ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে ইসির নতুন নীতিমালা Logo নির্বাচনের আগে গণভোট অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক: মির্জা ফখরুল Logo হবিগঞ্জ-১: বিএনপিতে প্রার্থী জট, মনোনয়ন দৌড়ে প্রবাসীরাও Logo ৫২৩ বছরের ঐতিহ্য শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর জামে মসজিদ Logo নবীগঞ্জে পাখি শিকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা বন্য বালিহাস পাখি অবমুক্তি,পাখি শিকারীকে অর্থদন্ড Logo আবারও প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে চুনারুঘাটের শাপলা বিল Logo বাহুবল শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০ Logo হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৯ জনকে কারাদন্ড Logo হবিগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ Logo দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুসহ ৯ দফা দাবীতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে মানববন্ধন পালন

চুনারুঘাটে মেছো বিড়াল উদ্ধার

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি

চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুড়ি বাজারের পাশে থেকে একটি মেছো বিড়াল উদ্ধার করেছে সাতছড়ি রেঞ্জের ওয়ার্ল্ড লাইফ কর্মীরা। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইউনিয়নের সাটিয়াজুড়ি বাজারে পাশে গ্রামে এক দল জনতা মেছে বিড়ালটি কে ধাওয়া করলে বিড়ালটি ভয়ে একটি গাছে উঠে যায়।

জনতা মেছো বিড়ালটিকে গাছ থেকে নামিয়ে পিটিয়ে আহত করলে,স্থানীয় এক ব্যক্তি কালেঙ্গা ফরেস্টের রেঞ্জার মাসুদুল আলমকে খবর দেন। কালেঙ্গা রেঞ্জার সাতছড়ি ওয়ার্ল্ড লাইফ এর রেঞ্জার মামুনুর রশিদকে ফোনে একটি মেছু বিড়াল পিটিয়ে মারা হচ্ছে বলে জানান। তাৎক্ষণিক সাতছড়ি বনবিটের রেঞ্জার মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল বনকর্মী মেছো বিড়ালটি সাটিয়াজুড়ি বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করে সাতছড়ি ফরেস্টে নিয়ে আসেন।

রেঞ্জার মামুনুর রশিদ বলেন মেচু বিড়ালটি জনতার পিটুনির কারণে আহত অবস্থায় আছে তার চিকিৎসা চলছে আমরা আপাতত সাতছড়ি পশু পাখি রেসকিউ সেন্টারে রেখে পরিচর্যা করছি। বিড়ালটি সুস্থ হলেই সাতছড়িতে ও মুক্ত করা হবে। এসময় মেছো বিড়ালটি দেখতে স্থানীয় লোকজন ভিড় জমায়।

মেছো বিড়ালটি পূর্ণবয়স্ক,চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন)। তাছাড়া বন্যপ্রাণী আইন-২০১২ অনুযায়ী এই প্রজাতি সংরক্ষিত। তাই এই প্রাণীটি হত্যা বা এর কোনো ক্ষতিকরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী- ফাঁদ পেতে মেছো বিড়াল শিকার, হত্যা, পাচার কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান রয়েছে। মেছো বিড়াল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিতে হবে।

সাতছড়ি বনবিটের রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, অনেক এলাকায় এটিকে মেছোবাঘ নামে ডাকে। বাঘ নামে ডাকার কারণে শুধু শুধু আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই প্রাণীটি মানুষকে আক্রমণ করে না, বরং মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়। জলাভূমি আছে এমন এলাকায় বেশি দেখা যায়। প্রাণীটি মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ছাড়াও পোকামাকড় ও ইঁদুর খায়। বন ও জলাভূমি ধ্বংস,পিটিয়ে হত্যা ইত্যাদি কারণে বিগত কয়েক দশকে এই প্রাণীটির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল জাহির মিয়া বলেন বলেন- ২০০৮ সালে মেছো বিড়ালকে বিপন্ন প্রাণী প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছে সরকার।এই প্রাণীটি নিশাচর এবং অত্যন্ত নিরীহ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৫১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১১৯ বার পড়া হয়েছে

চুনারুঘাটে মেছো বিড়াল উদ্ধার

আপডেট সময় ০৭:৫১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুড়ি বাজারের পাশে থেকে একটি মেছো বিড়াল উদ্ধার করেছে সাতছড়ি রেঞ্জের ওয়ার্ল্ড লাইফ কর্মীরা। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইউনিয়নের সাটিয়াজুড়ি বাজারে পাশে গ্রামে এক দল জনতা মেছে বিড়ালটি কে ধাওয়া করলে বিড়ালটি ভয়ে একটি গাছে উঠে যায়।

জনতা মেছো বিড়ালটিকে গাছ থেকে নামিয়ে পিটিয়ে আহত করলে,স্থানীয় এক ব্যক্তি কালেঙ্গা ফরেস্টের রেঞ্জার মাসুদুল আলমকে খবর দেন। কালেঙ্গা রেঞ্জার সাতছড়ি ওয়ার্ল্ড লাইফ এর রেঞ্জার মামুনুর রশিদকে ফোনে একটি মেছু বিড়াল পিটিয়ে মারা হচ্ছে বলে জানান। তাৎক্ষণিক সাতছড়ি বনবিটের রেঞ্জার মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল বনকর্মী মেছো বিড়ালটি সাটিয়াজুড়ি বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করে সাতছড়ি ফরেস্টে নিয়ে আসেন।

রেঞ্জার মামুনুর রশিদ বলেন মেচু বিড়ালটি জনতার পিটুনির কারণে আহত অবস্থায় আছে তার চিকিৎসা চলছে আমরা আপাতত সাতছড়ি পশু পাখি রেসকিউ সেন্টারে রেখে পরিচর্যা করছি। বিড়ালটি সুস্থ হলেই সাতছড়িতে ও মুক্ত করা হবে। এসময় মেছো বিড়ালটি দেখতে স্থানীয় লোকজন ভিড় জমায়।

মেছো বিড়ালটি পূর্ণবয়স্ক,চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন)। তাছাড়া বন্যপ্রাণী আইন-২০১২ অনুযায়ী এই প্রজাতি সংরক্ষিত। তাই এই প্রাণীটি হত্যা বা এর কোনো ক্ষতিকরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী- ফাঁদ পেতে মেছো বিড়াল শিকার, হত্যা, পাচার কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান রয়েছে। মেছো বিড়াল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিতে হবে।

সাতছড়ি বনবিটের রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, অনেক এলাকায় এটিকে মেছোবাঘ নামে ডাকে। বাঘ নামে ডাকার কারণে শুধু শুধু আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই প্রাণীটি মানুষকে আক্রমণ করে না, বরং মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়। জলাভূমি আছে এমন এলাকায় বেশি দেখা যায়। প্রাণীটি মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ছাড়াও পোকামাকড় ও ইঁদুর খায়। বন ও জলাভূমি ধ্বংস,পিটিয়ে হত্যা ইত্যাদি কারণে বিগত কয়েক দশকে এই প্রাণীটির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল জাহির মিয়া বলেন বলেন- ২০০৮ সালে মেছো বিড়ালকে বিপন্ন প্রাণী প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছে সরকার।এই প্রাণীটি নিশাচর এবং অত্যন্ত নিরীহ।