আজমিরীগঞ্জে সবজি বাজারে স্বস্তি,
আজমিরীগঞ্জে সবজির দাম অনেকটাই কমে এসেছে। শীতের শুরু থেকেই নতুন সবজিতে ভরে গেছে বাজার। এতে দামও কমেছে। নাগালের মধ্যে চলে এসেছে আলুর দাম। তবে পেঁয়াজের দাম রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই।
শনিবার আজমিরীগঞ্জ কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। আলুর দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। অপরদিকে পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। তবে বাছাই করে তুলনামূলক ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকা কমে। বাজারে কেবল দেশি পেঁয়াজই বিক্রি করতে দেখা গেছে। মান ও আকারভেদে প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।
এর মধ্যে ছোট আকারের পেঁয়াজ ৫৫ এবং বড় আকারের পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি নতুন সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, নতুন লাল আলু ৩৫ টাকা, দেশি রসুন ২৪০-২৫০ টাকা, চায়না রসুন ২২০-২৩০ টাকা, চায়না আদা ২৪০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ দরে। গত সপ্তাহের তুলনায় আজ মানভেদে প্রতি কেজিতে নতুন দেশি, লাল আলুর দাম কমেছে ১৫ টাকা করে। এছাড়া প্রতি কেজিতে চায়না আদার দাম বেড়েছে ২০ টাকা, দেশি রসুনের দাম ১০ টাকা বেড়েছে।
এছাড়া চায়না রসুনের দাম কমেছে ১০-২০ টাকা। অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বদলপুরের পাহাড়পুর বাজারের আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা জগদীশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আলুর দাম অনেক কমেছে, হয়তো আরও কমবে। তবে পেঁয়াজের দাম আর কমবে বলে মনে হয় না। কারণ এর কম হলে কৃষকের লস হয়ে যাবে। আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজ কেন বিক্রি করবো আর কেন মানুষ কিনবে? আমাদের পেঁয়াজের দাম এখন কম। আমার কাছে চার-পাঁচ কেজির মতো ভারতীয় পেঁয়াজ আছে। ৮০ টাকা করে বিক্রি করছি। এটা শেষ হলে আমি আর রাখবো না। নিম্নমুখী সবজির বাজারে আজ সবজির দাম আরও কমেছে।
বেশির ভাগ সবজির দাম কমলেও বাড়েনি কোনোটির। এছাড়া বেশ কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শনিবারে টক টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা টমেটো ২৫টাকা, দেশি গাজর ৪০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৩০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৪৫ টাকা, কালো গোল বেগুন ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, ঝিঙা ৬০, টাকা,ধুন্দল ৩০টাকা, বরবটি ৩০-৪০ টাকা, পেঁয়াজকলি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ২৫ টাকা, এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।