়া চায়ের গাছে আক্রমণ করে ‘রেড স্পাইডার’ ও ‘হেলোফিলিটস মশা’। এসব কারণে উৎপাদন কমে গেছে।
সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে বাগানে ৬০ শতাংশ চা পাতা উৎপাদন হয়। কিন্তু এ সময়ের ভেতরে শ্রমিকরা ৫টি বাগানে টানা আড়াই মাস বাগান বন্ধ রাখায় এসব বাগানে ৩০ শতাংশ চা পাতার উৎপাদন কমে যায়।

অন্যদিকে, খড়া, রেড স্পাইডার ও হেলোফিলিটস মশার আক্রমণ এবং খরচ বাড়লেও নিলামে বাড়েনি চায়ের দাম। এসব কারণে গত বছর ভ্যালীর ২৫টি বাগানে উৎপাদন কমে গেছে। লালচান্দ চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোফাজ্জেল হোসেন জানান, তাঁদের বাগানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার কারণে কয়েক মাস বন্ধ থাকে। শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা কারণে ক্ষতির মধ্যে পড়ে বাগানগুলো।

চুনারুঘাটের চন্ডিছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ও লস্করপুর ভ্যালির সভাপতি সেলিমুর রহমান সেলিম জানান, গত বছর শ্রমিক অবরোধের কারণে এনটিসির বাগানগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এর বাইরে বিদ্যুতের লোডশেডিং তো ছিলই। এছাড়া বৈরী আবহাওয়া ও নানা রোগের আক্রমণের ফলে চা শিল্প এখন খারাপ সময় অতিবাহিত করছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:২৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
৫ বার পড়া হয়েছে

৩৪ চা বাগানে উৎপাদন কমেছে ২৭ লাখ কেজি

আপডেট সময় ০৬:২৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

চুনারুঘাটে লস্করপুর ভ্যালির ২৫টি বাগানে চা পাতার উৎপাদন কমে গেছে ৭ লাখ কেজি। শ্রমিক অসন্তোষ, তাঁদের ধর্মঘট এবং গ্যাস সংযোগ বন্ধসহ নানা বৈরী প্রভাবের ফলে এমনটি হয়েছে।

এদিকে, বকেয়া মজুরীর দাবিতে ন্যাশনাল টি কোম্পানীর (এনটিসি) ৫টি চা বাগান টানা আড়াই মাস এবং দেউন্দি টি কোম্পানীর আরও ৪টি বাগান গ্যাস বিদ্যুতের অভাবে ৩ মাস বন্ধ থাকায় এগুলোতে বিগত বছরের তুলনায় উৎপাদন কমেছে ২০ লাখ কেজি।
২০২৪ সালে লস্করপুর ভ্যালির ২৫টি বাগানে ১ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ৫৭২ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়। ২০২৩ সালে এসব বাগানে উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৪২ কেজি। সে হিসেবে ২০২৪ সালে প্রায় ৭ লাখ কেজি বা ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ উৎপাদন কমেছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে বাগানগুলো খড়ার কবলে পড়ে। এরই মধ্যে আগস্ট মাসে এনটিসির বাগানগুলো আড়াই মাস বন্ধ এবং শুরুর দিকে দেউন্দি টি কোম্পানীর চা বাগানগুলো শ্রমিক আন্দোলনের কবলে পড়ে। এছাড়া চায়ের গাছে আক্রমণ করে ‘রেড স্পাইডার’ ও ‘হেলোফিলিটস মশা’। এসব কারণে উৎপাদন কমে গেছে।
সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে বাগানে ৬০ শতাংশ চা পাতা উৎপাদন হয়। কিন্তু এ সময়ের ভেতরে শ্রমিকরা ৫টি বাগানে টানা আড়াই মাস বাগান বন্ধ রাখায় এসব বাগানে ৩০ শতাংশ চা পাতার উৎপাদন কমে যায়।

অন্যদিকে, খড়া, রেড স্পাইডার ও হেলোফিলিটস মশার আক্রমণ এবং খরচ বাড়লেও নিলামে বাড়েনি চায়ের দাম। এসব কারণে গত বছর ভ্যালীর ২৫টি বাগানে উৎপাদন কমে গেছে। লালচান্দ চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোফাজ্জেল হোসেন জানান, তাঁদের বাগানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার কারণে কয়েক মাস বন্ধ থাকে। শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা কারণে ক্ষতির মধ্যে পড়ে বাগানগুলো।

চুনারুঘাটের চন্ডিছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ও লস্করপুর ভ্যালির সভাপতি সেলিমুর রহমান সেলিম জানান, গত বছর শ্রমিক অবরোধের কারণে এনটিসির বাগানগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এর বাইরে বিদ্যুতের লোডশেডিং তো ছিলই। এছাড়া বৈরী আবহাওয়া ও নানা রোগের আক্রমণের ফলে চা শিল্প এখন খারাপ সময় অতিবাহিত করছে।