ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্রদলের বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত Logo ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে বিএসএফ: মমতা Logo শুধু ব্যক্তি নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিত: প্রধান উপদেষ্টা Logo অবশেষে কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি Logo গণঅভ্যুত্থানে আহতদের শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন Logo ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সব ধ্বংস করে দিয়েছে-আহমেদ আলী মুকিব Logo যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউকে’র যাত্রা শুরু Logo নবীগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা র‍্যালী অনুষ্ঠিত Logo মানুষমাত্রই উদ্যোক্তা, তারা শ্রমিক না: প্রধান উপদেষ্টা Logo নিহত-আহতদের সহযোগিতা পেতে চিকিৎসকদের সত্যায়িত কপি লাগবে: সারজিস

হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-

হবিগঞ্জের বাহুবলে ডাকাতি করতে গিয়ে মা-মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষনার পরপরই দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা হল- সিলেট জেলার শাহপরান থানার চৌকিদীঘি গ্রামের আলমগীর হোসেনের পুত্র আমীর হোসেন, বাহুবল উপজেলার হাজীমাদাম গ্রামের টেনু মিয়ার পুত্র আব্দুল হান্নান ও একই উপজেলার ডুবাঐ এলাকার মহিব উল্লাহর পুত্র মনির মিয়া।

জানা যায়- ২০২১ সালের ১৮ মার্চ বুধবার দিবাগত রাতে বাহুবল উপজেলার দ্বিগাম্বর বাজারের কাছে একটি ভাড়া বাসার তৃতীয় তলায় খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন কাচামাল ব্যবসায়ী সনজিত দাসের স্ত্রী অঞ্জলি দাস (৩০) ও তাঁর মেয়ে পূজা রানী দাস (৮)। মধ্যরাতে একদল ডাকাত ডাকাতির উদ্যোশ্যে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাতদের ছিনে ফেলায় মা মেয়েকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করে স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

সকালে নিজ ঘরে তাদের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পর অঞ্জলি দাসের স্বামী সনজিত বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্তের পর বাহুবল থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রজিৎ কুমার দাস ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট উল্লেখিত ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ২০ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে ৩ জনের ফাসির আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট হাবিবুর রহমান খান জানান- আদালতের রায়ে ন্যায় বিচার পেয়েছে সনজিত দাসের পরিবার। তিনি বলেন- আমরা চাই দ্রুত যেন এ রায় কার্যকর করা হয়। আর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানান আসামী পক্ষের আইনজীবিসহ তাদের স্বজনরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৩৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
২৩ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ

আপডেট সময় ০৪:৩৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

হবিগঞ্জের বাহুবলে ডাকাতি করতে গিয়ে মা-মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষনার পরপরই দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা হল- সিলেট জেলার শাহপরান থানার চৌকিদীঘি গ্রামের আলমগীর হোসেনের পুত্র আমীর হোসেন, বাহুবল উপজেলার হাজীমাদাম গ্রামের টেনু মিয়ার পুত্র আব্দুল হান্নান ও একই উপজেলার ডুবাঐ এলাকার মহিব উল্লাহর পুত্র মনির মিয়া।

জানা যায়- ২০২১ সালের ১৮ মার্চ বুধবার দিবাগত রাতে বাহুবল উপজেলার দ্বিগাম্বর বাজারের কাছে একটি ভাড়া বাসার তৃতীয় তলায় খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন কাচামাল ব্যবসায়ী সনজিত দাসের স্ত্রী অঞ্জলি দাস (৩০) ও তাঁর মেয়ে পূজা রানী দাস (৮)। মধ্যরাতে একদল ডাকাত ডাকাতির উদ্যোশ্যে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাতদের ছিনে ফেলায় মা মেয়েকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করে স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

সকালে নিজ ঘরে তাদের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পর অঞ্জলি দাসের স্বামী সনজিত বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্তের পর বাহুবল থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রজিৎ কুমার দাস ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট উল্লেখিত ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ২০ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে ৩ জনের ফাসির আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট হাবিবুর রহমান খান জানান- আদালতের রায়ে ন্যায় বিচার পেয়েছে সনজিত দাসের পরিবার। তিনি বলেন- আমরা চাই দ্রুত যেন এ রায় কার্যকর করা হয়। আর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানান আসামী পক্ষের আইনজীবিসহ তাদের স্বজনরা।