ঢাকা ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ Logo শায়েস্তাগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত দুই ভাই’র দাফন সম্পন্ন, থামছে না স্বজনদের কান্না Logo ‘দ্রুত নির্বাচন দিয়ে অস্থিরতা দূর করুন’ Logo সাতছড়িতে টিকে আছে একটি মাত্র ‘আসামি বানর’ Logo বিতর্কিত নির্বাচন: সাবেক ২২ ডিসি বাধ্যতামূলক অবসরে Logo নবীগঞ্জে প্রাইভেট কারে আগুনের ঘটনায় নাশকতার মামলা Logo অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমরা এখন বেশি শক্তিশালী: প্রধান উপদেষ্টা Logo শায়েস্তাগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পাত্রসহ নিহত ২, বিয়ের আনন্দ পরিণত হলো বিষাদে Logo নবীগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান Logo চুনারুঘাটে আইলে টমেটো ক্ষেতে ব্রোকলি, লাভবান ফারুক আহমেদ

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশীদ মোল্লা বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন।

গত ১ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এটা টেকে না। যে চার্জশিটের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছায়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৯ বার পড়া হয়েছে

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

আপডেট সময় ০৯:২৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশীদ মোল্লা বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন।

গত ১ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এটা টেকে না। যে চার্জশিটের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছায়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী।