ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় তুঁত ফল

লাইফস্টাইল ডেস্ক

হালকা গোলাপী, লাল কিংবা কালো রংঙ্গের টসটসে গুচ্ছফল তুঁত ফল। হালকা টক ও হালকা মিষ্টি স্বাদের এই ফল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি উপকারীও বটে। তুঁত ইংরেজি গঁষনবৎৎু গাছের দুই প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে গড়ৎঁং হরমৎধ এবং গড়ৎঁং ৎঁনৎধ। তুঁত গাছের পাতা রেশম গুটি পোকার প্রিয় খাদ্য। এর ফল রসাল এবং সুস্বাদু হলেও বাংলাদেশে তুঁত কখনো ফলের জন্য চাষ করা হয় না। তবে আফগানিস্তান, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত প্রভৃতি স্থানে তুঁত চাষ করা হয় ফলের জন্য। সাধারণত অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে এই গাছের চারা রোপণ উপযোগী।

খাদ্য শস্যের তালিকায় তুঁত ফলের নাম না থাকলেও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেক উপকারী ফল এটি।

উদ্ভিদবিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণায় নানা অজানা সব তথ্য উঠে আসছে। সম্প্রতি আমাদের খুব চেনা গাছ তুঁত নিয়েও অনেক নতুন কথা জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে তুঁত গাছের পাতা, ফল, বাকল, মূল-সবই বিপুল ঔষধি গুণসম্পন্ন। যেসব গুণের জেরে রেহাই মিলতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ থেকে। কিন্তু সবচেয়ে চমকপ্রদ যে বিষয়টি জানা গিয়েছে তা হল তুঁত ক্যানসার প্রতিরোধেও দক্ষ।

পুষ্টিগুণ:

তুঁত ফলের ৮৫ শতাংশই পানি। এছাড়া এতে রয়েছে ২ শতাংশ ফাইবার, ১.৫ শতাংশ প্রোটিন, ০.৫ শতাংশ স্নেহ পদার্থ এবং কার্বোহাইড্রেট। রয়েছে ৩০.২ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি। এছাড়াও ভিটামিন এ ও বি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়ামও আছে এতে। তুঁত পাতার পুষ্টিগুণও উচ্চমানের। পাতা এবং ফলের মত তুঁত গাছের বাকল ও মূলেও যথেষ্ট পুষ্টি-উপাদান পেয়েছেন গবেষকেরা।

১) তুঁতে জিক্সানথিন থাকে। এটি চোখের রেটিনাকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচায়। চোখের ছানি পড়াও আটকায়।

২) এই ফলে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

৩) তুঁতে ডায়েটরি ফাইবার বিদ্যমান। এটি হজম তরান্বিত করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৪) এছাড়াও তুঁত গাছে গুরুত্বপূর্ণ ফ্ল্যাভনয়েড রেসভেরট্রোল পাওয়া যায়। যা স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

৫) তুঁত ফল এবং পাতার নির্যাস স্ট্রেস প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। খাওয়ার আগে তুঁত পাতার নির্যাস খেলে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে। এতে শরীরের অস্বাভাবিক চর্বি কমে যায়।

৬) তুঁত ফলের রস কিংবা পাতার নির্যাসে এমন জৈব যৌগ আছে যা রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। সঙ্গে অগ্ন্যাশয় এবং কিডনির জটিলতাও ঠেকায়।

৭) এসব ছাড়াও অনেক কিছু করে তুঁত! এর ছালে অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে। তুঁত স্নায়ু-অবক্ষয়ও বিলম্বিত করে।

৮) এটি লিভারকে সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যও দেখে। ঠাণ্ডা লাগা বা ফ্লু-র মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও তুঁত কার্যকরী।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৩৩ বার পড়া হয়েছে

স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় তুঁত ফল

আপডেট সময় ০৮:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হালকা গোলাপী, লাল কিংবা কালো রংঙ্গের টসটসে গুচ্ছফল তুঁত ফল। হালকা টক ও হালকা মিষ্টি স্বাদের এই ফল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি উপকারীও বটে। তুঁত ইংরেজি গঁষনবৎৎু গাছের দুই প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে গড়ৎঁং হরমৎধ এবং গড়ৎঁং ৎঁনৎধ। তুঁত গাছের পাতা রেশম গুটি পোকার প্রিয় খাদ্য। এর ফল রসাল এবং সুস্বাদু হলেও বাংলাদেশে তুঁত কখনো ফলের জন্য চাষ করা হয় না। তবে আফগানিস্তান, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত প্রভৃতি স্থানে তুঁত চাষ করা হয় ফলের জন্য। সাধারণত অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে এই গাছের চারা রোপণ উপযোগী।

খাদ্য শস্যের তালিকায় তুঁত ফলের নাম না থাকলেও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেক উপকারী ফল এটি।

উদ্ভিদবিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণায় নানা অজানা সব তথ্য উঠে আসছে। সম্প্রতি আমাদের খুব চেনা গাছ তুঁত নিয়েও অনেক নতুন কথা জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে তুঁত গাছের পাতা, ফল, বাকল, মূল-সবই বিপুল ঔষধি গুণসম্পন্ন। যেসব গুণের জেরে রেহাই মিলতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ থেকে। কিন্তু সবচেয়ে চমকপ্রদ যে বিষয়টি জানা গিয়েছে তা হল তুঁত ক্যানসার প্রতিরোধেও দক্ষ।

পুষ্টিগুণ:

তুঁত ফলের ৮৫ শতাংশই পানি। এছাড়া এতে রয়েছে ২ শতাংশ ফাইবার, ১.৫ শতাংশ প্রোটিন, ০.৫ শতাংশ স্নেহ পদার্থ এবং কার্বোহাইড্রেট। রয়েছে ৩০.২ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি। এছাড়াও ভিটামিন এ ও বি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়ামও আছে এতে। তুঁত পাতার পুষ্টিগুণও উচ্চমানের। পাতা এবং ফলের মত তুঁত গাছের বাকল ও মূলেও যথেষ্ট পুষ্টি-উপাদান পেয়েছেন গবেষকেরা।

১) তুঁতে জিক্সানথিন থাকে। এটি চোখের রেটিনাকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচায়। চোখের ছানি পড়াও আটকায়।

২) এই ফলে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

৩) তুঁতে ডায়েটরি ফাইবার বিদ্যমান। এটি হজম তরান্বিত করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৪) এছাড়াও তুঁত গাছে গুরুত্বপূর্ণ ফ্ল্যাভনয়েড রেসভেরট্রোল পাওয়া যায়। যা স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

৫) তুঁত ফল এবং পাতার নির্যাস স্ট্রেস প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। খাওয়ার আগে তুঁত পাতার নির্যাস খেলে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে। এতে শরীরের অস্বাভাবিক চর্বি কমে যায়।

৬) তুঁত ফলের রস কিংবা পাতার নির্যাসে এমন জৈব যৌগ আছে যা রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। সঙ্গে অগ্ন্যাশয় এবং কিডনির জটিলতাও ঠেকায়।

৭) এসব ছাড়াও অনেক কিছু করে তুঁত! এর ছালে অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে। তুঁত স্নায়ু-অবক্ষয়ও বিলম্বিত করে।

৮) এটি লিভারকে সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যও দেখে। ঠাণ্ডা লাগা বা ফ্লু-র মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও তুঁত কার্যকরী।