ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্রদলের বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত Logo ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে বিএসএফ: মমতা Logo শুধু ব্যক্তি নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিত: প্রধান উপদেষ্টা Logo অবশেষে কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি Logo গণঅভ্যুত্থানে আহতদের শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন Logo ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সব ধ্বংস করে দিয়েছে-আহমেদ আলী মুকিব Logo যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউকে’র যাত্রা শুরু Logo নবীগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা র‍্যালী অনুষ্ঠিত Logo মানুষমাত্রই উদ্যোক্তা, তারা শ্রমিক না: প্রধান উপদেষ্টা Logo নিহত-আহতদের সহযোগিতা পেতে চিকিৎসকদের সত্যায়িত কপি লাগবে: সারজিস

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর আলী হত্যার ১৬ বছর পর একজনের মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মো. আলী হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকলেও খালাস পাওয়া একজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহত মো. আলী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগআছড়া গ্রামের হাজী আলতাব আলীর পুত্র।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বাহুবল উপজেলার গুহারোয়া গ্রামের মতিন সর্দারের পুত্র সাইদুর রহমান ছায়েদ।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, একই উপজেলার বশিনা গ্রামের মৃত আনছব উল্লার পুত্র মো. মর্তুজ আলী, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার শ্যামলী আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র খোকন মিয়া ও বাহুবল উপজেলার কিরবাসই এলাকার কাজী চনু মিয়ার পুত্র কাজী এমরান মিয়া।

এছাড়া কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুর রউফ নামে এক ব্যক্তিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মৃতজনিত কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে মাহবুবুল আলম ও আব্দুল্লাহ মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার জানান, ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই মো. আলী নামে ওই ব্যক্তি হবিগঞ্জ শহরের ব্যাংক থেকে মোট ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কদমতলী স্থানে তার গতিরোধ করে একদল দুর্বৃত্ত।

এ সময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টাকা লুট করে দুর্বৃত্তের দল। পরে মো. আলীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা হাজী আলতাব আলী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১৬ বছর পর রায় ঘোষণা করেন আদালত।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:১২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
৪৪ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর আলী হত্যার ১৬ বছর পর একজনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৯:১২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মো. আলী হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকলেও খালাস পাওয়া একজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহত মো. আলী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগআছড়া গ্রামের হাজী আলতাব আলীর পুত্র।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বাহুবল উপজেলার গুহারোয়া গ্রামের মতিন সর্দারের পুত্র সাইদুর রহমান ছায়েদ।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, একই উপজেলার বশিনা গ্রামের মৃত আনছব উল্লার পুত্র মো. মর্তুজ আলী, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার শ্যামলী আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র খোকন মিয়া ও বাহুবল উপজেলার কিরবাসই এলাকার কাজী চনু মিয়ার পুত্র কাজী এমরান মিয়া।

এছাড়া কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুর রউফ নামে এক ব্যক্তিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মৃতজনিত কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে মাহবুবুল আলম ও আব্দুল্লাহ মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার জানান, ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই মো. আলী নামে ওই ব্যক্তি হবিগঞ্জ শহরের ব্যাংক থেকে মোট ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কদমতলী স্থানে তার গতিরোধ করে একদল দুর্বৃত্ত।

এ সময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টাকা লুট করে দুর্বৃত্তের দল। পরে মো. আলীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা হাজী আলতাব আলী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১৬ বছর পর রায় ঘোষণা করেন আদালত।