ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে ত্রাণের জন্য অভাব হবে না গুজব ছড়াবেন না- বিভাগীয় কমিশনার

মোঃ সাগর আহমেদ নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ইনাতগঞ্জ কলেজ ও প্রাইমারী স্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩শ বন্যার্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী। তিনি হবিগঞ্জ জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শনের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরে তিনি গতকাল রবিবার বিকাল ৫টায় উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকৃত বন্যায় আক্রান্ত পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সরকারের পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে ত্রানের জন্য অভাব করতে হবে না। এই বন্যা শেষ নয় বার বার বন্যা আসবে সেই বন্যা মুখাবেলা করতে হবে সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বন্যায় সাংবাদিকদের ভুমিকা অনেক গুরুত্ব তারা ত্রান না পৌছলে সেই খবর তুলে ধরেন। কোথায় কি হচ্ছে সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। ত্রান সামগ্রী পেলে সেটা স্বীকার করতে হবে। এলাকা বাসী সার্বিক পরিস্থিতি জেলা প্রশাসককে জানান সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। বন্যার পরে সবার কি করতে হবে পরিকল্পনা করতে হবে। বন্যার আক্রান্তদের ডাটা বেজ থেরী করতে হবে যাতে বন্যা আসলেই আক্রান্ত এলাকা ও বর্ন্যাতদের চিহিৃত করতে সহজ হয়। অনেক জায়গায় সাংবাদিকরা রিপোর্ট কওে ত্রান পাচ্ছে না এটা করা হয় বেশি ত্রান আসার জন্য আসলে ত্রানের কোন সমস্যা নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৫৭০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত কুশিয়ারা ডাইক নিয়ে বন্যার শেষে বসে পরিকল্পনা করা হবে এর স্থায়ী সমাধান কি। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ভাঙ্গন রোধে আবারও ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারের মেগার প্রকল্পে কুশিয়ারা নদী ড্রেজিংসহ ভঙ্গন মেরামত করা হবে। কোন ত্রæটি থাকলে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে ২৯৭টি মেডিক্যাল টিম সিলেট বিভাগে কাজ করছে। রাসেল বাইপার প্রতিরোধে এন্ট্রি ভেনম প্রতিটি উপজেলায় যথেষ্ট পরিমান রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বন্যা কবলিত ও পানি বন্দী এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানা , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রভাংশু সোম মহান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপম দাস অনুপ, ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল জাহান চৌধুরী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ছৈইফা রহমান কাকলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ বাহুবল এর সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত মোঃ মাসুক আলী,নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি এম,এ আহমদ আজাদ,সাধারণ সম্পাদক সেলিম তালুকদার, সাবেক সভাপতি রাকিল হোসেন,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া, কর্মকর্তাসহ সকল দপ্তর এর কর্মকর্তাবৃন্দ, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন,সাংবাদিক সাগর আহমেদ, সদস্যবৃন্দ,ট্যাগ অফিসার, সাংবাদিক বৃন্দ ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
৭০ বার পড়া হয়েছে

পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে ত্রাণের জন্য অভাব হবে না গুজব ছড়াবেন না- বিভাগীয় কমিশনার

আপডেট সময় ০৭:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ইনাতগঞ্জ কলেজ ও প্রাইমারী স্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩শ বন্যার্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী। তিনি হবিগঞ্জ জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শনের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরে তিনি গতকাল রবিবার বিকাল ৫টায় উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকৃত বন্যায় আক্রান্ত পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সরকারের পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে ত্রানের জন্য অভাব করতে হবে না। এই বন্যা শেষ নয় বার বার বন্যা আসবে সেই বন্যা মুখাবেলা করতে হবে সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বন্যায় সাংবাদিকদের ভুমিকা অনেক গুরুত্ব তারা ত্রান না পৌছলে সেই খবর তুলে ধরেন। কোথায় কি হচ্ছে সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। ত্রান সামগ্রী পেলে সেটা স্বীকার করতে হবে। এলাকা বাসী সার্বিক পরিস্থিতি জেলা প্রশাসককে জানান সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। বন্যার পরে সবার কি করতে হবে পরিকল্পনা করতে হবে। বন্যার আক্রান্তদের ডাটা বেজ থেরী করতে হবে যাতে বন্যা আসলেই আক্রান্ত এলাকা ও বর্ন্যাতদের চিহিৃত করতে সহজ হয়। অনেক জায়গায় সাংবাদিকরা রিপোর্ট কওে ত্রান পাচ্ছে না এটা করা হয় বেশি ত্রান আসার জন্য আসলে ত্রানের কোন সমস্যা নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৫৭০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত কুশিয়ারা ডাইক নিয়ে বন্যার শেষে বসে পরিকল্পনা করা হবে এর স্থায়ী সমাধান কি। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ভাঙ্গন রোধে আবারও ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারের মেগার প্রকল্পে কুশিয়ারা নদী ড্রেজিংসহ ভঙ্গন মেরামত করা হবে। কোন ত্রæটি থাকলে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে ২৯৭টি মেডিক্যাল টিম সিলেট বিভাগে কাজ করছে। রাসেল বাইপার প্রতিরোধে এন্ট্রি ভেনম প্রতিটি উপজেলায় যথেষ্ট পরিমান রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বন্যা কবলিত ও পানি বন্দী এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানা , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রভাংশু সোম মহান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপম দাস অনুপ, ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল জাহান চৌধুরী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ছৈইফা রহমান কাকলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ বাহুবল এর সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত মোঃ মাসুক আলী,নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি এম,এ আহমদ আজাদ,সাধারণ সম্পাদক সেলিম তালুকদার, সাবেক সভাপতি রাকিল হোসেন,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া, কর্মকর্তাসহ সকল দপ্তর এর কর্মকর্তাবৃন্দ, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন,সাংবাদিক সাগর আহমেদ, সদস্যবৃন্দ,ট্যাগ অফিসার, সাংবাদিক বৃন্দ ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।