ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বহুদলীয় গণতন্ত্র ও প্রেসিডেন্ট জিয়া

মঈনুল হাসান রতন

জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বনামধন্য একজন সামরিক ব্যক্তিত্ব। লেফট্যানেন্ট জেনারেল পদবীর অধিকারী হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান মনে করতেন দেশ জয় বা দেম রক্ষায় সামরিক প্রশাসন জরুরী।

কিন্তু দেশ পরিচালনায় গণতান্ত্রিক বেসামরিক প্রশাসন প্রয়োজন। রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়ে বেসামরিক প্রশাসন প্রয়োজন। রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়ে বেসামরিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সামরিক ব্যক্তিত্ব জিয়াউর রহমানের অবদান যুগান্তকারী। ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের মর্মান্তিক ঘটনা, ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থান, ৭ নভেম্বররের সিপাী জনতার বিপ্লবের পর রাষ্ট্রীয় বৃহত্তর স্বার্থে সিপাহীরা সেনাপ্রধান জিয়াকে বন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করে এনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসান। জিয়া প্রথমে ডেপুটি চিফ মার্শাল ল’ এডমিনিসস্ট্রটর হিসেবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হন। পরে ২১ এপ্রিল ৭৬ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ.এম.এম সায়েম জিয়ার হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা তুলে দিয়ে নিজে সরে পড়েন।

১৯৭৬ সালের ২১ এপ্রিল থেকেই লেপট্যানেন্ট জেনারেল জিয়াউর প্রেসিডেন্ট ও চিপ মার্শাল ল’ এডমিনিসস্ট্রেটর গুরু দায়িত্ব লাভ করেন। জনগণই ক্ষমতার উৎস, জনগণ ক্ষমতায় বসান জনগণ ক্ষমতা থেকে নামান।

সিপাহী জনতাই দেশপ্রেমিক জিয়াকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছেন। প্রেডিডেন্ট জিয়া পর্যায়ক্রমে জাতিকে গণতন্ত্র ফিরে দিতে নিবেদিত হন। প্রথমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশবাসী তাকে মানেন কি হ্যাঁ বা না ভোট দিয়ে জাতির কাছে প্রশ্ন রাখেন। ৩০ শে নভেম্বর ১৯৭৭ অনুষ্ঠিত গণভোটে জাতি শতকরা ৯৮ ভাগ হ্যা ভোট দিয়ে শহীদ জিয়ার প্রতি সমর্থন জানান।

যে রাজনৈতিক সেবা কার্যক্রম শুরু হয় স্থানীয় সরকারই তার গ্রাম গঞ্জে জনগণের হাতে পৌছে দেন। হ্যাঁ না ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট জিয়ার সম্মুখে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আবশ্যক হয়ে পড়ে। প্রয়োজনের তাগিদে জিয়ার সরকার ১৯৭৭ সালে জানুয়ারি মাসে ৪৩৫২ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং আগস্ট মাসে ৭৮টি পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করেন। তৎপর উন্নয়ন রাজনীতির নামে ১৯ দফা কর্মসূচী করে শহীদ জিয়া ছুটে যান সাধারণ জনগণের কাছে। শুরু করেন উন্নয়নের রাজনীতি।

শুকনো মৌসুমে ক্ষেতের পানি সেচের সুবিধার জন্যখাল খনন কর্মসূচী তার প্রধান ছিল। কোদাল হাতে তিনিও হাতে নিয়ে তিনি খাল খনন কর্মসূচী শুরু করেন। রাষ্ট্র পরিচালনা সময় দেশ ব্যাপী উৎপাদনের জোয়ার সৃষ্টি করেন রাষ্ট্র নায়ক জিয়াউর রহমান ।

গণতান্ত্রিক ধাপগুলোকে পূর্ণ করতে তৃণমূলের সাথে সমন্বয় করে রাজনীতি চাঙ্গা করে । প্রেসিডেন্ট জিয়া তৃণমূল নির্বাচন শেষে জাতিকে উৎপাদনে না দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের দিকে পা বাড়ান। জিয়া সরকার ১৯৭৬ সালে ২৮ শে জুলাই রাজনৈতিক দল বিধি (পিপিআর) জারি করেন (পিপিআর) জারির ফলে প্রথমে ২১টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন লাভ করেন। পরে আরও নতুন পুরাতন দল ছাড়পত্র পায়।

শহীদ জিয়ার চিন্তা চেতনা গঠিত জাতীয়তা বাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে। জিয়ার সরকার সব রাজনৈতিক দলকে প্রাথমিক ভাবে রাজনীতি করার অনুমতি দেন। ১৯৭৮ সালে ১লা মে থেকে (পিপিআর) উঠিয়ে দেওয়া হয়। এর দরুন সারা দেশ ব্যাপী ঘরে বাইরে মাঠে ময়দানে অবাধ রাজনীতি দোয়ার খুলে।

এভাবে বাকশালী আইনে কেড়ে নেওয়া বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতিকে আবার ফিরিয়ে দেন। এ ধারাবাহিকতায় জিয়ার সরকার দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জাগদল কে কেন্দ্র করে (ন্যাপ ভাসানী) ছয়টি দল সমন্বয়ে গঠিত হয় জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট। জিয়া ছিলেন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী।

অপরদিকে জেনালের উসমানী উদ্যোগে জাতীয় জনতা পার্টির নামে একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন লাভ করে। আসন্ন প্রেডিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় জনতা পার্টিকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সহ ৬টি পার্টি সমবায়ে গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট গঠিত হয়। গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্ধিতা হয় জেনারেল ওসমানি লেফট্যানেন্ট জেনারেল জিয়ার মধ্যে । এই দুই ব্যক্তি জাতির কাছে পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে ৩ জুন ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতি বিপুল ভোট দিয়ে জেনারেল জিয়াকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন।

জেনারেল ওসমানী ঐ নির্বাচনের রায়কে শ্রদ্ধাভরে মেনে নেন। জিয়াউর রহমানের প্রচেষ্ঠায় দেশপ্রেমিক ইসলাম প্রিয়, জাতীয়তাবাদী, স্বাধীনতাকে অর্থবহল করার শক্তি হিসেবে ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ সালে জাগদল থেকে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নামে এই বৃহৎ দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া চূড়ান্ত ভাবে দেশের গণতান্তিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ নির্বাচনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।

১৮ ই ফেব্র“য়ারি ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ৩১টি দল অংশগ্রহণ করেন। এদের থেকে ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি ২০৭ টি আসন লাভ করে। ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনের পর একক সংখ্যা ঘনিষ্ট দল হিসেবে বিএনপি সরকার গঠন করে। প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক আহমেদেরে জারি করা মার্শাল ল’ ক্ষমতাসীন হয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়া দেশ থেকে উঠিয়ে দেন।

প্রেসিডেন্ট জিয়ার হাত ধরে ৬ এপ্রিল ১৯৭৮ ইং থেকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা দেশে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। তাই বলা হয় বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৫৮:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৬৫ বার পড়া হয়েছে

বহুদলীয় গণতন্ত্র ও প্রেসিডেন্ট জিয়া

আপডেট সময় ০৭:৫৮:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বনামধন্য একজন সামরিক ব্যক্তিত্ব। লেফট্যানেন্ট জেনারেল পদবীর অধিকারী হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান মনে করতেন দেশ জয় বা দেম রক্ষায় সামরিক প্রশাসন জরুরী।

কিন্তু দেশ পরিচালনায় গণতান্ত্রিক বেসামরিক প্রশাসন প্রয়োজন। রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়ে বেসামরিক প্রশাসন প্রয়োজন। রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়ে বেসামরিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সামরিক ব্যক্তিত্ব জিয়াউর রহমানের অবদান যুগান্তকারী। ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের মর্মান্তিক ঘটনা, ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থান, ৭ নভেম্বররের সিপাী জনতার বিপ্লবের পর রাষ্ট্রীয় বৃহত্তর স্বার্থে সিপাহীরা সেনাপ্রধান জিয়াকে বন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করে এনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসান। জিয়া প্রথমে ডেপুটি চিফ মার্শাল ল’ এডমিনিসস্ট্রটর হিসেবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হন। পরে ২১ এপ্রিল ৭৬ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ.এম.এম সায়েম জিয়ার হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা তুলে দিয়ে নিজে সরে পড়েন।

১৯৭৬ সালের ২১ এপ্রিল থেকেই লেপট্যানেন্ট জেনারেল জিয়াউর প্রেসিডেন্ট ও চিপ মার্শাল ল’ এডমিনিসস্ট্রেটর গুরু দায়িত্ব লাভ করেন। জনগণই ক্ষমতার উৎস, জনগণ ক্ষমতায় বসান জনগণ ক্ষমতা থেকে নামান।

সিপাহী জনতাই দেশপ্রেমিক জিয়াকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছেন। প্রেডিডেন্ট জিয়া পর্যায়ক্রমে জাতিকে গণতন্ত্র ফিরে দিতে নিবেদিত হন। প্রথমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশবাসী তাকে মানেন কি হ্যাঁ বা না ভোট দিয়ে জাতির কাছে প্রশ্ন রাখেন। ৩০ শে নভেম্বর ১৯৭৭ অনুষ্ঠিত গণভোটে জাতি শতকরা ৯৮ ভাগ হ্যা ভোট দিয়ে শহীদ জিয়ার প্রতি সমর্থন জানান।

যে রাজনৈতিক সেবা কার্যক্রম শুরু হয় স্থানীয় সরকারই তার গ্রাম গঞ্জে জনগণের হাতে পৌছে দেন। হ্যাঁ না ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট জিয়ার সম্মুখে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আবশ্যক হয়ে পড়ে। প্রয়োজনের তাগিদে জিয়ার সরকার ১৯৭৭ সালে জানুয়ারি মাসে ৪৩৫২ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং আগস্ট মাসে ৭৮টি পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করেন। তৎপর উন্নয়ন রাজনীতির নামে ১৯ দফা কর্মসূচী করে শহীদ জিয়া ছুটে যান সাধারণ জনগণের কাছে। শুরু করেন উন্নয়নের রাজনীতি।

শুকনো মৌসুমে ক্ষেতের পানি সেচের সুবিধার জন্যখাল খনন কর্মসূচী তার প্রধান ছিল। কোদাল হাতে তিনিও হাতে নিয়ে তিনি খাল খনন কর্মসূচী শুরু করেন। রাষ্ট্র পরিচালনা সময় দেশ ব্যাপী উৎপাদনের জোয়ার সৃষ্টি করেন রাষ্ট্র নায়ক জিয়াউর রহমান ।

গণতান্ত্রিক ধাপগুলোকে পূর্ণ করতে তৃণমূলের সাথে সমন্বয় করে রাজনীতি চাঙ্গা করে । প্রেসিডেন্ট জিয়া তৃণমূল নির্বাচন শেষে জাতিকে উৎপাদনে না দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের দিকে পা বাড়ান। জিয়া সরকার ১৯৭৬ সালে ২৮ শে জুলাই রাজনৈতিক দল বিধি (পিপিআর) জারি করেন (পিপিআর) জারির ফলে প্রথমে ২১টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন লাভ করেন। পরে আরও নতুন পুরাতন দল ছাড়পত্র পায়।

শহীদ জিয়ার চিন্তা চেতনা গঠিত জাতীয়তা বাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে। জিয়ার সরকার সব রাজনৈতিক দলকে প্রাথমিক ভাবে রাজনীতি করার অনুমতি দেন। ১৯৭৮ সালে ১লা মে থেকে (পিপিআর) উঠিয়ে দেওয়া হয়। এর দরুন সারা দেশ ব্যাপী ঘরে বাইরে মাঠে ময়দানে অবাধ রাজনীতি দোয়ার খুলে।

এভাবে বাকশালী আইনে কেড়ে নেওয়া বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতিকে আবার ফিরিয়ে দেন। এ ধারাবাহিকতায় জিয়ার সরকার দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জাগদল কে কেন্দ্র করে (ন্যাপ ভাসানী) ছয়টি দল সমন্বয়ে গঠিত হয় জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট। জিয়া ছিলেন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী।

অপরদিকে জেনালের উসমানী উদ্যোগে জাতীয় জনতা পার্টির নামে একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন লাভ করে। আসন্ন প্রেডিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় জনতা পার্টিকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সহ ৬টি পার্টি সমবায়ে গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট গঠিত হয়। গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্ধিতা হয় জেনারেল ওসমানি লেফট্যানেন্ট জেনারেল জিয়ার মধ্যে । এই দুই ব্যক্তি জাতির কাছে পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে ৩ জুন ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতি বিপুল ভোট দিয়ে জেনারেল জিয়াকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন।

জেনারেল ওসমানী ঐ নির্বাচনের রায়কে শ্রদ্ধাভরে মেনে নেন। জিয়াউর রহমানের প্রচেষ্ঠায় দেশপ্রেমিক ইসলাম প্রিয়, জাতীয়তাবাদী, স্বাধীনতাকে অর্থবহল করার শক্তি হিসেবে ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ সালে জাগদল থেকে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নামে এই বৃহৎ দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া চূড়ান্ত ভাবে দেশের গণতান্তিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ নির্বাচনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।

১৮ ই ফেব্র“য়ারি ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ৩১টি দল অংশগ্রহণ করেন। এদের থেকে ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি ২০৭ টি আসন লাভ করে। ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনের পর একক সংখ্যা ঘনিষ্ট দল হিসেবে বিএনপি সরকার গঠন করে। প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক আহমেদেরে জারি করা মার্শাল ল’ ক্ষমতাসীন হয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়া দেশ থেকে উঠিয়ে দেন।

প্রেসিডেন্ট জিয়ার হাত ধরে ৬ এপ্রিল ১৯৭৮ ইং থেকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা দেশে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। তাই বলা হয় বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।