ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় সুবর্ণভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচংয়ে Logo হবিগঞ্জের সাতছড়ি গাছ চুরির অভিযোগে বন বিভাগের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা Logo নবীগঞ্জে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু Logo শায়েস্তাগঞ্জে ৩ হাজার কেজি ভারতীয় জিরাসহ আটক ২ Logo শায়েস্তাগঞ্জ সুতাং নদী থেকে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে Logo নেচে-গেয়ে সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য তুলে ধরল চা শ্রমিকেরা Logo মাধবপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ২ জনকে জরিমানা Logo মাধবপুরে ‘নিশান’র নির্বাহী পরিচালকসহ গ্রেফতার ২ Logo হবিগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক সংকট চরমে Logo শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় নাজমুল হোসেনকে সংবর্ধনা

বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৪ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪” যথাযথভাবে উদযাপিত হয়েছে। জাতিসংঘ বিশ্বপর্যটন সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত এবছরের প্রতিপাদ্য ‘Tourism and Peace’ যার বাংলা প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘পর্যটন শান্তির সোপান’।

পর্যটনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় সমঝোতা ও বন্ধুত্ব। যুদ্ধের অনুপস্থিতি শুধু শান্তি নয়; সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে পর্যটনের ভূমিকা অপার।

বিশ্বব্যাপী পর্যটনের প্রচার ও প্রসারে ১৯৮০ সাল থেকে জাতিসংঘের পর্যটন বিষয়ক সংস্থা ‘UN Tourism’ ঘোষিত এ দিবসটি সকল সদস্য দেশে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়ে আসছে।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ‘পর্যটন ভবন’ শুক্রবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বেরা করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহ, ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের সদস্যরা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, টি-শার্ট, রঙ-বেরঙ এর বেলুন, ব্যান্ডপার্টি নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান র‌্যালির উদ্বোধন করেন।

র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পর্যটন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর ভবনের ‘শৈল প্রপাত’ হলে বিশ্ব পর্যটন দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার মূখ্য আলোচক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা বিরাজমান। কিন্তু এ বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ খাতে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের ইমেজ বিল্ডিং-এ পর্যটন শিল্পের ভূমিকা বিশাল। এ বিশাল ভূমিকাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে এশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুরুল কবীর ভুঁইয়া, ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল আলম খন্দকার, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বেসামিরক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাতেমা রহীম ভীনা প্রমুখ।

এ ছাড়াও পর্যটন বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয় দিবসটি উদযাপন করছে

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:১৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২০৫ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৪ পালিত

আপডেট সময় ০৮:১৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪” যথাযথভাবে উদযাপিত হয়েছে। জাতিসংঘ বিশ্বপর্যটন সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত এবছরের প্রতিপাদ্য ‘Tourism and Peace’ যার বাংলা প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘পর্যটন শান্তির সোপান’।

পর্যটনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় সমঝোতা ও বন্ধুত্ব। যুদ্ধের অনুপস্থিতি শুধু শান্তি নয়; সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে পর্যটনের ভূমিকা অপার।

বিশ্বব্যাপী পর্যটনের প্রচার ও প্রসারে ১৯৮০ সাল থেকে জাতিসংঘের পর্যটন বিষয়ক সংস্থা ‘UN Tourism’ ঘোষিত এ দিবসটি সকল সদস্য দেশে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়ে আসছে।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ‘পর্যটন ভবন’ শুক্রবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বেরা করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহ, ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের সদস্যরা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, টি-শার্ট, রঙ-বেরঙ এর বেলুন, ব্যান্ডপার্টি নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান র‌্যালির উদ্বোধন করেন।

র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পর্যটন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর ভবনের ‘শৈল প্রপাত’ হলে বিশ্ব পর্যটন দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার মূখ্য আলোচক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা বিরাজমান। কিন্তু এ বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ খাতে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের ইমেজ বিল্ডিং-এ পর্যটন শিল্পের ভূমিকা বিশাল। এ বিশাল ভূমিকাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে এশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুরুল কবীর ভুঁইয়া, ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল আলম খন্দকার, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বেসামিরক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাতেমা রহীম ভীনা প্রমুখ।

এ ছাড়াও পর্যটন বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয় দিবসটি উদযাপন করছে