ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ৫২৩ বছরের ঐতিহ্য শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর জামে মসজিদ Logo নবীগঞ্জে পাখি শিকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা বন্য বালিহাস পাখি অবমুক্তি,পাখি শিকারীকে অর্থদন্ড Logo আবারও প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে চুনারুঘাটের শাপলা বিল Logo বাহুবল শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০ Logo হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৯ জনকে কারাদন্ড Logo হবিগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ Logo দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুসহ ৯ দফা দাবীতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে মানববন্ধন পালন Logo হবিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন মিলবে আরও ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস Logo নবীগঞ্জে পিতার দায়ের কোপে মেয়ে খুন,ঘাতক পিতা আটক। Logo হবিগঞ্জে বাস উল্টে যুবকের মৃত্যু, আহত ৫০

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর আলী হত্যার ১৬ বছর পর একজনের মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মো. আলী হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকলেও খালাস পাওয়া একজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহত মো. আলী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগআছড়া গ্রামের হাজী আলতাব আলীর পুত্র।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বাহুবল উপজেলার গুহারোয়া গ্রামের মতিন সর্দারের পুত্র সাইদুর রহমান ছায়েদ।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, একই উপজেলার বশিনা গ্রামের মৃত আনছব উল্লার পুত্র মো. মর্তুজ আলী, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার শ্যামলী আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র খোকন মিয়া ও বাহুবল উপজেলার কিরবাসই এলাকার কাজী চনু মিয়ার পুত্র কাজী এমরান মিয়া।

এছাড়া কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুর রউফ নামে এক ব্যক্তিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মৃতজনিত কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে মাহবুবুল আলম ও আব্দুল্লাহ মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার জানান, ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই মো. আলী নামে ওই ব্যক্তি হবিগঞ্জ শহরের ব্যাংক থেকে মোট ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কদমতলী স্থানে তার গতিরোধ করে একদল দুর্বৃত্ত।

এ সময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টাকা লুট করে দুর্বৃত্তের দল। পরে মো. আলীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা হাজী আলতাব আলী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১৬ বছর পর রায় ঘোষণা করেন আদালত।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:১২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
১২১ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর আলী হত্যার ১৬ বছর পর একজনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৯:১২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মো. আলী হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকলেও খালাস পাওয়া একজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহত মো. আলী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগআছড়া গ্রামের হাজী আলতাব আলীর পুত্র।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বাহুবল উপজেলার গুহারোয়া গ্রামের মতিন সর্দারের পুত্র সাইদুর রহমান ছায়েদ।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, একই উপজেলার বশিনা গ্রামের মৃত আনছব উল্লার পুত্র মো. মর্তুজ আলী, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার শ্যামলী আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র খোকন মিয়া ও বাহুবল উপজেলার কিরবাসই এলাকার কাজী চনু মিয়ার পুত্র কাজী এমরান মিয়া।

এছাড়া কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুর রউফ নামে এক ব্যক্তিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মৃতজনিত কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে মাহবুবুল আলম ও আব্দুল্লাহ মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার জানান, ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই মো. আলী নামে ওই ব্যক্তি হবিগঞ্জ শহরের ব্যাংক থেকে মোট ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কদমতলী স্থানে তার গতিরোধ করে একদল দুর্বৃত্ত।

এ সময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টাকা লুট করে দুর্বৃত্তের দল। পরে মো. আলীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা হাজী আলতাব আলী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১৬ বছর পর রায় ঘোষণা করেন আদালত।