ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জে ৭০টি ইটভাটা বন্ধের আশঙ্কা কর্মহীন হওয়ার শঙ্কায় ৪০ হাজার শ্রমিক Logo হবিগঞ্জে ভিপি নুরুল হক নুর আশাকরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে Logo হবিগঞ্জের রশিদপুরে আরো ২৯ বিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা Logo শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ Logo হবিগঞ্জ-১: রেজা কিবরিয়ার যোগদানে বিএনপিতে এখন ত্রিমুখী লড়াই Logo হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo ড. ফরিদুর রহমান বদলি, নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে খুন : অভিযুক্ত আটক Logo ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: শায়েস্তাগঞ্জে তরুণী গ্রেপ্তার Logo ৭ই নভেম্বর ও একজন দেশ প্রেমিক জিয়াউর রহমান

গাজায় সংঘর্ষে সেনা-পুলিশসহ ৮৯০ ইসরাইলি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে যে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় সংঘটিত সংঘর্ষে ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর ৮৯০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে সেনা সদস্য, কর্মকর্তা, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী রয়েছেন।

শুক্রবার ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আল আকসা স্টর্ম নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, যা ইসরাইলের জন্য অভূতপূর্ব আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। ওই অভিযানে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরাইলের ১,২০০ জনেরও বেশি সশস্ত্র সেনা ও নাগরিক নিহত হয়।

আল আকসা স্টর্ম অভিযানের পর ইসরাইল গাজা অঞ্চলে তাদের সামরিক অভিযান তীব্র করে। হামাস নিধনে তাদের চালানো অভিযানের ফলে অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এছাড়াও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গোটা গাজা উপত্যকা ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি।

এমনই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় ‘গণহত্যা’ চালানোর জোরালো অভিযোগ ওঠে।

ইসরাইলি সরকার জানায়, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য এবং সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিলতর হয়ে উঠছে।

হামাসের আল-আকসা অভিযানটি মূলত দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ফিলিস্তিনি ভূমি দখল ও নিরীহ বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ও হত্যা করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনি সংগ্রামের অংশ হিসেবে চালানো হয়েছিল।

তবে ইসরাইলি সামরিক অভিযানের কারণে গাজা ও এর আশপাশের অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এবং অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। যা গাজার মানবিক সংকটকে আরও তীব্রতর করে তুলেছে। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
১০৫ বার পড়া হয়েছে

গাজায় সংঘর্ষে সেনা-পুলিশসহ ৮৯০ ইসরাইলি নিহত

আপডেট সময় ০৮:৫১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে যে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় সংঘটিত সংঘর্ষে ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর ৮৯০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে সেনা সদস্য, কর্মকর্তা, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী রয়েছেন।

শুক্রবার ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আল আকসা স্টর্ম নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, যা ইসরাইলের জন্য অভূতপূর্ব আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। ওই অভিযানে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরাইলের ১,২০০ জনেরও বেশি সশস্ত্র সেনা ও নাগরিক নিহত হয়।

আল আকসা স্টর্ম অভিযানের পর ইসরাইল গাজা অঞ্চলে তাদের সামরিক অভিযান তীব্র করে। হামাস নিধনে তাদের চালানো অভিযানের ফলে অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এছাড়াও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গোটা গাজা উপত্যকা ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি।

এমনই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় ‘গণহত্যা’ চালানোর জোরালো অভিযোগ ওঠে।

ইসরাইলি সরকার জানায়, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য এবং সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিলতর হয়ে উঠছে।

হামাসের আল-আকসা অভিযানটি মূলত দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ফিলিস্তিনি ভূমি দখল ও নিরীহ বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ও হত্যা করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনি সংগ্রামের অংশ হিসেবে চালানো হয়েছিল।

তবে ইসরাইলি সামরিক অভিযানের কারণে গাজা ও এর আশপাশের অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এবং অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। যা গাজার মানবিক সংকটকে আরও তীব্রতর করে তুলেছে। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি