ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আজমিরীগঞ্জ থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ

আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

আজমিরীগঞ্জে গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপের মুখে দুই শিশুর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার পর থেকে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এখন পর্যন্ত আইনী প্রদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে, এ বিষয়ে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে স্বপ্রণোদিত হয়ে আজমিরীঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে আজমিরীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার দুপুরে আজমিরীগঞ্জে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুরে ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ওই গ্রামের গোবিন্দ্র দাসের ছেলে শিশু প্রলয় দাস (৭) ও রুবেল দাসের ছেলে সুর্য দাস (৬)-এর মৃত্যু হয়।
পরে তাদেরকে পাহাড়পুর মহাশশ্মানের দেয়াল সংলগ্ন মাটিতে সমাধি দেয়া হলে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির বাধার মুখে পড়েন অভিভাবকরা। এক পর্যায়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেষ দাস ও কোষাধ্যক্ষ অসিত দাস লাশ তুলতে বাধ্য করেন। যে কারণে মাটি থেকে শিশুদের লাশ তুলে কুশিয়ারা নদীতে ভাসিয়ে দেন অভিভাবকরা।
স্থানীয়রা জানান, গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেষ দাস স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকার স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। তাদের এলাকায় প্রভাব রয়েছে। তাদের দিক নির্দেশনায় চলে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটি। আর পঞ্চায়েত কমিটির বাধার মুখে ওই শিশুদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হন তাদের অভিভাবকরা। এ ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি কোন আইনী প্রদক্ষেপ। এতে স্থানীয় সচেতন মহলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে আজমিরীঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় কপিটি পেয়েছি। এরপর থেকে ঘটনার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ’। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল ভৌমিক বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অমানবিক। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে পরিবারকে শান্তনা দিয়েছি এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে’।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:২৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
৫৮ বার পড়া হয়েছে

আজমিরীগঞ্জ থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ

আপডেট সময় ১১:২৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

আজমিরীগঞ্জে গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপের মুখে দুই শিশুর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার পর থেকে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এখন পর্যন্ত আইনী প্রদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে, এ বিষয়ে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে স্বপ্রণোদিত হয়ে আজমিরীঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে আজমিরীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার দুপুরে আজমিরীগঞ্জে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুরে ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ওই গ্রামের গোবিন্দ্র দাসের ছেলে শিশু প্রলয় দাস (৭) ও রুবেল দাসের ছেলে সুর্য দাস (৬)-এর মৃত্যু হয়।
পরে তাদেরকে পাহাড়পুর মহাশশ্মানের দেয়াল সংলগ্ন মাটিতে সমাধি দেয়া হলে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির বাধার মুখে পড়েন অভিভাবকরা। এক পর্যায়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেষ দাস ও কোষাধ্যক্ষ অসিত দাস লাশ তুলতে বাধ্য করেন। যে কারণে মাটি থেকে শিশুদের লাশ তুলে কুশিয়ারা নদীতে ভাসিয়ে দেন অভিভাবকরা।
স্থানীয়রা জানান, গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেষ দাস স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকার স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। তাদের এলাকায় প্রভাব রয়েছে। তাদের দিক নির্দেশনায় চলে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটি। আর পঞ্চায়েত কমিটির বাধার মুখে ওই শিশুদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হন তাদের অভিভাবকরা। এ ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি কোন আইনী প্রদক্ষেপ। এতে স্থানীয় সচেতন মহলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে আজমিরীঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় কপিটি পেয়েছি। এরপর থেকে ঘটনার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ’। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল ভৌমিক বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অমানবিক। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে পরিবারকে শান্তনা দিয়েছি এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে’।