ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তারেক রহমানের অপেক্ষায় দেশবাসী Logo হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন বিএনপির অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী Logo শায়েস্তাগঞ্জে কৃষি জমির টপসয়েল বিক্রির হিড়িক, জড়িত প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র Logo হবিগঞ্জ বালিভর্তি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ Logo হাদিকে গুলি: হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি Logo শায়েস্তাগঞ্জ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল Logo চুনারুঘাট উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ Logo হবিগঞ্জের বাহুবলে ট্রাক-চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত Logo হবিগঞ্জ বেপরোয়া ট্রাক চাপায় নারী নিহত Logo বেইলিব্রিজ ভেঙে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

বাংলাদেশি কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বাংলাদেশী কৃষক জহুর আলী (৬০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বাল্লা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জহুর আলী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুলনা গ্রামের মনসুর উল্লার ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার ওই সীমান্তের অভ্যন্তরে ধান খেতে কাজ করতে যান জহুর আলী। প্রতিদিনের মত তিনি আর বাড়ি ফিরেননি। পরে মঙ্গলবার বিকেলে তারা জানতে পারেন চোরাকারবারী সন্দেহে বিএসএফ জহুর আলীকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তার লাশ ভারতের খোয়াই থানার মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক চৌধুরী বলেন- জহুর আলী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। ৩ দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। আসার সময় তিনি বেশ কিছু লুঙ্গি সাথে করে নিয়ে আসে। সোমবার বিকেলে তিনি বাড়ির পার্শ্ববর্তী নালুয়া বাগানে যান। এসময় তিনি তার পরিবারের সদস্যদের বলে যান- লুঙ্গিগুলো বিক্রি করে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু আর ফিরেননি। মঙ্গলবার সকালে খবর পাওয়া যায়- বিএসএফ-এর হাতে তিনি নিহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা বলছেন- সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফের সদস্যরা। এরপর তাকে গুলি করে অথবা পিটিয়ে হত্যা করে। মরদেহ এখনো তাদের কাছে রয়েছে।

তারা বলেন- জহুর আলী একজন বয়স্ক মানুষ। তাকে কেন এমনভাবে হত্যা করা হলো তা বোধগম্য নয়। আমরা এই হত্যাকাণ্ডে সুষ্ঠু বিচারসহ সকল সীমান্তহত্যা বন্ধ চাই।

চুনারুঘাট থানার (ওসি) মো. নুর আলম বলেন- ওই বৃদ্ধকে বিএসএফ মেরেছে বলে জানতে পেরেছি। বিজিবিকে সাথে নিয়ে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাল্লা কোম্পানি কমান্ডার বলেন, নিহতের মরদেহ এলে ময়নাতদন্তরে পর মৃত্যুর কারন জানা যাবে। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:২১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
১৫২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশি কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৬:২১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বাংলাদেশী কৃষক জহুর আলী (৬০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বাল্লা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জহুর আলী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুলনা গ্রামের মনসুর উল্লার ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার ওই সীমান্তের অভ্যন্তরে ধান খেতে কাজ করতে যান জহুর আলী। প্রতিদিনের মত তিনি আর বাড়ি ফিরেননি। পরে মঙ্গলবার বিকেলে তারা জানতে পারেন চোরাকারবারী সন্দেহে বিএসএফ জহুর আলীকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তার লাশ ভারতের খোয়াই থানার মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক চৌধুরী বলেন- জহুর আলী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। ৩ দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। আসার সময় তিনি বেশ কিছু লুঙ্গি সাথে করে নিয়ে আসে। সোমবার বিকেলে তিনি বাড়ির পার্শ্ববর্তী নালুয়া বাগানে যান। এসময় তিনি তার পরিবারের সদস্যদের বলে যান- লুঙ্গিগুলো বিক্রি করে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু আর ফিরেননি। মঙ্গলবার সকালে খবর পাওয়া যায়- বিএসএফ-এর হাতে তিনি নিহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা বলছেন- সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফের সদস্যরা। এরপর তাকে গুলি করে অথবা পিটিয়ে হত্যা করে। মরদেহ এখনো তাদের কাছে রয়েছে।

তারা বলেন- জহুর আলী একজন বয়স্ক মানুষ। তাকে কেন এমনভাবে হত্যা করা হলো তা বোধগম্য নয়। আমরা এই হত্যাকাণ্ডে সুষ্ঠু বিচারসহ সকল সীমান্তহত্যা বন্ধ চাই।

চুনারুঘাট থানার (ওসি) মো. নুর আলম বলেন- ওই বৃদ্ধকে বিএসএফ মেরেছে বলে জানতে পেরেছি। বিজিবিকে সাথে নিয়ে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাল্লা কোম্পানি কমান্ডার বলেন, নিহতের মরদেহ এলে ময়নাতদন্তরে পর মৃত্যুর কারন জানা যাবে। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।