ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ Logo হবিগঞ্জ-১: রেজা কিবরিয়ার যোগদানে বিএনপিতে এখন ত্রিমুখী লড়াই Logo হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo ড. ফরিদুর রহমান বদলি, নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে খুন : অভিযুক্ত আটক Logo ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: শায়েস্তাগঞ্জে তরুণী গ্রেপ্তার Logo ৭ই নভেম্বর ও একজন দেশ প্রেমিক জিয়াউর রহমান Logo হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন নিয়ে তোড়জোর, বিএনপিতে যোগ দিলেন ড. রেজা কিবরিয়া, বদলে যাচ্ছে সমীকরণ! Logo হবিগঞ্জে ৮টির মধ্যে ৪ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ, বেড়েছে লোডশেডিং Logo হবিগঞ্জে চুনারুঘাট শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

অবশেষে ১০ দিন পর চালু হলো মোবাইল ইন্টারনেট সেবা

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

১০ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হয়েছে মোবাইল ফোরজি ইন্টারনেট সেবা। রবিবার (২৮জুলাই) বিকেল তিনটা থেকে এই সেবা চালু হয়। এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন মোবাইল ইন্টারনেট চালুর পর সকল গ্রাহক তিনদিনের জন্য ৫জিবি বোনাস পাবেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, টানা ১০ দিন সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। এসময়ে অনেক গ্রাহকের ডাটা কেনা থাকলেও তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গ্রাহকদের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে ৫ জিবি করে ডাটা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যার মেয়াদ হবে তিন দিন।

মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা বিভিন্ন ডেটা প্যাকেজ কিনে ব্যবহার করতে না পারায় যে ক্ষতির মুখে পড়েছেন, সে কথা স্বীকার করে নেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মোবাইল ইন্টারনেট গ্রহাকরদের প্রত্যেকে তিন দিনের জন্য ৫ জিবি ডেটা বোনাস হিসেবে পাবেন।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে পরদিন রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সেদিন মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুন দেয়া হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কের ওপর থাকা ইন্টারনেট সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকটি ডেটা সেন্টারও। সে কারণেই সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায় বলে প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য।

মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোবাইলে আর্থিক লেনদেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসের প্রিপেইড কার্ড রিচার্জ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। কোথাও কোথাও ব্যাংকের এটিএম বুথও বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট না থাকায় স্থবির হয়ে পড়ে ই-কমার্স, পোশাক খাতসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্ধ থাকে বন্দরের কার্যক্রম। ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের সংবাদ সেবাও অচল হয়ে পড়ে।

সারাদেশে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েনের পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হতে থাকে। ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ইন্টারনেটা সেবা চালুর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। এরপর ২৩ জুলাই রাতে অগ্রাধিকার বিবেচনা করে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরে। পরদিন রাতে সারাদেশে বাসাবাড়িতেও ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা সচল হয়, যদিও স্বাভাবিক গতি না ফেরায় গ্রাহকরা সন্তুষ্ট নন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
১১৩ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে ১০ দিন পর চালু হলো মোবাইল ইন্টারনেট সেবা

আপডেট সময় ০৬:১৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

১০ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হয়েছে মোবাইল ফোরজি ইন্টারনেট সেবা। রবিবার (২৮জুলাই) বিকেল তিনটা থেকে এই সেবা চালু হয়। এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন মোবাইল ইন্টারনেট চালুর পর সকল গ্রাহক তিনদিনের জন্য ৫জিবি বোনাস পাবেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, টানা ১০ দিন সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। এসময়ে অনেক গ্রাহকের ডাটা কেনা থাকলেও তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গ্রাহকদের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে ৫ জিবি করে ডাটা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যার মেয়াদ হবে তিন দিন।

মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা বিভিন্ন ডেটা প্যাকেজ কিনে ব্যবহার করতে না পারায় যে ক্ষতির মুখে পড়েছেন, সে কথা স্বীকার করে নেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মোবাইল ইন্টারনেট গ্রহাকরদের প্রত্যেকে তিন দিনের জন্য ৫ জিবি ডেটা বোনাস হিসেবে পাবেন।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে পরদিন রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সেদিন মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুন দেয়া হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কের ওপর থাকা ইন্টারনেট সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকটি ডেটা সেন্টারও। সে কারণেই সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায় বলে প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য।

মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোবাইলে আর্থিক লেনদেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসের প্রিপেইড কার্ড রিচার্জ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। কোথাও কোথাও ব্যাংকের এটিএম বুথও বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট না থাকায় স্থবির হয়ে পড়ে ই-কমার্স, পোশাক খাতসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্ধ থাকে বন্দরের কার্যক্রম। ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের সংবাদ সেবাও অচল হয়ে পড়ে।

সারাদেশে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েনের পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হতে থাকে। ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ইন্টারনেটা সেবা চালুর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। এরপর ২৩ জুলাই রাতে অগ্রাধিকার বিবেচনা করে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরে। পরদিন রাতে সারাদেশে বাসাবাড়িতেও ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা সচল হয়, যদিও স্বাভাবিক গতি না ফেরায় গ্রাহকরা সন্তুষ্ট নন।