ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে ঢলে ভেসে গেছে ব্রিজ, দুর্ভোগে মানুষ

ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড ভেবে আইনজীবিকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

অলি আহমদ মাহিন মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,

মৌলভীবাজার জজ কোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া হত্যা মামলায় ৫ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহ রহমান ও হত্যার পরিকল্পণাকারী নজির মিয়া মুজিবের পূর্ব শত্রুতা ছিল। এরই জের ধরে নজির মিয়া মিসবাহকে হত্যার পরিকল্পণা করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী লক্ষনের মাধ্যমে মিসবাহকে মারার জন্য টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করে নজির মিয়া মুজিব। নজির মিয়া ভাড়াটিয়া খুনীদের লক্ষনের নিকট মোবাইলের মাধ্যমে টার্গেটের ছবি প্রেরণ করে। ঘটনার দিন বানিজ্য মেলায় ভাড়াটিয়া খুনীরা ভিকটিম সুজনকে দেখে মিসবাহ ভেবে নজির মিয়া মুজিবকে কল দিয়ে বলে, যে লোকের ছবি পাঠিয়েছো সেই লোককে আমরা পেয়েছি। নজির মিয়া মুজিব ভাড়াটিয়া খুনীদের ভিডিও কলের মাধ্যমে টার্গেট দেখে নিশ্চিত করতে বলে। ভিকটিম সুজনকে দুষ্কৃতিকারী আব্দুর রহিম ইমুতে ভিডিও কল দিয়ে নজির মিয়া মুজিবকে টার্গেটকে দেখায়। তখন ভাড়াটিয়া খুনীরা জানায় তোমার পাঠানো ছবির সাথে মিল আছে বলিলে নজির মিয়া মুজিব তাদেরকে মারতে বলে। ঘটনার দিন ফুসকা চটপটির দোকানের পাশে ফুটপাতের উপর আইনজীবি সুজন মিয়াকে চেয়ারে বসা দেখিয়া আসামীরাসহ আরো অন্যান্য ১০/১২ জন অতর্কিত আক্রমন করে ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে।

তিনি বলেন, ৬ এপ্রিল রোববার রাত ১১টার দিকে পৌরসভার সামনে ফুচকার দোকানের পাশে আইনজীবি সুজন মিয়াকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই এনামুল হক সুমন সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং- ১৫) করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, মামলার পর শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসি ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে বুধবার মামলার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সদর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে নজির মিয়া মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পৌর শহরের রঘুনন্দনপুর গ্রামের মৃত সিজিল মিয়ার ছেলে মোঃ আরিফ মিয়া, দিশালোক এলাকার আনসার মিয়ার ছেলে হোসাইন আহমদ সোহান, রাজনগরের মাথিউরা চা বাগানের মনা নাইডুর ছেলে লক্ষন নাইডু ও নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কাশিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম ছেলে আব্দুর রহিম।

এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ অন্যান্য পলাতক হত্যাকারীদের পরিচয় উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে, তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে হত্যাকারীদের নাম প্রকাশ করছে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, সদর মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা মাখার ওসি জাফর হোসেনসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৩১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
৬১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড ভেবে আইনজীবিকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

আপডেট সময় ০৬:৩১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজার জজ কোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া হত্যা মামলায় ৫ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহ রহমান ও হত্যার পরিকল্পণাকারী নজির মিয়া মুজিবের পূর্ব শত্রুতা ছিল। এরই জের ধরে নজির মিয়া মিসবাহকে হত্যার পরিকল্পণা করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী লক্ষনের মাধ্যমে মিসবাহকে মারার জন্য টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করে নজির মিয়া মুজিব। নজির মিয়া ভাড়াটিয়া খুনীদের লক্ষনের নিকট মোবাইলের মাধ্যমে টার্গেটের ছবি প্রেরণ করে। ঘটনার দিন বানিজ্য মেলায় ভাড়াটিয়া খুনীরা ভিকটিম সুজনকে দেখে মিসবাহ ভেবে নজির মিয়া মুজিবকে কল দিয়ে বলে, যে লোকের ছবি পাঠিয়েছো সেই লোককে আমরা পেয়েছি। নজির মিয়া মুজিব ভাড়াটিয়া খুনীদের ভিডিও কলের মাধ্যমে টার্গেট দেখে নিশ্চিত করতে বলে। ভিকটিম সুজনকে দুষ্কৃতিকারী আব্দুর রহিম ইমুতে ভিডিও কল দিয়ে নজির মিয়া মুজিবকে টার্গেটকে দেখায়। তখন ভাড়াটিয়া খুনীরা জানায় তোমার পাঠানো ছবির সাথে মিল আছে বলিলে নজির মিয়া মুজিব তাদেরকে মারতে বলে। ঘটনার দিন ফুসকা চটপটির দোকানের পাশে ফুটপাতের উপর আইনজীবি সুজন মিয়াকে চেয়ারে বসা দেখিয়া আসামীরাসহ আরো অন্যান্য ১০/১২ জন অতর্কিত আক্রমন করে ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে।

তিনি বলেন, ৬ এপ্রিল রোববার রাত ১১টার দিকে পৌরসভার সামনে ফুচকার দোকানের পাশে আইনজীবি সুজন মিয়াকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই এনামুল হক সুমন সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং- ১৫) করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, মামলার পর শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসি ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে বুধবার মামলার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সদর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে নজির মিয়া মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পৌর শহরের রঘুনন্দনপুর গ্রামের মৃত সিজিল মিয়ার ছেলে মোঃ আরিফ মিয়া, দিশালোক এলাকার আনসার মিয়ার ছেলে হোসাইন আহমদ সোহান, রাজনগরের মাথিউরা চা বাগানের মনা নাইডুর ছেলে লক্ষন নাইডু ও নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কাশিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম ছেলে আব্দুর রহিম।

এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ অন্যান্য পলাতক হত্যাকারীদের পরিচয় উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে, তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে হত্যাকারীদের নাম প্রকাশ করছে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, সদর মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা মাখার ওসি জাফর হোসেনসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।