হবিগঞ্জে সারজিস আলম এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিলে তার সমাধান রাজপথেই হবে
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক না দিলে তার সমাধান রাজপথেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় হবিগঞ্জ পৌর টাউন হলে জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা বা আইনগত যৌক্তিকতা নেই। ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো এজেন্সির প্রভাবে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে আমরা মনে করি। অথচ সব আইনি প্রক্রিয়া মেনেই আমরা বৈধভাবে প্রতীক চেয়েছি। কমিশন চাইলে সহজেই তা অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রতীক না দিলে এর সমাধান হবে রাজপথে।
জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমমনোভাবাপন্ন দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের জন্য কাছাকাছি চিন্তার দলগুলোর ঐকমত্য জরুরি। একীভূত হওয়া বা এলায়েন্স—দুই দিক নিয়েই কথা চলছে। গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আশানুরূপ আলোচনা হয়েছে। এবি পার্টিসহ অন্য দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে। তবে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত জানানো সমীচীন নয়। সময়ই বলে দেবে কোনদিকে যাবে।
সারজিস আলম আরও বলেন, শহীদ পরিবারকে ব্যবহার করে মামলা বাণিজ্যে জড়িয়ে যাচ্ছে কিছু মহল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ মদদে এই বাণিজ্য চলছে। মামলাবাজ বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি কিংবা অন্য যে–কোনো দলের হোক, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। নিরপরাধের হয়রানি কিংবা অপরাধীর রেহাই—দুটোরই বিরোধী এনসিপি।
তিনি জানান, দেশের ও জনগণের জন্য কাজ করতে ইচ্ছুকদের যাচাই-বাছাই করেই দলে নেওয়া হবে। সংগঠন শক্তিশালী করা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশে কমিটি গঠন করা হবে। উত্তরাঞ্চলের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে দ্রুত আহ্বায়ক কমিটি করা হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হবিগঞ্জের কমিটিও ঘোষণা দেওয়া হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উত্তরঞ্চলের সংগঠক নাহিদ উদ্দিন তারেক, মৌলভীবাজারের মুখ্য সংগঠক প্রীতম দাশ, সুনামগঞ্জের সংগঠক এহতেশাম হক প্রমুখ।