হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্ল্যাক আউট সেনা কর্মকর্তার আহবানে বিদ্যুৎ চালু
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাঁচজন জেনারেল ম্যানেজারকে চাকরিচ্যুত এবং সমিতির ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ব্ল্যাক আউট কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকায় হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখার কারনে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনতার হস্তক্ষেপে তিন ঘন্টা পর বিদ্যুৎ সচল করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হবিগঞ্জ এর সদর দপ্তর শায়েস্তাঞ্জে জড়ো হন সমিতির কর্মচারীরা। সেখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন তারা। হঠাৎ ব্ল্যাক আউট হলে স্থানীয় লোকজন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের গেইটে উপস্থিত হয়ে বিদ্যুৎ চালু করার দাবি তুলেন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন হাজির হন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোঃ শাহিন আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার মিতা, থানার ওসি দিলীপ কান্ত নাথ, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফাহিন হোসেন, মোহাম্মদ আলী আহাদ, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈনুল হাসান রতনসহ অন্যান্যরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারকে নিয়ে আলোচনায় বসেন।
দীর্ঘ আলোচনা শেষে মেজর শাহিন আন্দোলরত সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের বলেন, শান্তিপূর্নভাবে গেইটের ভিতরে থেকে আন্দোলন করা যাবে। তবে ব্ল্যাক আউট করা যাবে না। বিদ্যুৎ বন্ধ রাখলে দুষ্কৃতিকারীরা সুযোগ পাবে।
দিকে হঠাৎ জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকার বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েন। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। প্রতিবেদনটি লেখার সময় রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার অনেক স্থানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব আলম জানান, দাবি-দাওয়া থাকবেই। তাই বলে সব সময় জনগণকে হয়রানি করে কেন? এ জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশে এখন দাবি মানেই জনগণের হয়রানি