ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে ঢলে ভেসে গেছে ব্রিজ, দুর্ভোগে মানুষ

মঞ্চে উঠে আপ্লুত হামজা শুধু বললেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-

ইংলিশ ফুটবলার দেওয়ান হামজা চৌধুরী। তবে এবার তার পরিচয়টা হচ্ছে ভিন্ন। অভিষেক হতে যাচ্ছে দেশের হয়ে লাল সবুজের জার্সি গায়ে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি তার নিজ গ্রাম হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটে যান।

গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় হামজাকে। সংবর্ধনা মঞ্চে আপ্লুত এই ফুটবলার কয়েক সেকেন্ড কথা বলেন, যেখানে তার মুখে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ কথাটিই স্পষ্ট শোনা যায়।

মা-স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী।

বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এরপর সেখান থেকে সড়কপথে বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে রওনা হন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি গ্রামে পৌঁছান।

গ্রামবাসী হামজার বাড়িতেই তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার মঞ্চ তৈরি করে। গ্রামে পৌঁছানোর পর সরাসরি তাকে নেওয়া হয় সেই মঞ্চে। তখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল সেখানে। মঞ্চে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় তাকে। এরপর কয়েক সেকেন্ডের বক্তব্য দেন হামজা। ভাঙা ভাঙা বাংলায় কথা বলা হামজাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’ এরপর তিনি ঘরে চলে যান।
সোমবার সকাল থেকেই শত শত মানুষ ও সংবাদকর্মী দেওয়ান হামজা চৌধুরীর গ্রামের বাড়িতে জড়ো হন। একনজর দেখতে সেখানে তারা অপেক্ষায় ছিলেন। হামজাকে বরণে পথে পথে তোরণ নির্মাণ করা হয়। বাড়ির প্রবেশ পথেও তোরণ করা হয়। সংবর্ধনার জন্য তৈরি করা হয় একটি মঞ্চ। অতিথিদের আপ্যায়নে ইফতারের আয়োজন ছিল।

দেড় বা দুই বছর বয়স থেকেই তার (হামজা চৌধুরী) দেশে আসা শুরু, কিন্তু এবারের আসাটা ভিন্ন। এবার তার সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী, সন্তানরাও। তাদের জন্য বাংলাদেশে এটি প্রথম সফর। পুত্রবধূ প্রথমবার আসছেন শ্বশুর বাড়িতে। তাই বিদেশি বধূকে বরণে ব্যাপক আয়োজন করেছেন স্বজনরা। লাইটিং করা হয়েছে পুরো বাড়িতে।

হামজা চৌধুরীর চাচা দেওয়ান মাসুদ চৌধুরী বলেন, “২০১৪ সালে সর্বশেষ দেশে এসেছিল হামজা। ২০২২ সালে সে বিয়ে করে। এরপর আর তার দেশে আসা হয়নি। সে দেশে আসায় আমরা আনন্দিত। ভাতিজার সাথে এবার তার স্ত্রী এবং আমাদের নাতি-নাতনিদের দেখেছি। মূলত তাদের বরণ করতেই বাড়ি সাজানো হয়েছে। আমাদের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করছে। শুধু আমাদের বাড়ি নয়, জেলাজুড়ে মানুষের মধ্যে তাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।”

হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, “অনেকেই সংবর্ধনার আয়োজন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমি বারণ করেছি। একে তো রমজান মাস, আবার সে লম্বা বিমান সফর করে আসছে। সে অনেক ক্লান্ত। তাই কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি। বলেছি, এটিই তো শেষ আসা নয়। যেহেতু দেশের হয়ে খেলবে, পরের বার এলে সংবর্ধনা দেওয়া যাবে।

“এবার আমি নিজে বাড়িতে ছোট আয়োজন করেছিলাম। যেহেতু বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন এসেছে, তাই সবার সম্মানে এ আয়োজন। ছোট একটি মঞ্চ তৈরি করেছিলাম। এখানে সবার সাথে কুশলবিনিময় করল, তারপর সবাইকে নিয়ে ইফতার। ব্যস, এটুকুই। একটি রাত বাড়িতে থাকাই মূল উদ্দেশ্য। মঙ্গলবার ঢাকায় চলে যাবে সবাই।”

এর আগেও স্নানঘাট গ্রামে এসেছিলেন হামজা চৌধুরী। তবে এবার তার আসায় ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। এবার তিনি এসেছেন নিজ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলতে। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বছাই পর্বে বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামবেন লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার। এই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হবে হামজা চৌধুরীর।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
৪৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

মঞ্চে উঠে আপ্লুত হামজা শুধু বললেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’

আপডেট সময় ০৯:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

ইংলিশ ফুটবলার দেওয়ান হামজা চৌধুরী। তবে এবার তার পরিচয়টা হচ্ছে ভিন্ন। অভিষেক হতে যাচ্ছে দেশের হয়ে লাল সবুজের জার্সি গায়ে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি তার নিজ গ্রাম হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটে যান।

গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় হামজাকে। সংবর্ধনা মঞ্চে আপ্লুত এই ফুটবলার কয়েক সেকেন্ড কথা বলেন, যেখানে তার মুখে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ কথাটিই স্পষ্ট শোনা যায়।

মা-স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী।

বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এরপর সেখান থেকে সড়কপথে বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে রওনা হন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি গ্রামে পৌঁছান।

গ্রামবাসী হামজার বাড়িতেই তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার মঞ্চ তৈরি করে। গ্রামে পৌঁছানোর পর সরাসরি তাকে নেওয়া হয় সেই মঞ্চে। তখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল সেখানে। মঞ্চে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় তাকে। এরপর কয়েক সেকেন্ডের বক্তব্য দেন হামজা। ভাঙা ভাঙা বাংলায় কথা বলা হামজাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’ এরপর তিনি ঘরে চলে যান।
সোমবার সকাল থেকেই শত শত মানুষ ও সংবাদকর্মী দেওয়ান হামজা চৌধুরীর গ্রামের বাড়িতে জড়ো হন। একনজর দেখতে সেখানে তারা অপেক্ষায় ছিলেন। হামজাকে বরণে পথে পথে তোরণ নির্মাণ করা হয়। বাড়ির প্রবেশ পথেও তোরণ করা হয়। সংবর্ধনার জন্য তৈরি করা হয় একটি মঞ্চ। অতিথিদের আপ্যায়নে ইফতারের আয়োজন ছিল।

দেড় বা দুই বছর বয়স থেকেই তার (হামজা চৌধুরী) দেশে আসা শুরু, কিন্তু এবারের আসাটা ভিন্ন। এবার তার সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী, সন্তানরাও। তাদের জন্য বাংলাদেশে এটি প্রথম সফর। পুত্রবধূ প্রথমবার আসছেন শ্বশুর বাড়িতে। তাই বিদেশি বধূকে বরণে ব্যাপক আয়োজন করেছেন স্বজনরা। লাইটিং করা হয়েছে পুরো বাড়িতে।

হামজা চৌধুরীর চাচা দেওয়ান মাসুদ চৌধুরী বলেন, “২০১৪ সালে সর্বশেষ দেশে এসেছিল হামজা। ২০২২ সালে সে বিয়ে করে। এরপর আর তার দেশে আসা হয়নি। সে দেশে আসায় আমরা আনন্দিত। ভাতিজার সাথে এবার তার স্ত্রী এবং আমাদের নাতি-নাতনিদের দেখেছি। মূলত তাদের বরণ করতেই বাড়ি সাজানো হয়েছে। আমাদের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করছে। শুধু আমাদের বাড়ি নয়, জেলাজুড়ে মানুষের মধ্যে তাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।”

হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, “অনেকেই সংবর্ধনার আয়োজন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমি বারণ করেছি। একে তো রমজান মাস, আবার সে লম্বা বিমান সফর করে আসছে। সে অনেক ক্লান্ত। তাই কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি। বলেছি, এটিই তো শেষ আসা নয়। যেহেতু দেশের হয়ে খেলবে, পরের বার এলে সংবর্ধনা দেওয়া যাবে।

“এবার আমি নিজে বাড়িতে ছোট আয়োজন করেছিলাম। যেহেতু বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন এসেছে, তাই সবার সম্মানে এ আয়োজন। ছোট একটি মঞ্চ তৈরি করেছিলাম। এখানে সবার সাথে কুশলবিনিময় করল, তারপর সবাইকে নিয়ে ইফতার। ব্যস, এটুকুই। একটি রাত বাড়িতে থাকাই মূল উদ্দেশ্য। মঙ্গলবার ঢাকায় চলে যাবে সবাই।”

এর আগেও স্নানঘাট গ্রামে এসেছিলেন হামজা চৌধুরী। তবে এবার তার আসায় ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। এবার তিনি এসেছেন নিজ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলতে। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বছাই পর্বে বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামবেন লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার। এই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হবে হামজা চৌধুরীর।