শায়েস্তাগঞ্জ শত বছরে উর্ধ্বে পুরনো রেলওয়ে জংশনে নেই সুযোগ-সুবিধা
শত বছরের উর্ধে পুরনো এই রেলওয়ে জংশন স্টেশন। কাগজে- কলমে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন রি-মডেলিং স্টেশন আধুনিকায়ন। বাস্তবে এখনো পর্যন্ত দেখা মিলেনি বৃহৎ এ স্টেশনের প্লাট ফর্মে বিশুদ্ধ পানি পানের গভীর নলক‚প ব্যবস্থা নেই।
এ স্টেশনে পানি ব্যবস্থা না থাকায় হতাশ ও ক্ষুদ্ধ রেল যাত্রীরা। প্রতিদিন শত শত রেল যাত্রী সিলেট-চট্টগ্রাম ও সিলেট-ঢাকা ট্রেনে আসা যাওয়া করে কিন্তু ভোগান্তি শিকার হচ্ছে অপেক্ষা মান যাত্রীরা।
জানা যায়, ১৯০৩ সালে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন স্থাপিত হয়। ফলে শত বছরের রেলওয়ে জংশন স্টেশনে বিশুদ্ধ পানির গভীর নলক‚প থাকলেও বর্তমানে ২০০৫ সালে রি মডেলিং স্টেশন সংস্কার করা হলেও আজ পর্যন্ত দু’টি প্লাট ফর্মে এখনো বিশুদ্ধ পানি পানের গভীর নলক‚প ব্যবস্থা উদ্যোগ গ্রহন করেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রেল যাত্রী বিশ্রাম গারে টয়লেট রুমে পানি ব্যবস্থা থাকলে ও টয়লেটে সময়মত পানি থাকে না এবং টয়লেটে থাকে দুর্গন্ধ। এসব টয়লেট দুর্গন্ধের কারণে রেলওয়ে পার্কিং এরিয়া রেলওয়ে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করছে। সেখানে জন প্রতি প্রশ্রাব ৫ টাকা, গোসল ও টয়লেট ১০ টাকা দিতে হয়। অনেক যাত্রী টাকা না থাকলে নানা ভোগান্তি পড়তে হয়। পানি জন্য অসুস্থ যাত্রীরা অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েকজন রেল যাত্রী বলেন, রেলওয়ে যাত্রীদের জন্য সেবা মূলক দায়িত্ব রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে উর্ধতন সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) ও (পথ) এবং বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী কর্মকর্তারা যাত্রীদের সেবা মূলক দায়িত্ব থাকলে ও তারা শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে বসবাস না করে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে কর্মচারীদের দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে।
রি- মডেলিং হওয়ার আগে রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের ভালো সেবা করে যাচ্ছে কিন্তু এখন আর যাত্রীদের প্রতি সেবা দেওয়ার কেউ নেই। স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, স্টেশন প্লাট ফর্মে বিশুদ্ধ পানির জন্য গভীর নলক‚প খুবই প্রয়োজন। আমার উর্ধতন স্যার রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। আমার এ বিষয়ে কথা বলার কোনো অনুমতি নেই ।