ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে ঢলে ভেসে গেছে ব্রিজ, দুর্ভোগে মানুষ

মৌলভীবাজারে রাজনগর সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের ১৫ দফা প্রস্তাবনা

অলি আহমদ মাহিন মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,

মৌলভীবাজারের রাজনগর সরকারি কলেজে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে ১৫ দফা প্রস্তাবনা’ বাস্তবায়নে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্রশিবির।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তামান্না বেগমের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন ছাত্রশিবিরের রাজনগর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আপন ও সেক্রেটারি জিবান আহমদ।

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র জনতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, অজস্র ছাত্র-জনতার ত্যাগ-কুরবানি ও শাহাদাতের বিনিময়ে যে সুযোগ পাওয়া গেছে সেই সুযোগ কে শহিদদের প্রত্যাশা ও জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের আলোকে কাজে লাগানো প্রয়োজন। ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশে একটি বৈষম্যহীন ও সুস্থ্য ক্যাম্পাস বিনির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।

এতে ফ্যাসিবাদবিরোধী নতুন ক্যাম্পাস বিনির্মাণে রাজনগর সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ১৫টি প্রস্তবনা তুলে ধরা হয়।

তাদের প্রস্তবনাগুলো হলো-

১. ক্যাম্পাসে একটি জুলাই স্মৃতি কর্ণার স্থাপন করা।

২. দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া।

৩. কলেজে B.N.C.C সচল করা।

৪. কলেজের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।

৫. কলেজের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম (বিভিন্ন ধরনের আবেদন, টাকা দেওয়া, সার্টিফিকেট, মার্কশিটসহ প্রয়োজন ডকুমেন্ট উত্তোলন) আধুনিকায়ন করে অনলাইনে নিয়ে এসে প্রশাসনিক জটিলতা, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমিয়ে আনা।

৬. সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনা।

৭. ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে আইন করে ধূমপান নিষিদ্ধ করা।

৮. প্রতিটি সাবজেক্টে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

৯. ক্যাম্পাসে মেয়েদের জন্য আলাদা নামাজ এবং ওযুর ব্যবস্থা করা।

১০. কলেজ মসজিদ প্রয়োজনীয় সংস্কার করা।

১১. পুরাতন ভবনের ওয়াশরুম সংস্কার করা।

১২. প্রতি বছরের কমপক্ষে দুইটি করে শিক্ষা সেমিনার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশের বিভিন্ন গণ্য-মান্য শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন সেশনের আয়োজন করা।

১৩. কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা।

১৪. শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশে কলেজে একটি ডিবেট ক্লাব গঠন করা।

১৫. কলেজ লাইব্রেরীকে আধুনিকায়ন করে বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও বাহির থেকে বই নিয়ে পড়ার জন্য মানসম্মত রিডিং রুমের ব্যাবস্থা করা।

স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এসব প্রস্তাবনার আলোকে ক্যাম্পাসকে ঢেলে সাজিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ-গাজীদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলন করা হবে বলেই বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির বিশ্বাস করে। দ্রুততম সময়ের মাঝে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা বিবেচনা করে উল্লেখিত প্রস্তাবনার আলোকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে অধ্যক্ষের অনুরোধ জানান তারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৪৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

মৌলভীবাজারে রাজনগর সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের ১৫ দফা প্রস্তাবনা

আপডেট সময় ০৬:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজারের রাজনগর সরকারি কলেজে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে ১৫ দফা প্রস্তাবনা’ বাস্তবায়নে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্রশিবির।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তামান্না বেগমের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন ছাত্রশিবিরের রাজনগর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আপন ও সেক্রেটারি জিবান আহমদ।

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র জনতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, অজস্র ছাত্র-জনতার ত্যাগ-কুরবানি ও শাহাদাতের বিনিময়ে যে সুযোগ পাওয়া গেছে সেই সুযোগ কে শহিদদের প্রত্যাশা ও জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের আলোকে কাজে লাগানো প্রয়োজন। ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশে একটি বৈষম্যহীন ও সুস্থ্য ক্যাম্পাস বিনির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।

এতে ফ্যাসিবাদবিরোধী নতুন ক্যাম্পাস বিনির্মাণে রাজনগর সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ১৫টি প্রস্তবনা তুলে ধরা হয়।

তাদের প্রস্তবনাগুলো হলো-

১. ক্যাম্পাসে একটি জুলাই স্মৃতি কর্ণার স্থাপন করা।

২. দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া।

৩. কলেজে B.N.C.C সচল করা।

৪. কলেজের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।

৫. কলেজের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম (বিভিন্ন ধরনের আবেদন, টাকা দেওয়া, সার্টিফিকেট, মার্কশিটসহ প্রয়োজন ডকুমেন্ট উত্তোলন) আধুনিকায়ন করে অনলাইনে নিয়ে এসে প্রশাসনিক জটিলতা, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমিয়ে আনা।

৬. সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনা।

৭. ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে আইন করে ধূমপান নিষিদ্ধ করা।

৮. প্রতিটি সাবজেক্টে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

৯. ক্যাম্পাসে মেয়েদের জন্য আলাদা নামাজ এবং ওযুর ব্যবস্থা করা।

১০. কলেজ মসজিদ প্রয়োজনীয় সংস্কার করা।

১১. পুরাতন ভবনের ওয়াশরুম সংস্কার করা।

১২. প্রতি বছরের কমপক্ষে দুইটি করে শিক্ষা সেমিনার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশের বিভিন্ন গণ্য-মান্য শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন সেশনের আয়োজন করা।

১৩. কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা।

১৪. শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশে কলেজে একটি ডিবেট ক্লাব গঠন করা।

১৫. কলেজ লাইব্রেরীকে আধুনিকায়ন করে বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও বাহির থেকে বই নিয়ে পড়ার জন্য মানসম্মত রিডিং রুমের ব্যাবস্থা করা।

স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এসব প্রস্তাবনার আলোকে ক্যাম্পাসকে ঢেলে সাজিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ-গাজীদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলন করা হবে বলেই বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির বিশ্বাস করে। দ্রুততম সময়ের মাঝে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা বিবেচনা করে উল্লেখিত প্রস্তাবনার আলোকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে অধ্যক্ষের অনুরোধ জানান তারা।