ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় সুবর্ণভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচংয়ে Logo হবিগঞ্জের সাতছড়ি গাছ চুরির অভিযোগে বন বিভাগের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা Logo নবীগঞ্জে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু Logo শায়েস্তাগঞ্জে ৩ হাজার কেজি ভারতীয় জিরাসহ আটক ২ Logo শায়েস্তাগঞ্জ সুতাং নদী থেকে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে Logo নেচে-গেয়ে সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য তুলে ধরল চা শ্রমিকেরা Logo মাধবপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ২ জনকে জরিমানা Logo মাধবপুরে ‘নিশান’র নির্বাহী পরিচালকসহ গ্রেফতার ২ Logo হবিগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক সংকট চরমে Logo শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় নাজমুল হোসেনকে সংবর্ধনা

সুনামগঞ্জে রাতে বেড়ে দিনে কমছে পানি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,

সুনামগঞ্জের নদ নদীতে রাতে পানি বেড়ে দিনে কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জে যখন সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নিচে ছিল বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে ১১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।

শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে বিকেল ৩টায় পানি আবারও ১৬ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে মেঘালয়ের ভারী বর্ষণ ও সুনামগঞ্জের ভারী বর্ষণের কারণেই নদ নদীতে পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পাউবো।

এদিকে নদ নদীতে পানি বাড়ায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, ছাতক, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্ত ও নদী তীরবর্তী এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহরের সাহেববাড়ি ঘাট, বাজার এলাকা, সব্জি বাজার ও লঞ্চঘাট প্লাবিত হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বুধবার ও বৃহষ্পতিবার মেঘালয়ে ৩১০ ও ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সুনামগঞ্জেও দুইদিনে ২৬০ ও ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়েছে। রাতে পানি বাড়লেও শুক্রবার দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।

বিকেল ৩টায় পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭.৯৪ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপরে আছে। তবে ভারী বর্ষণ থাকবে এবং এতে পানি বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। তবে ভারী বর্ষণ ও ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে স্বল্পকালীন বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, নদ নদীর পানি বাড়লেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আশ্রয় কেন্দ্র ও ত্রাণ প্রস্তুত আছে। এখনো ২১টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫ শতাধিক বন্যার্ত লোকজন আছে। তবে নতুন করে কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠেনি জানিয়ে তিনি বলেন, পানি বাড়ার পর দুপুর থেকে কমতে শুরু করেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
১১৪ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জে রাতে বেড়ে দিনে কমছে পানি

আপডেট সময় ০৯:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

সুনামগঞ্জের নদ নদীতে রাতে পানি বেড়ে দিনে কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জে যখন সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নিচে ছিল বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে ১১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।

শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে বিকেল ৩টায় পানি আবারও ১৬ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে মেঘালয়ের ভারী বর্ষণ ও সুনামগঞ্জের ভারী বর্ষণের কারণেই নদ নদীতে পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পাউবো।

এদিকে নদ নদীতে পানি বাড়ায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, ছাতক, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্ত ও নদী তীরবর্তী এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহরের সাহেববাড়ি ঘাট, বাজার এলাকা, সব্জি বাজার ও লঞ্চঘাট প্লাবিত হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বুধবার ও বৃহষ্পতিবার মেঘালয়ে ৩১০ ও ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সুনামগঞ্জেও দুইদিনে ২৬০ ও ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়েছে। রাতে পানি বাড়লেও শুক্রবার দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।

বিকেল ৩টায় পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭.৯৪ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপরে আছে। তবে ভারী বর্ষণ থাকবে এবং এতে পানি বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। তবে ভারী বর্ষণ ও ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে স্বল্পকালীন বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, নদ নদীর পানি বাড়লেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আশ্রয় কেন্দ্র ও ত্রাণ প্রস্তুত আছে। এখনো ২১টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫ শতাধিক বন্যার্ত লোকজন আছে। তবে নতুন করে কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠেনি জানিয়ে তিনি বলেন, পানি বাড়ার পর দুপুর থেকে কমতে শুরু করেছে।