ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা মহানগর ডিবির অভিযানে সাফল্য, মানুষের আস্থা ফিরেছে

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনা মহানগর পুলিশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, প্রতারক ও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার আসামি, গ্রেফতারসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ সালে মে মাসে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বি,এম, নরুজ্জামান, বিপিএম ডিসি ডিবি, তিনি যোগদান করার পরে বেশ কয়েকটি অভিযানে নিজে নেতৃত্বে চাঞ্চল্যকর মামলার গোয়েন্দা বিভাগ, কেএমপি, খুলনায় গত ১-১-২০২৪ তারিখ হতে ৩০-৬-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত উদ্ধার ও গ্রেফতার সংক্রান্ত মাদক মামলা ১২৮টি, মাদক মামলায় গ্রেফতার ১৪১ জন। ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪১৯৫ পিচ, গাঁজা ১৩ কেজি ৯৫০ গ্রাম, ফেন্সিডিল ৬২ বোতল, চোলাই মদ- ৩০০ লিটার, আইস ৪ গ্রাম অস্ত্র মামলা ১টি, গ্রেফতার ১ জন, উদ্ধার ১টি লোহার পাইপ গ্যান, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি জাল টাকা মামলা- ২টি, আসামি ২ জন, উদ্ধার- জাল২, ১৫,০০০ টাকা ।

অস্ত্র ও গুলি : খুলনা মহানগরী গত ২৬/০২/২০২৪ খুলনা মহানগর আড়ংঘাটা থানাধীন রায়েরমহল স্কুল রোডস্থ ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর শেখ রবিউল ইসলাম (৩০), পিতা-শেখ লাল মিয়া, মাতা-পেয়ারা বেগম, সাং-রায়ের মহল বাঙ্গালবাড়ী ক্রস রোড মুন্সিপাড়া (সরকারি জায়গায় ঘর তুলে বসবাস), থানা-আড়ংঘাটা, মহানগর খুলনা’কে ১ (এক) টি লোহার তৈরী পাইপ গান ও ২ (দুই) রাউন্ড কার্তুজ সহ আটক করা হয়। আড়ংঘাটা থানার মামলা নং-১১ তাং-২৭/০২/২০২৪ তারিখ ধারা- ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-অ রুজু করেন।

হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার : খুলনা মহানগরী এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন রাত্র অনুমান ২টা ৪০ সময় খুলনা থানাধীন ৫ নং মাছ ঘাট এলাকা হতে খালিশপুর থানার মামলা নং-৬, তাং-৭/০৬/২০২৪ তারিখ ধারা-৩০২/১০৯/৩৪ পেনাল কোড এর খালিশপুর থানা এলাকায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র ধারা শামীম তালুকদার শাওন হত্যা মামলায় এজারহারনামীয় ৫ নং আসামি মো. আলমগীর হাওলাদার (২৩) পিতা-মৃত আলতাফ হাওলাদার আয়ুব হাওলাদার, মাতা- রুনা বেগম, সাং-নলছিটি, পোস্ট-ভান্ডারিয়া, জেলা-পিরোজপুর, এ/পি- সি ব্লক, রেলওয়ে বন্ধি ৫নং মাছ ঘাট, খুলনা’কে আটক করা হয়। গত ২৩/০১/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় ৫০ সময় সোনাডাঙ্গা থানাধীন ৩১ কেডিএ এভিনিউ রোডস্থ আহসানউল্লাহ কলেজের মেইন গেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর সাদিকুর রহমান রানা বিহারী রানা (৩৬), পিতা-মো: ইসলাম শেখ, থানা-সোনাডাঙ্গা মডেল, মহানগর খুলনা’কে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং তার বন্ধু মোঃ জাহিদ হাসান পলাশ (৩৬) গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়। ভিকটিমের স্ত্রী হাবিবা খাতুন (৩০) বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার মামলা নং-১৭ তাং-২৩/০১/২০২৪, ধারা-৩০২/৩০৭/৩২৬ পেনাল কোড রুজু হয়।
দৌলতপুরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা

আরেকটি ঘটনায় গত ৫/১০/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা গাবতলা মোড় ভাজাওয়ালার গলি তালুকদার লেন মোহাম্মদ খার বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার উপর মোঃ ইমন (২৩), পিতা-মোঃ সানোয়ার হোসেন, থানা- সোনাডাঙ্গা মডেল, মহানগর খুলনা’কে গুলি করে হত্যা করা হয়। ভিকটিমের বাবা মোঃ সানোয়ার হোসেন (৪৩) বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার মামলা নং- ৯ তাং-৬/১০/২০২৩, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি চৌকস টীম উক্ত ২ টি হত্যা মামলার আসামীদের ধরার জন্য সচেষ্ট হয় পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে সোনাডাঙ্গা থানার ১৭নং মামলার ৪ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামী এবং সোনাডাঙ্গা থানার ৯নং মামলার ১ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ সৌরভ ফরিদ গাজী (৩২), পিতা-মো: ফারুক গাজী, মাতা- তাসলিমা বেগম, সাং-শহীদ আবুল হোসেন সড়ক, শেখপাড়া মেইন রোড, থানা-সোনাডাঙ্গা মডেল, মহানগর খুলনা’কে ২/০৭/২০২৪ তারিখ সময় রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে আড়ংঘাটা থানাধীন গাইকুর প্রাইমারী স্কুল মাঠের সামনে পুরাতন সাতক্ষীরা রোডের উপর হতে গ্রেফতার করা হয়।

জাল টাকা : খুলনা সদর থানাধীন ১ নং কাস্টমঘাটস্থ খুলনা জেলা স্কুল মোড়স্থ জনতা ব্যাংক পিএলসি শাখার বিপরীত পাশে পাকা রাস্তার উপর সেলিনা আক্তার (তিশা) (২৫), পিতা-মৃত আঃ আজিজ মোল্লা, মাতা-পারুল বেগম, স্বামী-বশির মিয়া, সাং-বংশাল পুকুরপাড়, তাতী বাজার মোড়, পুরাতন ঢাকা রোড নং-২২৩, বাসা নং-৩৪৯, থানা-বংশাল, মহানগর ঢাকা, এ/পি-সাং-বাগমারা, পোষ্ট-পূর্ব রূপসা, (মোঃ হায়দার আলী মাস্টারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-রূপসা, জেলা-খুলনা’কে একটি খয়েরী রংয়ের ভ্যানেটি ব্যাগের মধ্য থেকে সর্বমোট ১,১৫,০০০ (এক লক্ষ পনের হাজার) কথিত জাল টাকাসহ আটক করেন। খুলনা সদর থানার মামলা নং-৩৮ তারিখ-২৫/০৪/২০২৪ তারিখ ধারা-১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্টস্ এর ২৫-৭। খালিশপুর থানার মামলা নং-২২, তাং-১৫/৬/২৪ তারিখ ধারা- ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্টস্ এর ২৫-৭ মূলে মোঃ মামুন মোল্যা, পিতা-মৃত আবুল হালিম মোল্যা, সাং- সুকতাইর, থানা ও জেলা-গোপালগঞ্জ’কে ১,০০,০০০, লক্ষ টাকা সহ গ্রেফতার করা হয়।

ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সহযোগী ড্রাইভার গ্রেফতার : এম সোহেল আরমান (৩৮), পিতা-মোঃ আবুল ফজল, সাং-ডুবি, থানা-বটিয়াঘাটা, জেলা-খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিল এবং দুর্নীতির দায়ে চাকুরি চলে যায়। এক পর্যায়ে এম সোহেল আরমান খুলনা মহানগরী এলাকায় নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে খুলনা মহানগরী এলাকায় ২৫টিরও বেশি জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে।

গত ৮ জুন ২০২৪ তারিখ রাত ৮টায় সময় খুলনা সদর থানাধীন ডাকবাংলা মোড়ের লাভলু হোটেলে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে ২০,০০০- (বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করেন। (লাভলু হোটেলের ম্যানেজার) বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে খুলনা সদর থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-১০/০৬/২০২৪ তারিখে, ধারা-১৭০/৪০৬/৪১৯/৪২০/৪৬৬/৪৬৮/৪৭১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুন ২০২৪ রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ঘটিকার সময় খালিশপুর থানাধীন বৈকালী এলাকায় অভিযান পরিচলনা করে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট ১) এম সোহেল আরমান (৩৮), পিতা-মোঃ আবুল ফজল, সাং-ডুবি, থানা-বটিয়াঘাটা, জেলা-খুলনা ও তার সহযোগী ড্রাইভার’কে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া ডিবি পুলিশ গত আগস্ট মাসে খুলনা প্রশংসনীয় ভূমিকার সাথে সাধারণ জনগণের পাশে থেকে মহামারী করোনায় কর্মহীন অনাহারী হত দরিদ্র মানুষদের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করে দিতে কার্পন্যতা করছেন না। সার্বক্ষণি খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি খুলনায় মানুষের সাথে বি,এম, নরুজ্জামান, বিপিএম ডিসি ডিবি মানবিক ব্যক্তিত্ব।

দেশের এই দুঃসময় ক্রান্তি লগ্নে বিরামহীনভাবে সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে অসহায় মানব বন্ধবের পরিচয় দিয়ে দৃষ্টান্ত স্বরূপ সকল খুলনাবাসীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। ডিবি পুলিশ শুধু সমাজের কুচক্র মহল দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি প্রকৃত জনবান্ধব হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে অনাহারি ও কর্মহীনদের দুঃসময়ের বন্ধু হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দিন রাত মানবিক সেবায় নিয়োজিত রাখা ও পুলিশ বাহিনীর বলিষ্ঠ ভূমিকার অবকাঠামো।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বি,এম, নরুজ্জামান,বিপিএম ডিসি ডিবি বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কশিনার স্যারের দিকনির্দেশনায় আমরা খুলনা মহানগর পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা দিতে সব সময় মানুষের পাশে আছি। অস্ত্রধারী সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ডাকাতি, অপহরণ, চুরি, খুন, ধর্ষণ চাঁদাবাজ, যে দলের হউক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৪০:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
২০ বার পড়া হয়েছে

খুলনা মহানগর ডিবির অভিযানে সাফল্য, মানুষের আস্থা ফিরেছে

আপডেট সময় ০৭:৪০:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

খুলনা মহানগর পুলিশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, প্রতারক ও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার আসামি, গ্রেফতারসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ সালে মে মাসে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বি,এম, নরুজ্জামান, বিপিএম ডিসি ডিবি, তিনি যোগদান করার পরে বেশ কয়েকটি অভিযানে নিজে নেতৃত্বে চাঞ্চল্যকর মামলার গোয়েন্দা বিভাগ, কেএমপি, খুলনায় গত ১-১-২০২৪ তারিখ হতে ৩০-৬-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত উদ্ধার ও গ্রেফতার সংক্রান্ত মাদক মামলা ১২৮টি, মাদক মামলায় গ্রেফতার ১৪১ জন। ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪১৯৫ পিচ, গাঁজা ১৩ কেজি ৯৫০ গ্রাম, ফেন্সিডিল ৬২ বোতল, চোলাই মদ- ৩০০ লিটার, আইস ৪ গ্রাম অস্ত্র মামলা ১টি, গ্রেফতার ১ জন, উদ্ধার ১টি লোহার পাইপ গ্যান, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি জাল টাকা মামলা- ২টি, আসামি ২ জন, উদ্ধার- জাল২, ১৫,০০০ টাকা ।

অস্ত্র ও গুলি : খুলনা মহানগরী গত ২৬/০২/২০২৪ খুলনা মহানগর আড়ংঘাটা থানাধীন রায়েরমহল স্কুল রোডস্থ ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর শেখ রবিউল ইসলাম (৩০), পিতা-শেখ লাল মিয়া, মাতা-পেয়ারা বেগম, সাং-রায়ের মহল বাঙ্গালবাড়ী ক্রস রোড মুন্সিপাড়া (সরকারি জায়গায় ঘর তুলে বসবাস), থানা-আড়ংঘাটা, মহানগর খুলনা’কে ১ (এক) টি লোহার তৈরী পাইপ গান ও ২ (দুই) রাউন্ড কার্তুজ সহ আটক করা হয়। আড়ংঘাটা থানার মামলা নং-১১ তাং-২৭/০২/২০২৪ তারিখ ধারা- ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-অ রুজু করেন।

হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার : খুলনা মহানগরী এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন রাত্র অনুমান ২টা ৪০ সময় খুলনা থানাধীন ৫ নং মাছ ঘাট এলাকা হতে খালিশপুর থানার মামলা নং-৬, তাং-৭/০৬/২০২৪ তারিখ ধারা-৩০২/১০৯/৩৪ পেনাল কোড এর খালিশপুর থানা এলাকায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র ধারা শামীম তালুকদার শাওন হত্যা মামলায় এজারহারনামীয় ৫ নং আসামি মো. আলমগীর হাওলাদার (২৩) পিতা-মৃত আলতাফ হাওলাদার আয়ুব হাওলাদার, মাতা- রুনা বেগম, সাং-নলছিটি, পোস্ট-ভান্ডারিয়া, জেলা-পিরোজপুর, এ/পি- সি ব্লক, রেলওয়ে বন্ধি ৫নং মাছ ঘাট, খুলনা’কে আটক করা হয়। গত ২৩/০১/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় ৫০ সময় সোনাডাঙ্গা থানাধীন ৩১ কেডিএ এভিনিউ রোডস্থ আহসানউল্লাহ কলেজের মেইন গেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর সাদিকুর রহমান রানা বিহারী রানা (৩৬), পিতা-মো: ইসলাম শেখ, থানা-সোনাডাঙ্গা মডেল, মহানগর খুলনা’কে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং তার বন্ধু মোঃ জাহিদ হাসান পলাশ (৩৬) গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়। ভিকটিমের স্ত্রী হাবিবা খাতুন (৩০) বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার মামলা নং-১৭ তাং-২৩/০১/২০২৪, ধারা-৩০২/৩০৭/৩২৬ পেনাল কোড রুজু হয়।
দৌলতপুরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা

আরেকটি ঘটনায় গত ৫/১০/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা গাবতলা মোড় ভাজাওয়ালার গলি তালুকদার লেন মোহাম্মদ খার বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার উপর মোঃ ইমন (২৩), পিতা-মোঃ সানোয়ার হোসেন, থানা- সোনাডাঙ্গা মডেল, মহানগর খুলনা’কে গুলি করে হত্যা করা হয়। ভিকটিমের বাবা মোঃ সানোয়ার হোসেন (৪৩) বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার মামলা নং- ৯ তাং-৬/১০/২০২৩, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি চৌকস টীম উক্ত ২ টি হত্যা মামলার আসামীদের ধরার জন্য সচেষ্ট হয় পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে সোনাডাঙ্গা থানার ১৭নং মামলার ৪ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামী এবং সোনাডাঙ্গা থানার ৯নং মামলার ১ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ সৌরভ ফরিদ গাজী (৩২), পিতা-মো: ফারুক গাজী, মাতা- তাসলিমা বেগম, সাং-শহীদ আবুল হোসেন সড়ক, শেখপাড়া মেইন রোড, থানা-সোনাডাঙ্গা মডেল, মহানগর খুলনা’কে ২/০৭/২০২৪ তারিখ সময় রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে আড়ংঘাটা থানাধীন গাইকুর প্রাইমারী স্কুল মাঠের সামনে পুরাতন সাতক্ষীরা রোডের উপর হতে গ্রেফতার করা হয়।

জাল টাকা : খুলনা সদর থানাধীন ১ নং কাস্টমঘাটস্থ খুলনা জেলা স্কুল মোড়স্থ জনতা ব্যাংক পিএলসি শাখার বিপরীত পাশে পাকা রাস্তার উপর সেলিনা আক্তার (তিশা) (২৫), পিতা-মৃত আঃ আজিজ মোল্লা, মাতা-পারুল বেগম, স্বামী-বশির মিয়া, সাং-বংশাল পুকুরপাড়, তাতী বাজার মোড়, পুরাতন ঢাকা রোড নং-২২৩, বাসা নং-৩৪৯, থানা-বংশাল, মহানগর ঢাকা, এ/পি-সাং-বাগমারা, পোষ্ট-পূর্ব রূপসা, (মোঃ হায়দার আলী মাস্টারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-রূপসা, জেলা-খুলনা’কে একটি খয়েরী রংয়ের ভ্যানেটি ব্যাগের মধ্য থেকে সর্বমোট ১,১৫,০০০ (এক লক্ষ পনের হাজার) কথিত জাল টাকাসহ আটক করেন। খুলনা সদর থানার মামলা নং-৩৮ তারিখ-২৫/০৪/২০২৪ তারিখ ধারা-১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্টস্ এর ২৫-৭। খালিশপুর থানার মামলা নং-২২, তাং-১৫/৬/২৪ তারিখ ধারা- ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্টস্ এর ২৫-৭ মূলে মোঃ মামুন মোল্যা, পিতা-মৃত আবুল হালিম মোল্যা, সাং- সুকতাইর, থানা ও জেলা-গোপালগঞ্জ’কে ১,০০,০০০, লক্ষ টাকা সহ গ্রেফতার করা হয়।

ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সহযোগী ড্রাইভার গ্রেফতার : এম সোহেল আরমান (৩৮), পিতা-মোঃ আবুল ফজল, সাং-ডুবি, থানা-বটিয়াঘাটা, জেলা-খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিল এবং দুর্নীতির দায়ে চাকুরি চলে যায়। এক পর্যায়ে এম সোহেল আরমান খুলনা মহানগরী এলাকায় নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে খুলনা মহানগরী এলাকায় ২৫টিরও বেশি জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে।

গত ৮ জুন ২০২৪ তারিখ রাত ৮টায় সময় খুলনা সদর থানাধীন ডাকবাংলা মোড়ের লাভলু হোটেলে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে ২০,০০০- (বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করেন। (লাভলু হোটেলের ম্যানেজার) বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে খুলনা সদর থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-১০/০৬/২০২৪ তারিখে, ধারা-১৭০/৪০৬/৪১৯/৪২০/৪৬৬/৪৬৮/৪৭১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুন ২০২৪ রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ঘটিকার সময় খালিশপুর থানাধীন বৈকালী এলাকায় অভিযান পরিচলনা করে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট ১) এম সোহেল আরমান (৩৮), পিতা-মোঃ আবুল ফজল, সাং-ডুবি, থানা-বটিয়াঘাটা, জেলা-খুলনা ও তার সহযোগী ড্রাইভার’কে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া ডিবি পুলিশ গত আগস্ট মাসে খুলনা প্রশংসনীয় ভূমিকার সাথে সাধারণ জনগণের পাশে থেকে মহামারী করোনায় কর্মহীন অনাহারী হত দরিদ্র মানুষদের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করে দিতে কার্পন্যতা করছেন না। সার্বক্ষণি খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি খুলনায় মানুষের সাথে বি,এম, নরুজ্জামান, বিপিএম ডিসি ডিবি মানবিক ব্যক্তিত্ব।

দেশের এই দুঃসময় ক্রান্তি লগ্নে বিরামহীনভাবে সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে অসহায় মানব বন্ধবের পরিচয় দিয়ে দৃষ্টান্ত স্বরূপ সকল খুলনাবাসীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। ডিবি পুলিশ শুধু সমাজের কুচক্র মহল দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি প্রকৃত জনবান্ধব হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে অনাহারি ও কর্মহীনদের দুঃসময়ের বন্ধু হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দিন রাত মানবিক সেবায় নিয়োজিত রাখা ও পুলিশ বাহিনীর বলিষ্ঠ ভূমিকার অবকাঠামো।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বি,এম, নরুজ্জামান,বিপিএম ডিসি ডিবি বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কশিনার স্যারের দিকনির্দেশনায় আমরা খুলনা মহানগর পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা দিতে সব সময় মানুষের পাশে আছি। অস্ত্রধারী সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ডাকাতি, অপহরণ, চুরি, খুন, ধর্ষণ চাঁদাবাজ, যে দলের হউক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।