খুলনায় পুলিশ হত্যা ও নাশকতার তিন মামলা, আসামি ৭ হাজার
খুলনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল হত্যা, পুলিশের গাড়িতে অংগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং নাশকতার ঘটনায় প্রায় ৭ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নগরীর খুলনা সদর থানা, হরিণটানা থানা ও লবণচরা থানায় পৃথকভাবে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় হরিণটানা থানায় সর্বোচ্চ ৪ হাজার জন থেকে ৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকাল থেকে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর গল্লামারী ও জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী নিহত এবং শতাধিক আহত হয়। এছাড়া তারা পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও নাশকতার ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় নগরীর লবণচরা থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা সাকলাইন বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১ হাজার থেকে ১২০০ জনকে আসামি করে সুমন কুমার ঘরামী হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, গতকাল শনিবার পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান বলেন, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও নাশকতার অভিযোগে অজ্ঞাত ৫০০ জন থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে নগরীর হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও নাশকতার অভিযোগে অজ্ঞাত ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি জানান, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিট পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, খুলনায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যেও পরিচয় দিয়েছি। আন্দালনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সাথে আমরাও একমত। কিন্তু শুক্রবার যারা যারা এই নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বোঝা যায় তারা কেউই শিক্ষার্থী না। তারা সবাই মিছিলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। তাছাড়া কনষ্টেবল সোহান ও মাজাহারকে যারা পিটিয়ে আহত করেছে তাদেও ভিডিও ফুটেজও আমাদেও কাছে রয়েছে। এগুলো দেখে আসামিদেও চিহ্নিত কওে গ্রেপ্তার করা হবে। তবে নিরীহ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন হয়রানী করা হবে না।