ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৬২২ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo শায়েস্তাগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করছে ‘শায়েস্তাগঞ্জ সমিতি ইউকে’, নতুন কমিটি গঠন Logo মাধবপুরে হজ করে বাড়ি ফেরা হল না, সড়কে নিহত ৩, আহত ৬ Logo শহীদ জিয়া স্মৃতি নাইট মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo বাহুবল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত সভাপতি মাসুম, সেক্রেটারী ইমন Logo নবীগঞ্জের এক মহিলার পর্নোগ্রাফি মামলায় গোয়ালা বাজারের ব্যবসায়ী কারাগারে Logo নবীগঞ্জে আর্ন্তজাতিক প্রতিরোধ পক্ষ ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ এবং বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৪ Logo সাংবাদিক নওরোজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবে শোক সভা Logo নবীগঞ্জে দুই ভাবির পরকীয়ার বলি মোস্তাকিন: রোমহর্ষক বর্ণনা খুনির Logo বাহুবলে ইজিবাইকের ভাড়া নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৫০

মাধবপুরে ইজারাবিহীন চলছে বালু ব্যবসা, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

নিজস্ব সংবাদ :

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালু ব্যবসায়ী মাফিয়ারা। জেলা প্রশাসনের উদাসীনতা ও মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালের কমিশন বাণিজ্যের কারণে উপজেলার অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

ফলে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ লঙ্ঘন ও ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের অনুমোদন না নিয়ে ইজারাবিহীন চলছে বালুখেকোদের রমরমা ব্যবসা। এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। কোথাও ভেঙে যাচ্ছে নদীর পাড়। কোথাও তলিয়ে যাচ্ছে হতদরিদ্রদের বসতবাড়ি। প্রতিবাদ করলে করা হয় হামলা, হুমকি ও হয়রানি- এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

মাধবপুরের বুল্লা ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের পাশে পিডিএল কর্তৃক দুটি ড্রেজার মেশিন সংযুক্ত করে কয়েক কিলোমিটার এলাকা পাড়ি দিয়ে হাইওয়ে রোডের পাশে ফেলা হচ্ছে ইজারাবিহীন লাখো ঘনফুট বালু। প্রায় ৫০ একর কৃষিজমি থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে অবৈধ বালু। এতে নষ্ট হচ্ছে কৃষিজমি। স্থানীয় বাসিন্দারা এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কারও মাথাব্যথা নেই এ নিয়ে।

এই সিন্ডিকেটে স্থানীয় বুল্লার ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সাবেক মেম্বার মিলন মিয়া, আহাদ মিয়া ও সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম মামুন গং জড়িত থাকায় কেউ কথা বলতে সাহস পান না বলেও জানায় এলাকাবাসী। অন্যদিকে, উপজেলার চৌমুহনী ইউপি মহব্বতপুর মৌজার মহব্বতপুর গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক উত্তোলিত ৩টি প্যাকেজে ভাগ করা ৩০ লাখ ঘনফুট বালুর মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ ঘনফুট বালু লুট হয়ে গেছে। প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে বালু পাচার হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

বালু ইজারার সরকারি ৮২ লাখ টাকা মূল্য পরিশোধ করা শান্ত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম শান্ত জানান, ১০ লাখ ঘনফুটের বালুর মূল্য আমি সরকারকে পরিশোধ করেছি। এখন এসব লুট হয়ে যাচ্ছে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর জবাব দিতে হবে ইউএনও ও এসিল্যান্ডকেই। এখানে সরকারকে ঠকাচ্ছেন তারা। শান্তর করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এসবের মূলহোতা শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী। সম্প্রতি এ নিয়ে সরেজমিন সাংবাদিকরা প্রতিবেদন করতে গেলে ওই ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের হত্যার হুমকিও দেন।

পরে যোগাযোগ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী জানান, আমরা সবাইকে দিয়েই এখানে ব্যবসা করি। আমাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। পারলে উপরে কথা বলে আসেন।

এ বিষয়ে জানতে মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালকে তার সরকারি নম্বরে একাধিকবার ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেওয়া হলেও তা রিসিভ হয়নি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
৩৪ বার পড়া হয়েছে

মাধবপুরে ইজারাবিহীন চলছে বালু ব্যবসা, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

আপডেট সময় ০৫:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালু ব্যবসায়ী মাফিয়ারা। জেলা প্রশাসনের উদাসীনতা ও মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালের কমিশন বাণিজ্যের কারণে উপজেলার অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

ফলে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ লঙ্ঘন ও ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের অনুমোদন না নিয়ে ইজারাবিহীন চলছে বালুখেকোদের রমরমা ব্যবসা। এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। কোথাও ভেঙে যাচ্ছে নদীর পাড়। কোথাও তলিয়ে যাচ্ছে হতদরিদ্রদের বসতবাড়ি। প্রতিবাদ করলে করা হয় হামলা, হুমকি ও হয়রানি- এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

মাধবপুরের বুল্লা ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের পাশে পিডিএল কর্তৃক দুটি ড্রেজার মেশিন সংযুক্ত করে কয়েক কিলোমিটার এলাকা পাড়ি দিয়ে হাইওয়ে রোডের পাশে ফেলা হচ্ছে ইজারাবিহীন লাখো ঘনফুট বালু। প্রায় ৫০ একর কৃষিজমি থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে অবৈধ বালু। এতে নষ্ট হচ্ছে কৃষিজমি। স্থানীয় বাসিন্দারা এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কারও মাথাব্যথা নেই এ নিয়ে।

এই সিন্ডিকেটে স্থানীয় বুল্লার ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সাবেক মেম্বার মিলন মিয়া, আহাদ মিয়া ও সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম মামুন গং জড়িত থাকায় কেউ কথা বলতে সাহস পান না বলেও জানায় এলাকাবাসী। অন্যদিকে, উপজেলার চৌমুহনী ইউপি মহব্বতপুর মৌজার মহব্বতপুর গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক উত্তোলিত ৩টি প্যাকেজে ভাগ করা ৩০ লাখ ঘনফুট বালুর মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ ঘনফুট বালু লুট হয়ে গেছে। প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে বালু পাচার হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

বালু ইজারার সরকারি ৮২ লাখ টাকা মূল্য পরিশোধ করা শান্ত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম শান্ত জানান, ১০ লাখ ঘনফুটের বালুর মূল্য আমি সরকারকে পরিশোধ করেছি। এখন এসব লুট হয়ে যাচ্ছে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর জবাব দিতে হবে ইউএনও ও এসিল্যান্ডকেই। এখানে সরকারকে ঠকাচ্ছেন তারা। শান্তর করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এসবের মূলহোতা শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী। সম্প্রতি এ নিয়ে সরেজমিন সাংবাদিকরা প্রতিবেদন করতে গেলে ওই ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের হত্যার হুমকিও দেন।

পরে যোগাযোগ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী জানান, আমরা সবাইকে দিয়েই এখানে ব্যবসা করি। আমাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। পারলে উপরে কথা বলে আসেন।

এ বিষয়ে জানতে মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালকে তার সরকারি নম্বরে একাধিকবার ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেওয়া হলেও তা রিসিভ হয়নি।