ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীগঞ্জের ঘোলডুবা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের অব্যহতি কার্যকর করার দাবী

মোঃ সাগর আহমেদ নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

নবীগঞ্জ উপজেলার ঘোলডুবা মান্নান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিনের অব্যহতি কার্যকর ও একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও দুর্নীতিমুক্ত প্রধান শিক্ষক মনোনীত করার দাবী তুলে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনপত্র দিয়েছেন স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহল।

৫ শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহলের স্বাক্ষরিত আবেদন পত্রে বলা হয়েছে, উক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিনের দীর্ঘদিনের অনিয়ম, দূর্নীতি, অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্য, দায়িত্বে অবহেলা, ক্লাস না নেওয়া, প্রভাব খাটানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ফলে বিগত ২৫ আগষ্ট রবিবার অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ, সেই সময়ে দায়িত্বরত সেনা সদস্যগণ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিগনের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন কোনো প্রকার বল প্রয়োগ ছাড়া স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, চাকুরি থেকে অব্যহতি নেন। পদত্যাগের এক মাস অতিবাহিত হবার পরও পদত্যাগকারী প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিনের অব্যহতি পত্র কার্যকর না হওয়ায় বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে এবং পদত্যাগকারী প্রধান শিক্ষকের আপত্তির ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন ভাতাদী ব্যাংক কর্তৃক বন্ধ আছে, যা অত্যান্ত অমানবিক।

প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো, অর্থ লেনদেন এবং নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদান। মেধা এবং অভিজ্ঞতার বিচার না করে বিভিন্ন ছলছাতুরির মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করায় বিগত দিনে তা হবিগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে নিয়োগে অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিবাবক সদস্য স্ব-উদ্দোগে হবিগঞ্জ কোর্টে অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জন্য মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।

বর্তমানে অনেকেই প্রচার করছেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন যদি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান তাহলে পদত্যাগকারী দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে তিনি পূর্নবাসন করবেন। এমনকি সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনও পদত্যাগ কারী প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক শিক্ষক প্রতিনিধির বৈঠকে সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনকে ভারপাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে মনোনিত করার বিষয়ে তারা ভারাক্রান্ত, উত্তেজিত এবং এর জোড় প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্কার প্রতিফলন ঘটিয়ে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমের লক্ষে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির মতামতের ভিত্তিতে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, দূর্নীতি মূক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোনিত করার দাবী জানিয়েছেন তারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৫৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১২ বার পড়া হয়েছে

নবীগঞ্জের ঘোলডুবা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের অব্যহতি কার্যকর করার দাবী

আপডেট সময় ১০:৫৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নবীগঞ্জ উপজেলার ঘোলডুবা মান্নান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিনের অব্যহতি কার্যকর ও একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও দুর্নীতিমুক্ত প্রধান শিক্ষক মনোনীত করার দাবী তুলে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনপত্র দিয়েছেন স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহল।

৫ শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহলের স্বাক্ষরিত আবেদন পত্রে বলা হয়েছে, উক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিনের দীর্ঘদিনের অনিয়ম, দূর্নীতি, অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্য, দায়িত্বে অবহেলা, ক্লাস না নেওয়া, প্রভাব খাটানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ফলে বিগত ২৫ আগষ্ট রবিবার অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ, সেই সময়ে দায়িত্বরত সেনা সদস্যগণ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিগনের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন কোনো প্রকার বল প্রয়োগ ছাড়া স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, চাকুরি থেকে অব্যহতি নেন। পদত্যাগের এক মাস অতিবাহিত হবার পরও পদত্যাগকারী প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিনের অব্যহতি পত্র কার্যকর না হওয়ায় বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে এবং পদত্যাগকারী প্রধান শিক্ষকের আপত্তির ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন ভাতাদী ব্যাংক কর্তৃক বন্ধ আছে, যা অত্যান্ত অমানবিক।

প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো, অর্থ লেনদেন এবং নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদান। মেধা এবং অভিজ্ঞতার বিচার না করে বিভিন্ন ছলছাতুরির মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করায় বিগত দিনে তা হবিগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে নিয়োগে অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিবাবক সদস্য স্ব-উদ্দোগে হবিগঞ্জ কোর্টে অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জন্য মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।

বর্তমানে অনেকেই প্রচার করছেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন যদি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান তাহলে পদত্যাগকারী দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে তিনি পূর্নবাসন করবেন। এমনকি সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনও পদত্যাগ কারী প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক শিক্ষক প্রতিনিধির বৈঠকে সহকারী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনকে ভারপাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে মনোনিত করার বিষয়ে তারা ভারাক্রান্ত, উত্তেজিত এবং এর জোড় প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্কার প্রতিফলন ঘটিয়ে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমের লক্ষে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির মতামতের ভিত্তিতে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, দূর্নীতি মূক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোনিত করার দাবী জানিয়েছেন তারা।