ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় গরুর চালান আটক Logo ২ দিনের সফরে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন এরদোগান Logo রিজওয়ান-সালমানের সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে রেকর্ড গড়লো পাকিস্তান Logo হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ Logo ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চায় বিএনপি Logo বিএনপির ৮৪৮ নেতাকর্মীকে হত্যায় ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo টাংগুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপণ Logo আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির নতুন নেতৃত্ব,কর্মীদের উচ্ছ্বাস ৫ পদের লড়াইয়ে ডা: জীবন প্যানেলের ৪ প্রার্থী বিজয়ী Logo আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীলীগনেতা প্রার্থী, ছাত্রদের অবস্থান কর্মসূচিতে নির্বাচন স্থগিত Logo জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, ড. ইউনূস সভাপতি

জগন্নাথপুরে বন্যায় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এখনো নিম্নাঞ্চলে পানি রয়েছে। অল্প করে পানি কমা পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগি চিকিৎসা নিচ্ছেন। জ্বর সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগির সংখ্যা বেশি। এরমধ্যে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে আসছেন। অধিকাংশই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এছাড়া প্রতিদিন জ্বর-সর্দি নিয়ে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসছেন।

এ দিকে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় এতে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছিল। বন্যার্ত মানুষের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ৩টি মেডিকেল টিম গঠন করে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া বন্যার্ত মানুষেরা স্বাস্থ্য সেবা সহ ঔষধ ফ্রি দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আরা বলেন, গত কিছুর দিন ধরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে চাপ বাড়ছে। এ ৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রায়শই ৬০ থেকে ৭০ জন রোগি ভর্তি থাকেন। বন্যা পরিস্থিতিতে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মেডিকেল ক্যাম্প করছি।

প্রসঙ্গত, সস্প্রতিকালে অব্যাহত বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জগন্নাথপুর উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও এখনো বানের পানি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে রয়েছে দুর্ভোগ এখনো কমেনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
৭৯ বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথপুরে বন্যায় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে

আপডেট সময় ০৮:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এখনো নিম্নাঞ্চলে পানি রয়েছে। অল্প করে পানি কমা পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগি চিকিৎসা নিচ্ছেন। জ্বর সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগির সংখ্যা বেশি। এরমধ্যে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে আসছেন। অধিকাংশই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এছাড়া প্রতিদিন জ্বর-সর্দি নিয়ে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসছেন।

এ দিকে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় এতে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছিল। বন্যার্ত মানুষের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ৩টি মেডিকেল টিম গঠন করে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া বন্যার্ত মানুষেরা স্বাস্থ্য সেবা সহ ঔষধ ফ্রি দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আরা বলেন, গত কিছুর দিন ধরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে চাপ বাড়ছে। এ ৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রায়শই ৬০ থেকে ৭০ জন রোগি ভর্তি থাকেন। বন্যা পরিস্থিতিতে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মেডিকেল ক্যাম্প করছি।

প্রসঙ্গত, সস্প্রতিকালে অব্যাহত বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জগন্নাথপুর উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও এখনো বানের পানি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে রয়েছে দুর্ভোগ এখনো কমেনি।