ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জে ৭০টি ইটভাটা বন্ধের আশঙ্কা কর্মহীন হওয়ার শঙ্কায় ৪০ হাজার শ্রমিক Logo হবিগঞ্জে ভিপি নুরুল হক নুর আশাকরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে Logo হবিগঞ্জের রশিদপুরে আরো ২৯ বিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা Logo শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ Logo হবিগঞ্জ-১: রেজা কিবরিয়ার যোগদানে বিএনপিতে এখন ত্রিমুখী লড়াই Logo হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo ড. ফরিদুর রহমান বদলি, নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে খুন : অভিযুক্ত আটক Logo ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: শায়েস্তাগঞ্জে তরুণী গ্রেপ্তার Logo ৭ই নভেম্বর ও একজন দেশ প্রেমিক জিয়াউর রহমান

২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামালায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামালায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৮৯ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নিয়ে গত ৭ অক্টবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৭৯৪ জনে এবং আহত বেড়ে ৮৯ হাজার ৩৬৪ জনে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় এক হাজার ২০০ জন ইসরাইলি। ওইদিন আড়াই শতাধিক ইসরাইলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।

ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে দখলদার ইসরাইল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা।

হামলায় বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ধারণা, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে।

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় তার ক্রমাগত নৃশংস আক্রমণের মধ্যে ইসরাইল আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইসরাইলকে সর্বশেষ রায়েও অবিলম্বে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে তার সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে গত ৬ মে হামলা চালানোর আগে ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ বাঁচাতে থেকে আশ্রয় নিয়েছিল।

তা সত্ত্বেও নিরাপদ অঞ্চল ঘোষিত এসব অঞ্চলেও এখন একের পর এক হামলায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি আগ্রাসনে ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের অবরোধের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
১২৬ বার পড়া হয়েছে

২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামালায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত

আপডেট সময় ০৭:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামালায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৮৯ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নিয়ে গত ৭ অক্টবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৭৯৪ জনে এবং আহত বেড়ে ৮৯ হাজার ৩৬৪ জনে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় এক হাজার ২০০ জন ইসরাইলি। ওইদিন আড়াই শতাধিক ইসরাইলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।

ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে দখলদার ইসরাইল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা।

হামলায় বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ধারণা, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে।

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় তার ক্রমাগত নৃশংস আক্রমণের মধ্যে ইসরাইল আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইসরাইলকে সর্বশেষ রায়েও অবিলম্বে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে তার সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে গত ৬ মে হামলা চালানোর আগে ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ বাঁচাতে থেকে আশ্রয় নিয়েছিল।

তা সত্ত্বেও নিরাপদ অঞ্চল ঘোষিত এসব অঞ্চলেও এখন একের পর এক হামলায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি আগ্রাসনে ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের অবরোধের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।