ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে ঢলে ভেসে গেছে ব্রিজ, দুর্ভোগে মানুষ

‘মামলার সাধ মিটাইমু’ বলে প্রাবাসিকে কুপিয়ে যখন, স্বর্ণালংকার লুট

অলি আহমদ মাহিন মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে দুর্বৃত্তরা একটি বাড়িতে দরজা ভেঙে ঢুকে কাতার প্রবাসীসহ একই পরিবারের ৪ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে। এ সময় তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের হালগরা এলাকায় ঘটে। আশংকাজনক অবস্থায় আহত ব্যক্তিদের সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন, হালগরা এলাকার বাসিন্দা আবদুল মোতালিব ওরফে লিটন (৩৬), মোতালিবের স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩০) ও ভাই আবদুল আজিজ ওরফে রিমন (২৬) ও এক শিশু। এর মধ্যে মোতালিব কাতারে থাকেন। ৩ মাসের ছুটি পেয়ে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরেন।

পরিবারের সদস্যরা বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ৬ সদস্যের একদল দৃর্বৃত্ত মোতালিবদের বসতঘরের পিছনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে। এর মধ্যে ১ জনের মুখোশ পরা ছিল। তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের দেশী- বিদেশি অস্ত্র ছিল। রমজান মাসের কারণে সাহরি খেতে পরিবারের কিছু সদস্য জেগে ছিলেন। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ‘মামলার সাধ মিটাইমু’ এ কথা বলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে মোতালিবকে কোপ দেয়। স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে তারা রোকসানাকেও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ‘আর মামলা করলে জানে শেষ করি দিমু’ বলেও তারা হুমকি দেয়। এর পর পাশের কক্ষে গিয়ে আবদুল আজিজকেও কুপিয়ে আহত করে। পরে তারা বিভিন্ন কক্ষের আলমারি, ড্রয়ার ভেঙে নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা, প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, ৫ টি দামি মুঠোফোনের সেট ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনা নতুন কাপড়চোপড় লুট করে নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের চিৎকার, কান্নাকাটি শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে যান।

খবর পেয়ে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান ও জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে সিলেটে স্থানান্তর করা হয়।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের কর্মকর্তাদের সামনে আহত মোতালিবের মা হাসনা বেগম (৭০) বলেন, তাঁদের বাড়ির সামনের রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী আত্মীয় সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমাও হয়। সম্প্রতি সরকারি জরিপকারকের (সার্ভেয়ার) মাধ্যমে মাপজোখ করে রাস্তার মালিকানা তাঁরা পান। দুর্বৃত্তরা মামলার কথা উল্লেখ করায় এ ঘটনার পিছনে প্রতিপক্ষের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

জুড়ী থানার ওসি মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আহত ব্যক্তিরা লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:১৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
৫৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

‘মামলার সাধ মিটাইমু’ বলে প্রাবাসিকে কুপিয়ে যখন, স্বর্ণালংকার লুট

আপডেট সময় ১১:১৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে দুর্বৃত্তরা একটি বাড়িতে দরজা ভেঙে ঢুকে কাতার প্রবাসীসহ একই পরিবারের ৪ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে। এ সময় তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের হালগরা এলাকায় ঘটে। আশংকাজনক অবস্থায় আহত ব্যক্তিদের সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন, হালগরা এলাকার বাসিন্দা আবদুল মোতালিব ওরফে লিটন (৩৬), মোতালিবের স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩০) ও ভাই আবদুল আজিজ ওরফে রিমন (২৬) ও এক শিশু। এর মধ্যে মোতালিব কাতারে থাকেন। ৩ মাসের ছুটি পেয়ে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরেন।

পরিবারের সদস্যরা বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ৬ সদস্যের একদল দৃর্বৃত্ত মোতালিবদের বসতঘরের পিছনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে। এর মধ্যে ১ জনের মুখোশ পরা ছিল। তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের দেশী- বিদেশি অস্ত্র ছিল। রমজান মাসের কারণে সাহরি খেতে পরিবারের কিছু সদস্য জেগে ছিলেন। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ‘মামলার সাধ মিটাইমু’ এ কথা বলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে মোতালিবকে কোপ দেয়। স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে তারা রোকসানাকেও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ‘আর মামলা করলে জানে শেষ করি দিমু’ বলেও তারা হুমকি দেয়। এর পর পাশের কক্ষে গিয়ে আবদুল আজিজকেও কুপিয়ে আহত করে। পরে তারা বিভিন্ন কক্ষের আলমারি, ড্রয়ার ভেঙে নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা, প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, ৫ টি দামি মুঠোফোনের সেট ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনা নতুন কাপড়চোপড় লুট করে নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের চিৎকার, কান্নাকাটি শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে যান।

খবর পেয়ে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান ও জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে সিলেটে স্থানান্তর করা হয়।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের কর্মকর্তাদের সামনে আহত মোতালিবের মা হাসনা বেগম (৭০) বলেন, তাঁদের বাড়ির সামনের রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী আত্মীয় সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমাও হয়। সম্প্রতি সরকারি জরিপকারকের (সার্ভেয়ার) মাধ্যমে মাপজোখ করে রাস্তার মালিকানা তাঁরা পান। দুর্বৃত্তরা মামলার কথা উল্লেখ করায় এ ঘটনার পিছনে প্রতিপক্ষের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

জুড়ী থানার ওসি মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আহত ব্যক্তিরা লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।