ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে ঢলে ভেসে গেছে ব্রিজ, দুর্ভোগে মানুষ

অনাবৃষ্টির কবলে জেলার ৩৪টি চা-বাগান, লোকসানের শঙ্কা

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

অনাবৃষ্টির কবলে পড়েছে হবিগঞ্জের চা-বাগানগুলো। আর এতে করে নতুন এই বছরে এখনো চা পাতা না আসায় লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। বছরের এই সময়টাতে বৃষ্টিপাত একেবারেই না হওয়ায় এ শঙ্কার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাগান কর্তৃপক্ষকে। তীব্র খড়ার করার কারণে বাগানে বাগানে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে চা পাতার উৎপাদন। একদিকে যেমন প্রকৃতিক ভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে অন্যদিকে আবার বাগানের ভেতর থাকা ছোট ছোট ছড়া ও জলাশয়গুলো এখন শুকিয়ে গেছে যে কারণে বাগানে বাগানে পানির জন্য সৃষ্টি হয়েছে হাহাকার।
জানা যায়- জেলার ৪টি উপজেলায় চা বাগান রয়েছে মোট ৩৪টি। এসব বাগানে প্রতি হেক্টর জমিতে ২২০০-২৫০০ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়। প্রতি বছর মার্চ মাস থেকে শুরু হয় চা পাতা উত্তোলন। তবে এ বছর শুরু থেকেই দেখা নেই বৃষ্টির। তীব্র খড়ার প্রভাব পড়েছে বাগানগুলোতে। এখন যেই সময়টাতে বাগানে বাগানে সবুজ কুড়ির সমারোহ থাকার কথা সেখানে নেই নতুন কুড়ির প্রভাব। খড়ার কারণে বড় পাতাগুলোও মরে যাচ্ছে। বাগানে থাকা ছড়া ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সেচও দিতে পারছেন না বাগান মালিকরা। যে কারণে এই মৌসুমে চায়ের উৎপাদন কমার পাশাপাশি লোকসনের শঙ্কা করা হচ্ছে।
চা শ্রমিক সর্দার শাহেদ আলী বলেন- আমাদের চা শ্রমিকরা দিনরাত বাগানে কঠোর পরিশ্রম করে চা উৎপাদন করে। এই চা-উৎপাদনের সাথেই আমাদের চলে জীবন জীবিকা। প্রতি বছর বছরের এই সময়টাতে জনপ্রতি ৮ থেকে ১০ কেজি করে চা পাতা তুলতে পারলেও এবার ২ থেকে ৩ কেজির উপর তোল সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় বাগানে প্রভাব পরেছে খড়ার। নেই চা পাতাও। অপর আরেক চা শ্রমিক বাসন্তী বাউড়ি বলেন- মার্চ এপ্রিল মাসে যেখানে আমারা দিনভর চা পাতা তুলি এবার সেই দৃশ্য নেই। বাগানে নতুন পাতা না থাকায় আমাদের কাজ কামও কমে গেছে। জীবন মুন্ডা নামে এক চা শ্রমিক বলেন- আমারা বাগানি বাগানে কাজ করেই আমাদের সংসার চলে। এবার তো বৃষ্টির কারণে বাগানের বেহাল অব¯’া।
তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউসূফ খান বলেন- অনাবৃষ্টির কারনে চা-উৎপাদন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দিন দিন আমাদের লোকসানের পাল্লা ভারি হবে। চন্ডিছড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সেলিমুর রহমান বলেন- গেল বছর খড়া ও শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা কারনে বাগান গুলোতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ লাখ কেজি চা পাতা উৎপাদন কম হয়। এ বছর ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পাড়ে। তবে বৃষ্টিপাত হলে হয়তো কিছুটা কমে আসবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:০২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
৫১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

অনাবৃষ্টির কবলে জেলার ৩৪টি চা-বাগান, লোকসানের শঙ্কা

আপডেট সময় ০৪:০২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

অনাবৃষ্টির কবলে পড়েছে হবিগঞ্জের চা-বাগানগুলো। আর এতে করে নতুন এই বছরে এখনো চা পাতা না আসায় লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। বছরের এই সময়টাতে বৃষ্টিপাত একেবারেই না হওয়ায় এ শঙ্কার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাগান কর্তৃপক্ষকে। তীব্র খড়ার করার কারণে বাগানে বাগানে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে চা পাতার উৎপাদন। একদিকে যেমন প্রকৃতিক ভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে অন্যদিকে আবার বাগানের ভেতর থাকা ছোট ছোট ছড়া ও জলাশয়গুলো এখন শুকিয়ে গেছে যে কারণে বাগানে বাগানে পানির জন্য সৃষ্টি হয়েছে হাহাকার।
জানা যায়- জেলার ৪টি উপজেলায় চা বাগান রয়েছে মোট ৩৪টি। এসব বাগানে প্রতি হেক্টর জমিতে ২২০০-২৫০০ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়। প্রতি বছর মার্চ মাস থেকে শুরু হয় চা পাতা উত্তোলন। তবে এ বছর শুরু থেকেই দেখা নেই বৃষ্টির। তীব্র খড়ার প্রভাব পড়েছে বাগানগুলোতে। এখন যেই সময়টাতে বাগানে বাগানে সবুজ কুড়ির সমারোহ থাকার কথা সেখানে নেই নতুন কুড়ির প্রভাব। খড়ার কারণে বড় পাতাগুলোও মরে যাচ্ছে। বাগানে থাকা ছড়া ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সেচও দিতে পারছেন না বাগান মালিকরা। যে কারণে এই মৌসুমে চায়ের উৎপাদন কমার পাশাপাশি লোকসনের শঙ্কা করা হচ্ছে।
চা শ্রমিক সর্দার শাহেদ আলী বলেন- আমাদের চা শ্রমিকরা দিনরাত বাগানে কঠোর পরিশ্রম করে চা উৎপাদন করে। এই চা-উৎপাদনের সাথেই আমাদের চলে জীবন জীবিকা। প্রতি বছর বছরের এই সময়টাতে জনপ্রতি ৮ থেকে ১০ কেজি করে চা পাতা তুলতে পারলেও এবার ২ থেকে ৩ কেজির উপর তোল সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় বাগানে প্রভাব পরেছে খড়ার। নেই চা পাতাও। অপর আরেক চা শ্রমিক বাসন্তী বাউড়ি বলেন- মার্চ এপ্রিল মাসে যেখানে আমারা দিনভর চা পাতা তুলি এবার সেই দৃশ্য নেই। বাগানে নতুন পাতা না থাকায় আমাদের কাজ কামও কমে গেছে। জীবন মুন্ডা নামে এক চা শ্রমিক বলেন- আমারা বাগানি বাগানে কাজ করেই আমাদের সংসার চলে। এবার তো বৃষ্টির কারণে বাগানের বেহাল অব¯’া।
তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউসূফ খান বলেন- অনাবৃষ্টির কারনে চা-উৎপাদন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দিন দিন আমাদের লোকসানের পাল্লা ভারি হবে। চন্ডিছড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সেলিমুর রহমান বলেন- গেল বছর খড়া ও শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা কারনে বাগান গুলোতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ লাখ কেজি চা পাতা উৎপাদন কম হয়। এ বছর ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পাড়ে। তবে বৃষ্টিপাত হলে হয়তো কিছুটা কমে আসবে।