ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে ঢলে ভেসে গেছে ব্রিজ, দুর্ভোগে মানুষ

রাজধানীতে রমজান শুরুর আগেই বাজার অস্থির, অসহায় ক্রেতারা

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সুবাতাস বইতে থাকে নিত্যপণ্যের বাজারে। সব ধরনের সবজির দর আচকা ধপাস করে নেমে যায়। মাছ-মাংসের দামও চলে আসে সহনীয় পর্যায়ে। সে সময় ক্রেতার মনে ফেরে স্বস্তি। তবে ‘দামে আরাম’ বেশি দিন টেকেনি। সেই রমজানের আগে আবারও তেতেছে নিত্যপণ্যের বাজার। সরকারের দুর্বলতার সুযোগে ‘সিন্ডিকেট’ ফের সটান দাঁড়িয়ে গেছে। নানা ছুতায় হরদম মানুষের পকেট কাটছে। এ পরিস্থিতিতে জনমনে দানা বাঁধছে ক্ষোভ।

এ বছরও রমজানের আগে স্বস্তি নেই বাজারে। কোনো কোনো বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও তেলের চড়া দাম ক্রেতাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। শশা ও বেগুনের দাম দ্বিগুণেরও বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোনো পণ্যের সংকট হবে না, তবে বাজারে এর প্রভাব পড়ছে না।

গত কয়েকদিন ধরেই বাজারে সয়াবিন তেলের সংকটের অভিযোগ তুলছেন ক্রেতারা।বিভিন্ন শীতকালীন সবজি ও মুরগির দামও বেড়ে গেছে। বেগুনের দাম দ্বিগুণেরও বেশি এবং শশার দাম ১০০ টাকার নিচে না।

বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে উত্তরার আজিমপুর, আব্দুল্লাহপুর, সুইচগেট বড় কাঁচা বাজার গুলোতে ঘুরে যা দেখা যায়। ইফতারে বহুল ব্যবহৃত পণ্য শসা, বেগুনের দাম বাড়তির দিকে। সবজির বাজারও চড়া। সাধারণ মানুষের আমিষের অন্যতম অনুসঙ্গ মুরগির দামও বাড়তির দিকে।

উত্তরা আব্দুল্লাপুর সবজি বিক্রেতা সপন মিয়া বলেন, “গত সপ্তাহের চেয়ে দাম সামান্য বাড়তি। প্রতি আইটেমে তিন থেকে পাঁচ টাকা বাড়ছে।”

আরেকজন সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, “দিন যত যাইবো, দাম বাড়বো। কারণ রোজা আইছে না!” মান, আকার ও দোকানভেদে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কম-বেশি হতে দেখা গেছে।

উত্তরা আজমপুর কাচাবাজারে মূল্যের অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষক রহিমা বেগম জানান, চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে বাজারে। তারপরেও সংকটের কথা বলে দাম বাড়ানো হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ কার্যকরী বাজার তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

বাজারে কথা হয় আতাউর রহমান নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে। সকাল সকাল বাজার করতে এসে হিসাব মেলাতে পারছিলেন না তিনি। প্রতিদিনের রান্নায় প্রয়োজনীয় তেল, পিয়াজ, রসুন, আলু, সবজি ও মসলা কিনতেই পকেটে টান পড়ে তার। কেনা বাকি মাছ, ডিম, কাঁচা মরিচ ও ডাল। শেষমেশ বাজারের ফর্দ থেকে ডিম ও ডাল বাদ দিতে হয় তার। আতাউর রহমান বলেন, বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম চাচ্ছে। তিনি বলেন, বাজারের ফর্দ থেকে আমাকে ডিম ও ডাল বাদ দিতে হয়েছে। আগে গরু ও খাসির মাংস কিনতে গিয়ে চিন্তা করতাম। কিন্তু এখন ডিম আর মাছ কিনতে গিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।

দ্রব্যমূল্যের চাপে অনেককেই ধার দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। কেউ কেউ খরচ কমাতে স্ত্রী সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপরও সংসার চালাতে পারছেন না। একজন প্রাইভেট কার চালকের কথা, “স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি না পাঠালে ছিনতাই, ডাকাতি করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তারপরও চলতে পারছি না।”

সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে কাঁচামাল, মাছ-মাংস, এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তা বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর একটি বড় ধাক্কা হিসেবে কাজ করছে। সরবরাহে সংকট না থাকলেও, বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী, যা ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা অনেকাংশে কমিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে সবজি, ডাল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এতোটাই বেড়ে গেছে যে, অনেক পরিবার দৈনন্দিন বাজেটের সাথে তাল মেলাতে পারছে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
৪৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

রাজধানীতে রমজান শুরুর আগেই বাজার অস্থির, অসহায় ক্রেতারা

আপডেট সময় ০৮:৪৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সুবাতাস বইতে থাকে নিত্যপণ্যের বাজারে। সব ধরনের সবজির দর আচকা ধপাস করে নেমে যায়। মাছ-মাংসের দামও চলে আসে সহনীয় পর্যায়ে। সে সময় ক্রেতার মনে ফেরে স্বস্তি। তবে ‘দামে আরাম’ বেশি দিন টেকেনি। সেই রমজানের আগে আবারও তেতেছে নিত্যপণ্যের বাজার। সরকারের দুর্বলতার সুযোগে ‘সিন্ডিকেট’ ফের সটান দাঁড়িয়ে গেছে। নানা ছুতায় হরদম মানুষের পকেট কাটছে। এ পরিস্থিতিতে জনমনে দানা বাঁধছে ক্ষোভ।

এ বছরও রমজানের আগে স্বস্তি নেই বাজারে। কোনো কোনো বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও তেলের চড়া দাম ক্রেতাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। শশা ও বেগুনের দাম দ্বিগুণেরও বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোনো পণ্যের সংকট হবে না, তবে বাজারে এর প্রভাব পড়ছে না।

গত কয়েকদিন ধরেই বাজারে সয়াবিন তেলের সংকটের অভিযোগ তুলছেন ক্রেতারা।বিভিন্ন শীতকালীন সবজি ও মুরগির দামও বেড়ে গেছে। বেগুনের দাম দ্বিগুণেরও বেশি এবং শশার দাম ১০০ টাকার নিচে না।

বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে উত্তরার আজিমপুর, আব্দুল্লাহপুর, সুইচগেট বড় কাঁচা বাজার গুলোতে ঘুরে যা দেখা যায়। ইফতারে বহুল ব্যবহৃত পণ্য শসা, বেগুনের দাম বাড়তির দিকে। সবজির বাজারও চড়া। সাধারণ মানুষের আমিষের অন্যতম অনুসঙ্গ মুরগির দামও বাড়তির দিকে।

উত্তরা আব্দুল্লাপুর সবজি বিক্রেতা সপন মিয়া বলেন, “গত সপ্তাহের চেয়ে দাম সামান্য বাড়তি। প্রতি আইটেমে তিন থেকে পাঁচ টাকা বাড়ছে।”

আরেকজন সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, “দিন যত যাইবো, দাম বাড়বো। কারণ রোজা আইছে না!” মান, আকার ও দোকানভেদে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কম-বেশি হতে দেখা গেছে।

উত্তরা আজমপুর কাচাবাজারে মূল্যের অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষক রহিমা বেগম জানান, চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে বাজারে। তারপরেও সংকটের কথা বলে দাম বাড়ানো হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ কার্যকরী বাজার তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

বাজারে কথা হয় আতাউর রহমান নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে। সকাল সকাল বাজার করতে এসে হিসাব মেলাতে পারছিলেন না তিনি। প্রতিদিনের রান্নায় প্রয়োজনীয় তেল, পিয়াজ, রসুন, আলু, সবজি ও মসলা কিনতেই পকেটে টান পড়ে তার। কেনা বাকি মাছ, ডিম, কাঁচা মরিচ ও ডাল। শেষমেশ বাজারের ফর্দ থেকে ডিম ও ডাল বাদ দিতে হয় তার। আতাউর রহমান বলেন, বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম চাচ্ছে। তিনি বলেন, বাজারের ফর্দ থেকে আমাকে ডিম ও ডাল বাদ দিতে হয়েছে। আগে গরু ও খাসির মাংস কিনতে গিয়ে চিন্তা করতাম। কিন্তু এখন ডিম আর মাছ কিনতে গিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।

দ্রব্যমূল্যের চাপে অনেককেই ধার দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। কেউ কেউ খরচ কমাতে স্ত্রী সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপরও সংসার চালাতে পারছেন না। একজন প্রাইভেট কার চালকের কথা, “স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি না পাঠালে ছিনতাই, ডাকাতি করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তারপরও চলতে পারছি না।”

সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে কাঁচামাল, মাছ-মাংস, এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তা বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর একটি বড় ধাক্কা হিসেবে কাজ করছে। সরবরাহে সংকট না থাকলেও, বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী, যা ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা অনেকাংশে কমিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে সবজি, ডাল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এতোটাই বেড়ে গেছে যে, অনেক পরিবার দৈনন্দিন বাজেটের সাথে তাল মেলাতে পারছে না।