ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূজায় হাসিমুখে বাড়ি ফেরার কথা ছিল হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের পপির, এরপর যা ঘটলো

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

দুর্গাপূজার ছুটি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পপি দেবের বাড়ি ফেরার কথা ছিলে। কিন্তু তা হয়নি। বাড়ি ফিরেছে তার নিথর মরদেহ। কক্সবাজারে উদ্ধার হওয়া পপির ঝুলন্ত মরদেহ বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের কসবা গ্রামে নিজ বাড়িতে এলে পূজোর আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়ে শুরু হয় শোকের মাতম।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজারের রাজাপালং ইউনিয়নে রহমত উল্লাহর মালিকানাধীন ভাড়া বাসা থেকে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পপি দেব হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে কসবা গ্রামের প্রয়াত সুখলাল দেবের মেয়ে ও চন্দন দাশের স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোছাইন।

জানা যায়, উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা আরটিএম ইন্টারন্যাশনালে চাকরি করতেন। থাকতেন উখিয়া সদরের ভাড়া বাড়িতে। ৯ অক্টোবর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে পপির মরদেহ বাড়ি ফিরে। সেখান থেকে জানা যায়, পপি প্রায় দুই বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। মাঝে মধ্যেই বাড়ি ফিরতেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পূজার ছুটি নিয়ে তার বাড়ি ফেরার কথা। এর আগেই তার মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।

নিহত পপির ভাশুর অঞ্জন দাশ জানান, পপির স্বামী ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করেন। বিয়ের পাঁচ বছর হলেও তাদের কোনো সন্তান নেই। রাতেই গ্রামের শ্মশানে তার শেষকৃত্য হয়। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
২৮ বার পড়া হয়েছে

পূজায় হাসিমুখে বাড়ি ফেরার কথা ছিল হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের পপির, এরপর যা ঘটলো

আপডেট সময় ১২:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

দুর্গাপূজার ছুটি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পপি দেবের বাড়ি ফেরার কথা ছিলে। কিন্তু তা হয়নি। বাড়ি ফিরেছে তার নিথর মরদেহ। কক্সবাজারে উদ্ধার হওয়া পপির ঝুলন্ত মরদেহ বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের কসবা গ্রামে নিজ বাড়িতে এলে পূজোর আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়ে শুরু হয় শোকের মাতম।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজারের রাজাপালং ইউনিয়নে রহমত উল্লাহর মালিকানাধীন ভাড়া বাসা থেকে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পপি দেব হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে কসবা গ্রামের প্রয়াত সুখলাল দেবের মেয়ে ও চন্দন দাশের স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোছাইন।

জানা যায়, উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা আরটিএম ইন্টারন্যাশনালে চাকরি করতেন। থাকতেন উখিয়া সদরের ভাড়া বাড়িতে। ৯ অক্টোবর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে পপির মরদেহ বাড়ি ফিরে। সেখান থেকে জানা যায়, পপি প্রায় দুই বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। মাঝে মধ্যেই বাড়ি ফিরতেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পূজার ছুটি নিয়ে তার বাড়ি ফেরার কথা। এর আগেই তার মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।

নিহত পপির ভাশুর অঞ্জন দাশ জানান, পপির স্বামী ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করেন। বিয়ের পাঁচ বছর হলেও তাদের কোনো সন্তান নেই। রাতেই গ্রামের শ্মশানে তার শেষকৃত্য হয়। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।