আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে ওসির ছবি ভাইরাল নবীগঞ্জ থানার ওসি অপসারণের দাবীতে ঝাড়ু মিছিল
আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ওসির ছবি উঠার ঘটনার জের ধরে ওসি কামাল হোসেনের অপসারণের দাবীতে নবীগঞ্জে ঝাড়ু মিছিল করেছে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও জাসাসের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকেলে নবীগঞ্জ শহরের গোল্ডেন প্লাজার সামনে থেকে উপজেলা যুবদল নেতা শেখ শিপনের নেতৃত্বে ঝাড়ু মিছিল বের হয়। মিছিলটি নবীগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার মোড়ে গিয়ে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
এতে উপজেলা জাসাসের সদস্য সচিব কাজী সেলিমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন তালুকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা যুবদল নেতা শেখ শিপন মিয়া, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জিল্লুর রহমান, নুর আলী, ছেরাগ আলী, রূপচাদ মিয়া, জিয়াউর রহমান, আরজু মিয়া, আলী হোসেন, উপজেলা জাসাসের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আব্দুস সামাদ, যুগ্ম আহবায়ক শাহিনুর রহমান শানুর, ইনাতগঞ্জ কৃষকদলের সভাপতি মুহিত আলী, যুবদল নেতা জাবির হোসেন লাল, আজির হাসান, শ্যামল আহমদ, আলমগীর হোসেন, জামাল মিয়া, জিয়া উদ্দিন, জাকির হোসেন, আবিদুর রহমান, রাজু আহমেদ, জুবায়ের আহমদ, ফবি আলম, শাহীন আহমেদ, ফয়েজ মিয়া, জুবায়ের আহমদ জুবের, আল আমিন, রাকিব আহমেদ চৌধুরী, পৌর ছাত্রদল নেতা শেখ আলী আহমদ মিটন, লিমন আহমেদ, রেদোয়ান আহমেদ প্রমুখ। ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বিএনপি যুবদল-ছাত্রদল ও জাসাসের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন- ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার দুসররা এখনো চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব ফরহাদুজ্জামান মুহিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তিমূলক মন্তব্য করলে যুবদল নেতা শেখ শিপন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে যান কিন্তু তিন সাপ্তাহ অতিবাহিত হলেও তার বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পৌর যুবলীগ নেতা পিকলু চৌধুরী ও বরুন দাশ ইসকনের পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোষ্ট করে, বিষয়টি ওসিকে জানালেও তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বক্তারা আরও জানান-গত ৮ জানুয়ারি গভীর রাতে নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দুই ভ্যান পুলিশ নিয়ে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবদল নেতা আজিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে বসতঘরের দরজায় আঘাত করে। পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে নাইন মার্ডার মামলায় আজিমকে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন ওসি কামাল। পরে মসজিদের মাইকে ডাকাত আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে আজিম উদ্দিনের বাড়িতে মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে আসতে শুরু করলে ওসি কামাল পুলিশ নিয়ে সটকে পড়েন। এ সময় আজিম উদ্দিন এলাকাবাসীকে জানান আমার উপর কোনো মামলা নেই অথচ পুলিশ বাড়িতে এসে আমাকে হয়রানি ও হুমকি দিচ্ছে।আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসন করার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন গোপনে কাজ করছে অভিযোগ করে বক্তারা আরও বলেন- যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে মিটিং করে পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, আউশকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনসহ ওসি কামাল ছবি ওঠান। উক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। পরে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেনের অপসারণের দাবী জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।